ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ফাইভ জি জগতে আগামীবছরই পা রাখবে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৭৫৪ টাইম ভিউ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘২০২০ সালে ফাইভ জি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ। এটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সাত সদস্যের একটি আমেরিকান বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের পথ ফাইভ জি শুধু কথা বলা বা ব্রাউজ করা প্রযুক্তি হিসেবে দেখা হয় না, এটিকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক বলা হয়। ফাইভ জি শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাইভ জি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। ফাইভ জি সম্প্রসারণে ইতোমধ্যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে সারা দেশে সম্প্রসারণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৬,১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ডিজিটাল মেলায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ফাইভ জি লাইভ দেখানো হবে। এর আগে ২০১৮ সালের পঁচিশ জুলাই ফাইভ জি পরীক্ষামূলক দেখানো হয়েছিল।’

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমেরিকান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে অনেক সময় আমাদের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে সে বিষয়টিকে তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টিকে তারাও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের সংকটে ফেলে দেয়। এর মাধ্যমে গুজব রটানো হয়,জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটানো হয়। নিরাপত্তা বিষয় আগামীতে সরকার এবং কোম্পানি পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেছে ২০০৮ সালে। সেখানে ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত। সবশেষ গত পাঁচ ডিসেম্বর পাকিস্তান বলেছে ডিজিটাল পাকিস্তান। আমরা অন্যদের পথ দেখিয়েছি। এ বিষয়ে জাতি হিসেবে আমরা অবশ্যই গর্ব করি।’

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নুর-উর-রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসিনুল আলম, ইউ এস স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাইবার বিশেষজ্ঞ জন পিলেটিস, লিসা জি, ড্যানিয়েল লারসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জি ফাইভ-এর রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম এবং সাইবার নিরাপত্তার বিষয় উপস্থাপনা করেন সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেজপোন্জ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম সারোয়ার।

পোস্ট শেয়ার করুন

ফাইভ জি জগতে আগামীবছরই পা রাখবে বাংলাদেশ

আপডেটের সময় : ১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘২০২০ সালে ফাইভ জি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ। এটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সাত সদস্যের একটি আমেরিকান বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের পথ ফাইভ জি শুধু কথা বলা বা ব্রাউজ করা প্রযুক্তি হিসেবে দেখা হয় না, এটিকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক বলা হয়। ফাইভ জি শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাইভ জি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। ফাইভ জি সম্প্রসারণে ইতোমধ্যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে সারা দেশে সম্প্রসারণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৬,১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ডিজিটাল মেলায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ফাইভ জি লাইভ দেখানো হবে। এর আগে ২০১৮ সালের পঁচিশ জুলাই ফাইভ জি পরীক্ষামূলক দেখানো হয়েছিল।’

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমেরিকান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে অনেক সময় আমাদের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে সে বিষয়টিকে তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টিকে তারাও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের সংকটে ফেলে দেয়। এর মাধ্যমে গুজব রটানো হয়,জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটানো হয়। নিরাপত্তা বিষয় আগামীতে সরকার এবং কোম্পানি পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেছে ২০০৮ সালে। সেখানে ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত। সবশেষ গত পাঁচ ডিসেম্বর পাকিস্তান বলেছে ডিজিটাল পাকিস্তান। আমরা অন্যদের পথ দেখিয়েছি। এ বিষয়ে জাতি হিসেবে আমরা অবশ্যই গর্ব করি।’

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নুর-উর-রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসিনুল আলম, ইউ এস স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাইবার বিশেষজ্ঞ জন পিলেটিস, লিসা জি, ড্যানিয়েল লারসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জি ফাইভ-এর রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম এবং সাইবার নিরাপত্তার বিষয় উপস্থাপনা করেন সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেজপোন্জ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম সারোয়ার।