ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

প্রাথমিকে ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি বসছে ৩০ জুনের মধ্যে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯
  • / ৪০৫ টাইম ভিউ

শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে যশোরের প্রাথমিক স্কুলগুলোয় চালু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও একই পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা করে বিদ্যালয়ে তাদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল এই হাজিরা পদ্ধতি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, কিছু শিক্ষক আছেন যারা প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়া শিক্ষকদের অনেকে ঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। কিন্তু পরবর্তীতে হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর ঠিকই পাওয়া যায়। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে বাতিল করা হচ্ছে সনাতনী পদ্ধতির হাজিরা। এর বদলে এবার চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ডিজিটাল হাজিরা। যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবছরের জুন মাসের ভেতর যশোরের ১হাজার ২শ’ ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতন এই হাজিরা পদ্ধতি চালু হবে। সূত্র মতে, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন স্লিপ তহবিলের অর্থ ব্যয় করে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোয় ডিজিটাল হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হবে। ডিজিটাল মেশিনে আঙ্গুল স্পর্শ করেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দেবেন শিক্ষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও এই বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ বসিয়ে হাজিরা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম জানান, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ হাজিরা পদ্ধতি। স্কুল ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন স্লিপ ফান্ডের টাকা দিয়ে যশোরের সব উপজেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন বসানো হবে। ইতিমধ্যে এটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রাথমিকে ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি বসছে ৩০ জুনের মধ্যে

আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে যশোরের প্রাথমিক স্কুলগুলোয় চালু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও একই পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা করে বিদ্যালয়ে তাদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল এই হাজিরা পদ্ধতি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, কিছু শিক্ষক আছেন যারা প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়া শিক্ষকদের অনেকে ঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। কিন্তু পরবর্তীতে হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর ঠিকই পাওয়া যায়। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে বাতিল করা হচ্ছে সনাতনী পদ্ধতির হাজিরা। এর বদলে এবার চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ডিজিটাল হাজিরা। যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবছরের জুন মাসের ভেতর যশোরের ১হাজার ২শ’ ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতন এই হাজিরা পদ্ধতি চালু হবে। সূত্র মতে, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন স্লিপ তহবিলের অর্থ ব্যয় করে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোয় ডিজিটাল হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হবে। ডিজিটাল মেশিনে আঙ্গুল স্পর্শ করেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দেবেন শিক্ষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও এই বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ বসিয়ে হাজিরা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম জানান, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ হাজিরা পদ্ধতি। স্কুল ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন স্লিপ ফান্ডের টাকা দিয়ে যশোরের সব উপজেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন বসানো হবে। ইতিমধ্যে এটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।