ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৫০৯ টাইম ভিউ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে কুলাউড়া উপজেলার সিরাজনগর চা বাগানের বাংলোয় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মৌলভীবাজার জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে এই মতবিনিময় সভায় মিলিত হন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএ। প্রথমে বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ-কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ।

এসময় তিনি খাদ্য, পানীয় ও পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তৈরি বাহারি রকমের ফলফলারিকে প্রসেস করে ড্রাই ফুড নমুনা হিসেবে পরিবেশন করেন।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিলেট অঞ্চলে কাঁঠাল, লেবু, মাল্টা, আনারস, আদা, কলা ইত্যাদি ফল ব্যাপক আকারে চাষ হয়। বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চলের মাটিতে এ্যাসিটিক এ্যাসিড থাকার কারণে লেবু জাতীয় ফসল বেশি উৎপাদিত হয়। এই ফসলগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে ড্রাই ফুড হিসেবে দেশি ও বিদেশী পর্যটকদের হাতে তুলে দেয়া যায়। এ লক্ষে ওই বিভাগের সবক’টি উপজেলায় ছোট-বড় এসব ফলমূলকে ঘিরে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, সিলেট বিভাগের পর্যটন স্পটগুলোকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেটের বিছনাকান্দি, মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড ও জলের অন্তেহরি গ্রামে পর্যটকরা এসে যাতে আরও বেশি সুযোগ সুবিধা পায় সেজন্য আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হবে।

এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সেই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠালের চিপস, লেবুর রস থেকে পাউডার, কলার চিপস, আদার চিপস প্রভৃতি।

আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (হবিগঞ্জ) অমিতাভ পরাগ তালুকদার, এনডিসি মো. আরিফুল ইসলাম, আরডিসি নেছার উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মুমিন, কুলাউড়ার ইউএনও এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, শ্রীমঙ্গলের ইউএনও নজরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদরের ইউএনও শরিফুল ইসলাম, রাজনগরের ইউএনও ফেরদৌসী আক্তার, জুড়ীর ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক, হবিগঞ্জের বাহুবলের ইউএনও আয়েশা হক, বড়লেখার ইউএনও শামীম আল ইমরান, কমলগঞ্জের ইউএনও মো. আশেকুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম, হুমায়রা সুলতানা, অর্ণব মালাকার, কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতিমা, কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, সিরাজ নগর চা-বাগান ব্যবস্থাপক শামীম আহমদ চৌধুরী।

একপর্যায়ে হাকালুকি হাওরকে নিয়ে ইকো ট্যুরিজম ও বাতানবাসীর দুধ সংগ্রহ করে ডেইরী ফার্ম করার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ, জসিম চৌধুরী, মাহফুজ শাকিল, সৈয়দ আশফাক তানভীর।

এসময় দু’টি প্রস্তাবই বিভাগীয় কমিশনার আমলে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এদিকে পাহাড়ী ঘেরা চা-বাগানে রাতের ভোজন ও বারবিকিউ পার্টির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

পোস্ট শেয়ার করুন

নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ

আপডেটের সময় : ১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে কুলাউড়া উপজেলার সিরাজনগর চা বাগানের বাংলোয় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মৌলভীবাজার জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে এই মতবিনিময় সভায় মিলিত হন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএ। প্রথমে বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ-কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ।

এসময় তিনি খাদ্য, পানীয় ও পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তৈরি বাহারি রকমের ফলফলারিকে প্রসেস করে ড্রাই ফুড নমুনা হিসেবে পরিবেশন করেন।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিলেট অঞ্চলে কাঁঠাল, লেবু, মাল্টা, আনারস, আদা, কলা ইত্যাদি ফল ব্যাপক আকারে চাষ হয়। বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চলের মাটিতে এ্যাসিটিক এ্যাসিড থাকার কারণে লেবু জাতীয় ফসল বেশি উৎপাদিত হয়। এই ফসলগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে ড্রাই ফুড হিসেবে দেশি ও বিদেশী পর্যটকদের হাতে তুলে দেয়া যায়। এ লক্ষে ওই বিভাগের সবক’টি উপজেলায় ছোট-বড় এসব ফলমূলকে ঘিরে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, সিলেট বিভাগের পর্যটন স্পটগুলোকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেটের বিছনাকান্দি, মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড ও জলের অন্তেহরি গ্রামে পর্যটকরা এসে যাতে আরও বেশি সুযোগ সুবিধা পায় সেজন্য আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হবে।

এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সেই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠালের চিপস, লেবুর রস থেকে পাউডার, কলার চিপস, আদার চিপস প্রভৃতি।

আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (হবিগঞ্জ) অমিতাভ পরাগ তালুকদার, এনডিসি মো. আরিফুল ইসলাম, আরডিসি নেছার উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মুমিন, কুলাউড়ার ইউএনও এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, শ্রীমঙ্গলের ইউএনও নজরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদরের ইউএনও শরিফুল ইসলাম, রাজনগরের ইউএনও ফেরদৌসী আক্তার, জুড়ীর ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক, হবিগঞ্জের বাহুবলের ইউএনও আয়েশা হক, বড়লেখার ইউএনও শামীম আল ইমরান, কমলগঞ্জের ইউএনও মো. আশেকুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম, হুমায়রা সুলতানা, অর্ণব মালাকার, কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতিমা, কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, সিরাজ নগর চা-বাগান ব্যবস্থাপক শামীম আহমদ চৌধুরী।

একপর্যায়ে হাকালুকি হাওরকে নিয়ে ইকো ট্যুরিজম ও বাতানবাসীর দুধ সংগ্রহ করে ডেইরী ফার্ম করার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ, জসিম চৌধুরী, মাহফুজ শাকিল, সৈয়দ আশফাক তানভীর।

এসময় দু’টি প্রস্তাবই বিভাগীয় কমিশনার আমলে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এদিকে পাহাড়ী ঘেরা চা-বাগানে রাতের ভোজন ও বারবিকিউ পার্টির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।