ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

প্রাথমিকসহ সব শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বক্তব্য

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৩৬২ টাইম ভিউ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে তা তরুণ শিক্ষার্থীদের বোঝাতে দেশের আলেম সমাজ সক্রিয় সহযোগিতা করছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসেনর সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা এবং সততার অনুশীলন করানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন বিপথগামী হয়ে জঙ্গিবাদে না জড়িয়ে পড়ে, সেজন্য আমরা শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এগুলো হলো-শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গিবাদবিরোধী নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে ; যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্ত করছে; অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করে অনুপস্থিতির কারণ সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিভাবক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীর সমন্বয়ে অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাজের গণ্যমান্য ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সন্ত্রাসী ও ধর্মের নামে জঙ্গিবাদবিরোধী সভা করা হচ্ছে; কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সট্রা-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ যেমন-খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শিক্ষাবিষয়ক সেমিনার, প্রদর্শনী, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনা করা হচ্ছে; শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানে পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

‘পাঠ্যপুস্তকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সন্নিবেশিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে যেমন-২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এবং ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে শিশু-কিশোরদের অবহিত করার জন্য পাঠ্যপুস্তকে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণ করা হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যানার, ফেস্টুন সরবরাহ করা হয়। জেলা/ উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী র‌্যালি/সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে সর্বস্তরের জনসাধারণ, শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জঙ্গিবাদের কুফল তুলে ধরে বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গৃহীত এ সকল গণসচেতনতামূলক প্রচারণা প্রিন্ট মিডিয়া, টিভি চ্যানেল, অনলাইন ও সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রাথমিকসহ সব শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বক্তব্য

আপডেটের সময় : ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে তা তরুণ শিক্ষার্থীদের বোঝাতে দেশের আলেম সমাজ সক্রিয় সহযোগিতা করছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসেনর সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা এবং সততার অনুশীলন করানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন বিপথগামী হয়ে জঙ্গিবাদে না জড়িয়ে পড়ে, সেজন্য আমরা শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এগুলো হলো-শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গিবাদবিরোধী নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে ; যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্ত করছে; অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করে অনুপস্থিতির কারণ সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিভাবক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীর সমন্বয়ে অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাজের গণ্যমান্য ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সন্ত্রাসী ও ধর্মের নামে জঙ্গিবাদবিরোধী সভা করা হচ্ছে; কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সট্রা-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ যেমন-খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শিক্ষাবিষয়ক সেমিনার, প্রদর্শনী, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনা করা হচ্ছে; শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানে পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

‘পাঠ্যপুস্তকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সন্নিবেশিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে যেমন-২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এবং ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে শিশু-কিশোরদের অবহিত করার জন্য পাঠ্যপুস্তকে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণ করা হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যানার, ফেস্টুন সরবরাহ করা হয়। জেলা/ উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী র‌্যালি/সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে সর্বস্তরের জনসাধারণ, শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জঙ্গিবাদের কুফল তুলে ধরে বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গৃহীত এ সকল গণসচেতনতামূলক প্রচারণা প্রিন্ট মিডিয়া, টিভি চ্যানেল, অনলাইন ও সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।