ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

ফণী মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই : রিজভী

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯
  • / ৯৩৩ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ   ঘূর্ণিঝড় ফণীর আলামত স্পষ্ট হলেও তা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই অভিযোগ করে দলীয় নেতাকর্মীদের আগাম প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা করেন।

রিজভী বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হচ্ছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণী। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের উপকূল থেকে ফণীর দূরত্ব ধীরে ধীরে কমে আসছে। ফণীর আকার বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড়। উপকূলে উঠে আসার সময় ফণীর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটারের বেশি। বাংলাদেশের খুলনা ও তৎসংলগ্ন উপকূলের দিকে ধাবিত ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রতিনিয়ত শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ আশঙ্কামুক্ত নয়, বরং বিপজ্জনক চেহারা নিয়ে ফণী বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এভাবে যদি উপকূলের দিকে ফণী ধেয়ে আসে তবে তার বিষাক্ত ফণায় অকল্পনীয় তাণ্ডবলীলা চালাবে; যা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়কাণ্ডের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রলয়ঙ্ককারী দুর্যোগের আলামত সুস্পষ্ট হলেও সরকার তা মোকাবিলা করতে কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি। তাই এই মুহূর্তে সকলকে পূর্ণ সতর্ক হতে হবে। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে। সমগ্র উপকূল অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিমান, তেল রিজার্ভার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এসব নিরাপদ করার এখনই সময়। যেকোনো বড় দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবিলায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল আছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। উনি মিটিং না করেই বিদেশ চলে গেলেন। কোনো আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা নেই। উপকূলীয় জেলা পর্যায়ে জরুরি সভা নেই। তিন বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সমূহ, গোয়েন্দা সংস্থা, কোস্টগার্ড, আনসার এদের নিয়ে কোনো সভা করা হয়নি। উদ্ধার কাজে কোনো প্রস্তুতিই গ্রহণ করা হয়নি।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সফলতার সাথে সরকার পরিচালনা করেছে। বিপদ দেখলে পালিয়ে যায়নি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৪ বার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়ে দেশসেবা করেছেন। পুরো শাসন পিরিয়ডে জাতীয় দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৎপর থাকতেন। মিটিংয়ের পর মিটিং, নির্দেশনা, এমনকি রাতভর সজাগও থেকে উদ্ধারকর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মনিটরিং করতেন।

রিজভী বলেন, ফণীর মতো একটি বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আগাম প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা যেন সকলেই উদ্ধারকর্মীর মতো প্রস্তুত থাকে। ঝড় আঘাত হানার পূর্বেই উপকূলীয় অসহায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। তারা নিজেদের নিরাপত্তাসহ অন্যদের নিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

পোস্ট শেয়ার করুন

ফণী মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই : রিজভী

আপডেটের সময় : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ   ঘূর্ণিঝড় ফণীর আলামত স্পষ্ট হলেও তা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই অভিযোগ করে দলীয় নেতাকর্মীদের আগাম প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা করেন।

রিজভী বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হচ্ছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণী। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের উপকূল থেকে ফণীর দূরত্ব ধীরে ধীরে কমে আসছে। ফণীর আকার বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড়। উপকূলে উঠে আসার সময় ফণীর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটারের বেশি। বাংলাদেশের খুলনা ও তৎসংলগ্ন উপকূলের দিকে ধাবিত ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রতিনিয়ত শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ আশঙ্কামুক্ত নয়, বরং বিপজ্জনক চেহারা নিয়ে ফণী বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এভাবে যদি উপকূলের দিকে ফণী ধেয়ে আসে তবে তার বিষাক্ত ফণায় অকল্পনীয় তাণ্ডবলীলা চালাবে; যা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়কাণ্ডের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রলয়ঙ্ককারী দুর্যোগের আলামত সুস্পষ্ট হলেও সরকার তা মোকাবিলা করতে কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি। তাই এই মুহূর্তে সকলকে পূর্ণ সতর্ক হতে হবে। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে। সমগ্র উপকূল অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিমান, তেল রিজার্ভার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এসব নিরাপদ করার এখনই সময়। যেকোনো বড় দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবিলায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল আছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। উনি মিটিং না করেই বিদেশ চলে গেলেন। কোনো আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা নেই। উপকূলীয় জেলা পর্যায়ে জরুরি সভা নেই। তিন বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সমূহ, গোয়েন্দা সংস্থা, কোস্টগার্ড, আনসার এদের নিয়ে কোনো সভা করা হয়নি। উদ্ধার কাজে কোনো প্রস্তুতিই গ্রহণ করা হয়নি।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সফলতার সাথে সরকার পরিচালনা করেছে। বিপদ দেখলে পালিয়ে যায়নি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৪ বার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়ে দেশসেবা করেছেন। পুরো শাসন পিরিয়ডে জাতীয় দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৎপর থাকতেন। মিটিংয়ের পর মিটিং, নির্দেশনা, এমনকি রাতভর সজাগও থেকে উদ্ধারকর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মনিটরিং করতেন।

রিজভী বলেন, ফণীর মতো একটি বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আগাম প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা যেন সকলেই উদ্ধারকর্মীর মতো প্রস্তুত থাকে। ঝড় আঘাত হানার পূর্বেই উপকূলীয় অসহায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। তারা নিজেদের নিরাপত্তাসহ অন্যদের নিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।