ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরোয়ানাভুক্ত আসামি ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতারের পর শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে শাহবাগ থানাধীন হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি মোয়াজ্জেমকে কী অবস্থায়, কীভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে- তা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তিনি এতদিন কোথায় আত্মগোপনে ছিলেন সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
তবে তাকে ফেনী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। সেখান থেকেই তাকে আদালতে তোলা হবে।
মোয়াজ্জেমের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘তাকে বর্তমানে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে।’
তবে সাংবাদিকদের শাহবাগ থানায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এর আগে ফেনীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোয় অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার দিন দশেক আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।