ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রতিবেশীর লাথিতে গর্ভপাত, ধরা পড়েনি আসামি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪০৮ টাইম ভিউ

প্রতিবেশীর লাথিতে গর্ভপাত, ধরা পড়েনি আসামি

পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিবেশীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের ঘটনায় গর্ভপাতের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা মামলা দায়ের করেছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী আমিনার রহমান। ঘটনায় অভিযুক্ত ২ মহিলা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিলেও মূল আসামিসহ অন্যদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ঠুটাপাখুরি এলাকায় প্রতিবেশী সায়বুর রহমানের লাথি ও উপর্যুপরি মারপিটের কারণে নাজমা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) প্রতিবেশীর মুঠোফোনে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর স্বামী আমিনার রহমানের সাথে প্রতিবেশী সায়বুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ওই নারী বাড়ির পাশে টিউবওয়েলের ময়লা পানির ড্রেন পরিষ্কার করতে গেলে সায়বুরসহ তার বাড়ির অন্য সদস্যরা বাধা দেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সায়বুর রহমান নাজমাকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র (বেধা) দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে এবং পেটে লাথি মারে।

এত ওই নারী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেয়।
নাজমা, স্বামী আমিনার ও প্রতিবেশীরা জানান, জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার জেরে সায়বুরসহ অন্যরা কৃষি কাজে ব্যবহৃত বেধা দিয়ে উপর্যুপরি মারধর ও তলপেটে লাথি মারায় গর্ভপাত ঘটে। তারা এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সময় নিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুই আসাম আদালত থেকে জামিন নেয়ায় অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রতিবেশীর লাথিতে গর্ভপাত, ধরা পড়েনি আসামি

আপডেটের সময় : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

প্রতিবেশীর লাথিতে গর্ভপাত, ধরা পড়েনি আসামি

পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিবেশীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের ঘটনায় গর্ভপাতের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা মামলা দায়ের করেছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী আমিনার রহমান। ঘটনায় অভিযুক্ত ২ মহিলা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিলেও মূল আসামিসহ অন্যদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ঠুটাপাখুরি এলাকায় প্রতিবেশী সায়বুর রহমানের লাথি ও উপর্যুপরি মারপিটের কারণে নাজমা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) প্রতিবেশীর মুঠোফোনে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর স্বামী আমিনার রহমানের সাথে প্রতিবেশী সায়বুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ওই নারী বাড়ির পাশে টিউবওয়েলের ময়লা পানির ড্রেন পরিষ্কার করতে গেলে সায়বুরসহ তার বাড়ির অন্য সদস্যরা বাধা দেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সায়বুর রহমান নাজমাকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র (বেধা) দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে এবং পেটে লাথি মারে।

এত ওই নারী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেয়।
নাজমা, স্বামী আমিনার ও প্রতিবেশীরা জানান, জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার জেরে সায়বুরসহ অন্যরা কৃষি কাজে ব্যবহৃত বেধা দিয়ে উপর্যুপরি মারধর ও তলপেটে লাথি মারায় গর্ভপাত ঘটে। তারা এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সময় নিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুই আসাম আদালত থেকে জামিন নেয়ায় অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।