প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগ : কোন জেলায় কত প্রার্থী

- আপডেটের সময় : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৯
- / ১০৫০ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে এবার ১২ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭টি। প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জনের বেশি প্রার্থী। এ অবস্থায় এত সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা একযোগে নেয়া সম্ভব না হওয়ায় জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কিছু জেলায় লাখের কাছাকাছি আবেদন পড়ায় নতুন জটিলতা তৈরি হয়। এরপর মন্ত্রণালয়ে যে জেলায় ৫০ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে সেখানে ভাগে ভাগে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই জেলায় ভাগে ভাগে পরীক্ষা হলে ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নিতে হবে।
জানা যায়, আগামী ১৫ মার্চ থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কয়েক ধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে। ৫০ হাজারের বেশি যেসব জেলায় আবেদন জমা পড়েছে সেসব জেলায় ভেঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সভা করে কোন জেলায় কবে পরীক্ষা হবে তা নির্ধারণ করা হবে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মানসম্মত প্রশ্ন তৈরি করা হবে। প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সকল সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে।
পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়ারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দিবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দিবে।
এবার পরীক্ষার কক্ষে পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র প্রধানের থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব দেয়া হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষ পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন কেন্দ্র প্রধান। এবার একসঙ্গে সকল জেলার ফল প্রকাশ করা হবে না। যেসব জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেসব জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পর্যায়ক্রমে মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।