ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

প্রদীপ-লিয়াকতের মুখোমুখি এপিবিএনের তিন সদস্য

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৬৯ টাইম ভিউ

অনলাইন ডেস্ক : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা তিন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যকে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস ও পরিদর্শক লিয়াকতের মুখোমুখি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা তিন এপিবিএন সদস্যের সামনে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী। তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৮ আগস্ট টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেয় র‌্যাব। তারা রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ২২ আগস্ট চেকপোস্টে দায়িত্বরত তিন এপিবিএন সদস্যকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, চেকপোস্টে এপিবিএনের তিন সদস্য উপস্থিত থাকায় ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ ৭ পুলিশ সদস্যের আরও ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ আদেশ দেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ। সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

র‌্যাব ১৫-এর এএসপি খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ কর্মকতা বলেন, সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে; কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তাই রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে তোলা প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলাল এবং ইতোমধ্যে রিমান্ড সম্পন্ন হওয়া চার পুলিশ সদস্যের আরও সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার বলেন, ‘মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যা মামলার সব আসামি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। একইভাবে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। পর দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ সাত আসামি। ওই দিনই দুদফা শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ আগস্ট এএসআই লিটনসহ চার পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। এরই মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বদল করা হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রদীপ-লিয়াকতের মুখোমুখি এপিবিএনের তিন সদস্য

আপডেটের সময় : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা তিন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যকে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস ও পরিদর্শক লিয়াকতের মুখোমুখি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা তিন এপিবিএন সদস্যের সামনে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী। তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৮ আগস্ট টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেয় র‌্যাব। তারা রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ২২ আগস্ট চেকপোস্টে দায়িত্বরত তিন এপিবিএন সদস্যকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, চেকপোস্টে এপিবিএনের তিন সদস্য উপস্থিত থাকায় ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালসহ ৭ পুলিশ সদস্যের আরও ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ আদেশ দেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ। সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

র‌্যাব ১৫-এর এএসপি খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ কর্মকতা বলেন, সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে; কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তাই রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে তোলা প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলাল এবং ইতোমধ্যে রিমান্ড সম্পন্ন হওয়া চার পুলিশ সদস্যের আরও সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার বলেন, ‘মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যা মামলার সব আসামি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। একইভাবে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। পর দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ সাত আসামি। ওই দিনই দুদফা শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ আগস্ট এএসআই লিটনসহ চার পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। এরই মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বদল করা হয়েছে।