ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

বাংলাদেশি ডলির টরন্টো বিজয়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮
  • / ১৯৪৪ টাইম ভিউ

বাংলাদেশি মেয়ে ডলি বেগম ওন্টারিও প্রদেশের টরন্টো এলাকার একটি আসন থেকে এমপিপি নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ডলি প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিয়েসকে ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫৫৪৩। নির্বাচনে তার এই জয়কে স্থানীয় অনেকে দেখছেন বাংলাদেশি মেয়ের টরন্টো বিজয় হিসেবে।

ইতোপূর্বে কোনো বাঙালি টরন্টো, এমনকি কানাডার কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি। ডলি বেগম প্রথমবারের মতো প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে শুধু কানাডায় নয় সারা বিশ্বের বাঙালিদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভিবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সাথে তিনি কানাডায় যান। সাথে ছিল ছোট ভাই। অল্প বয়সে কানাডায় এসে ডলি মুখোমুখি হন কঠিন বাস্তবতার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা পতিত হন মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনায়। তার বাবাকে হাসপাতালে কাটাতে হয় অনেক বছর।

পিতার স্বপ্ন পূরণ করেছেন ডলি। ২০১২ সালে তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। আর ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে। পড়ালেখা শেষ করার পর সিটি অব টরন্টোতে প্রায় দশ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স এনালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনাল্স এ।

ডলি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর কানাডায় বসবাসরত বাঙালিদের অকুণ্ঠ সমর্থন পান। তাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন হোসেইন সুমন নামক কানাডা প্রবাসী এক বাঙালি।

ভোটারদের উদ্দেশ্য করে ডলি বলেন, ‘আমি আপনাদেরই একজন, আপনাদেরই মতো জীবনযুদ্ধের প্রতি পদে হাজারো বাধাবিপত্তি আর অসাম্যের হয়ে লড়াই করা একজন। তাই আমি নির্বাচিত হওয়া হবে আমাদের মতো হাজারো মানুষের নিজেদের বিজয়।’

ডলির বিজয়ে আনন্দিত কানাডা প্রবাসী বাঙালিরা। তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকরা। সাথে সারা বিশ্বের বাঙালিরাও। প্রথমবারের মতো কোনো বাঙালি কানাডার একটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়া রূপক অর্থে টরন্টো বিজয়ই বলা যায়। সূত্র : নতুন দেশ।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাংলাদেশি ডলির টরন্টো বিজয়

আপডেটের সময় : ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮

বাংলাদেশি মেয়ে ডলি বেগম ওন্টারিও প্রদেশের টরন্টো এলাকার একটি আসন থেকে এমপিপি নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ডলি প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিয়েসকে ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫৫৪৩। নির্বাচনে তার এই জয়কে স্থানীয় অনেকে দেখছেন বাংলাদেশি মেয়ের টরন্টো বিজয় হিসেবে।

ইতোপূর্বে কোনো বাঙালি টরন্টো, এমনকি কানাডার কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি। ডলি বেগম প্রথমবারের মতো প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে শুধু কানাডায় নয় সারা বিশ্বের বাঙালিদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভিবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সাথে তিনি কানাডায় যান। সাথে ছিল ছোট ভাই। অল্প বয়সে কানাডায় এসে ডলি মুখোমুখি হন কঠিন বাস্তবতার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা পতিত হন মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনায়। তার বাবাকে হাসপাতালে কাটাতে হয় অনেক বছর।

পিতার স্বপ্ন পূরণ করেছেন ডলি। ২০১২ সালে তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। আর ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে। পড়ালেখা শেষ করার পর সিটি অব টরন্টোতে প্রায় দশ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স এনালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনাল্স এ।

ডলি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর কানাডায় বসবাসরত বাঙালিদের অকুণ্ঠ সমর্থন পান। তাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন হোসেইন সুমন নামক কানাডা প্রবাসী এক বাঙালি।

ভোটারদের উদ্দেশ্য করে ডলি বলেন, ‘আমি আপনাদেরই একজন, আপনাদেরই মতো জীবনযুদ্ধের প্রতি পদে হাজারো বাধাবিপত্তি আর অসাম্যের হয়ে লড়াই করা একজন। তাই আমি নির্বাচিত হওয়া হবে আমাদের মতো হাজারো মানুষের নিজেদের বিজয়।’

ডলির বিজয়ে আনন্দিত কানাডা প্রবাসী বাঙালিরা। তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকরা। সাথে সারা বিশ্বের বাঙালিরাও। প্রথমবারের মতো কোনো বাঙালি কানাডার একটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়া রূপক অর্থে টরন্টো বিজয়ই বলা যায়। সূত্র : নতুন দেশ।