ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

পর্যটননির্ভর মৌলভীবাজার জেলায় কর্মহীন না না পেশার মানুষ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • / ৭২৭ টাইম ভিউ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠে গেলেও পর্যটনকেন্দ্র খোলার অনুমতি মেলেনি এখনও,ফলে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে হোটেল-রিজোর্ট মালিকদের ক্ষতির পরিমান ক্রমশই বাড়ছে, দুর্দশা বাড়ছে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর শ্রমজীবী মানুষের উপড়।

জেলার হোটেল, রিজোর্ট, রেস্টহাউজ, রেস্তোরাঁসহ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে প্রায় তিন মাস।
বড় অংশের লোকসান গুণতে হচ্ছে সংস্হাগুলোকে , কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের।

বেকার হয়ে পড়েছেন জেলার ট্যুর গাইডসহ এ খাতের উপর নানাভাবে নির্ভরশীলরা। এতদিন পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসা গাইড,প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের জীবন-জীবিকাও থমকে আছে।

মহামারীর কারণে সারা বিশ্বে সর্বপ্রথম যে খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি পর্যটন শিল্প।
দেশে জুন পর্যন্ত পর্যটনের খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা; ৩ লাখ ৯ হাজার ৫০০ কর্মী কাজ হারাবেন। এই সঙ্কট যত প্রলম্বিত হচ্ছে, ক্ষতিও হারও তথই বাড়ছে।
মৌলভীবাজার জেলায় লাউয়াছড়া বন, হাকালুকি হাওর, বাইক্কাবিল ,মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, চা বাগান, আনারস বাগান, পান, আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা ও তাদের হস্তশিল্প, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ প্রায় দেড়শ পর্যটন স্পট সারা বছর পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকত, সেসব জায়গায় এখন বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে ‘লকডাউন’ শুরু হলেও মৌলভীবাজারের হোটেল-রিজোর্টগুলো ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ। খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোও কাছাকাছি সময়ে বন্ধ হয়ে যায়।

“প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।”
তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে সরকারি বে-সরকারি মিলে প্রায় দেড়শ হোটেল-রিজোর্ট রয়েছে, যার মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। এর ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল কয়েক লাখ মানুষ; তারা এখন বেকারত্ব জীবনযাপন করছে ।

পর্যটন খাতের শুধু হোটেল রিসোর্ট নয়,শ্রীমঙ্গলের বেশ কিছু কৃষিপণ্যের ব্যবসাও পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল।

পর্যটকরাই শ্রীমঙ্গলের লেবু, আনারস, চা ও মনিপুরী শাড়িসহ হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর বড় ক্রেতা তা সবারই জানা।

কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তুহিন চৌধুরী বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় ৭০ জনের মত ট্যুর গাইড রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন শুধু এ কাজই করেন। কাজ হারিয়ে গত তিন মাস তারা খুবই কষ্টে আছেন। সরকারীভাবে তাদের কোনো সহযোগিতা করা হয় না ।
এ জেলায় নামিদামি পাঁচ তারকা মানের বেশ কয়েকটি বড় বড় হোটেল-রিজোর্ট, কটেজ ও গেস্ট হাউজ রয়েছে, যেগুলোতে কয়েক শ লোকও কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব ব্যাবসায় অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসায় নেমে এখন তারা দিশেহারা। সরকারের প্রণোদনা না পেলে অনেক রিজোর্ট মালিককে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

পর্যটননির্ভর মৌলভীবাজার জেলায় কর্মহীন না না পেশার মানুষ

আপডেটের সময় : ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠে গেলেও পর্যটনকেন্দ্র খোলার অনুমতি মেলেনি এখনও,ফলে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে হোটেল-রিজোর্ট মালিকদের ক্ষতির পরিমান ক্রমশই বাড়ছে, দুর্দশা বাড়ছে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর শ্রমজীবী মানুষের উপড়।

জেলার হোটেল, রিজোর্ট, রেস্টহাউজ, রেস্তোরাঁসহ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে প্রায় তিন মাস।
বড় অংশের লোকসান গুণতে হচ্ছে সংস্হাগুলোকে , কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের।

বেকার হয়ে পড়েছেন জেলার ট্যুর গাইডসহ এ খাতের উপর নানাভাবে নির্ভরশীলরা। এতদিন পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসা গাইড,প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের জীবন-জীবিকাও থমকে আছে।

মহামারীর কারণে সারা বিশ্বে সর্বপ্রথম যে খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি পর্যটন শিল্প।
দেশে জুন পর্যন্ত পর্যটনের খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা; ৩ লাখ ৯ হাজার ৫০০ কর্মী কাজ হারাবেন। এই সঙ্কট যত প্রলম্বিত হচ্ছে, ক্ষতিও হারও তথই বাড়ছে।
মৌলভীবাজার জেলায় লাউয়াছড়া বন, হাকালুকি হাওর, বাইক্কাবিল ,মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, চা বাগান, আনারস বাগান, পান, আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা ও তাদের হস্তশিল্প, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ প্রায় দেড়শ পর্যটন স্পট সারা বছর পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকত, সেসব জায়গায় এখন বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে ‘লকডাউন’ শুরু হলেও মৌলভীবাজারের হোটেল-রিজোর্টগুলো ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ। খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোও কাছাকাছি সময়ে বন্ধ হয়ে যায়।

“প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।”
তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে সরকারি বে-সরকারি মিলে প্রায় দেড়শ হোটেল-রিজোর্ট রয়েছে, যার মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। এর ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল কয়েক লাখ মানুষ; তারা এখন বেকারত্ব জীবনযাপন করছে ।

পর্যটন খাতের শুধু হোটেল রিসোর্ট নয়,শ্রীমঙ্গলের বেশ কিছু কৃষিপণ্যের ব্যবসাও পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল।

পর্যটকরাই শ্রীমঙ্গলের লেবু, আনারস, চা ও মনিপুরী শাড়িসহ হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর বড় ক্রেতা তা সবারই জানা।

কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তুহিন চৌধুরী বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় ৭০ জনের মত ট্যুর গাইড রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন শুধু এ কাজই করেন। কাজ হারিয়ে গত তিন মাস তারা খুবই কষ্টে আছেন। সরকারীভাবে তাদের কোনো সহযোগিতা করা হয় না ।
এ জেলায় নামিদামি পাঁচ তারকা মানের বেশ কয়েকটি বড় বড় হোটেল-রিজোর্ট, কটেজ ও গেস্ট হাউজ রয়েছে, যেগুলোতে কয়েক শ লোকও কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব ব্যাবসায় অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসায় নেমে এখন তারা দিশেহারা। সরকারের প্রণোদনা না পেলে অনেক রিজোর্ট মালিককে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।