পবিত্র ঈদুল আজহা কাল
- আপডেটের সময় : ১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৯
- / ৩২৩ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ আগামীকাল সোমবার ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা। বাংলাদেশে গত ২ আগস্ট জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়।
মহান আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবে। ঘরে ঘরে ত্যাগের আনন্দে মহিমান্বিত হবে মন।
আজ থেকে চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.) তাঁর ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কৃপায় ও অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কোরবানি করে থাকে। উদ্দেশ্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা। এই ঈদের পর দুই দিন পর্যন্ত (১১ ও ১২ জিলহজ) পশু কোরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে।
কেউ নিজের পালিত পশু কোরবানি করবে। আবার কেউ কেউ পশু কিনে কোরবানি করবে। যারা এখনো ডশু কেনেনি, তারা আজ রবিবারের মধ্যে পশু কিনে ফেলবে।
গত শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ যাত্রা। রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজন ও আত্মীয়দের সঙ্গে ঈদ করতে গেছে অনেক মানুষ। প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভে আপন ঠিকানায় পৌঁছাতে দুর্ভোগ উপেক্ষা করতেও তারা প্রস্তুত।
ঈদের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত হবে। মোনাজাতে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হবে। দেশের সব মানুষের শান্তি, রোগমুক্ত সমাজ, দেশের উন্নয়ন, ভ্রাতৃত্ববোধ অক্ষুণ্ন রাখার জন্য দোয়া করা হবে। প্রিয়জনদের মধ্যে যারা পরপারে চলে গেছে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অশ্রুসিক্ত হয়ে মোনাজাতে শামিল হবে সবাই।
এরপর হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পশু কোরবানি করবে। যেন নিজের ভেতরের পশুই কোরবানি করবে তারা।
প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রদূত, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে নামাজের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সোমবার সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে শামিয়ানা ও ত্রিপল টাঙানো শেষ হয়েছে। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে নব্বই হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে বলে জানা গেছে। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।