ফের পেছাল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
- আপডেটের সময় : ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯
- / ১০৬৮ টাইম ভিউ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ মে। নির্ধারিত ১৭ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় এ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মহাপরিচালক বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১৭ মে আয়োজন করার কথা ছিল। এ জন্য আমাদের সব প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া একটি পরীক্ষা ১৭ মে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা আবারও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, চূড়ান্ত প্রস্তুতি শেষ করতে না পারায় গত ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৭ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর আগে ১০ মে এ পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। তারও আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় ওই সময়ও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে।
আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ৮ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জন।