ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

দীর্ঘ ১৫ বছর পর কুলাউড়া আ’লীগের সম্মেলন ১০ নভেম্বর

এস আলম সুমন:
  • আপডেটের সময় : ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৯৮০ টাইম ভিউ

এস আলম সুমন: দীর্ঘ ১৫ বছর পর আগামী ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা জুড়ে সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন।

ইতোমধ্যে পদ প্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে তৃণমূল থেকে জেলা ও কেন্দ্রতে। এবারের কমিটিতে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে এমন আশা করছেন দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা। তাই একাধিক নতুন মুখ আসতে পারে এই কমিটিতে।
অন্যদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য অনেকটা বেড়ে গেছে।

ইতোমধ্যেই নিজের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে উপজেলা জুড়ে বিলবোর্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। শহরে ও তৃণমূলের হাটবাজারে সম্মেলনের আসা সম্ভাব্য অতিথিদের পোষ্টার ব্যাপকভাবে সাঁটানো হচ্ছে। অতিথিদের সম্মানে বেশ কয়েকটি তোরণ ও গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে প্রচারনার কাজ চলছে তোড়জোড়ে। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন মিছিল মিটিং হচ্ছে শহরে ও বিভিন্ন ইউনিয়নে।

কারা আসছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে-এ প্রশ্নের জবাব মিলবে সম্মেলনে। সমঝোতা না ভোটে নেতা নির্বাচিত করা হবে এ নিয়েও রয়েছে আলোচনা। অনেকে আলোচনার মাধ্যমে কমিটির পক্ষে মত দিলেও কেউ কেউ কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে কমিটি হওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন। আবার অনেকে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্বে আসার জন্যও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্মেলনকে সামনে রেখে কুলাউড়া আ’লীগের নেতাকর্মীরা পদ পদবী পেতে লবিং, দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। গত ২৪ অক্টোবর পৌরসভা হলরুমে বর্ধিত সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠছে আওয়ামী রাজনীতি।এর আগে সর্বশেষ ২০০৪ সালে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর কমিটির অনেক দায়িত্বশীল পদের লোকজন মারা গেছেন। আবার অনেকে বউ বাচ্চা নিয়ে প্রবাসে গেড়েছেন স্থায়ী নিবাস। ফলে বিগত কমিটির সিংহভাগ নেতাদের কোন অস্থিত্ব নেই। এর মধ্যে দলের বয়ে গেছে অনেক ঝঁড়ঝাঁপটা। একটা সময় দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্থ ছিলো দলের অবস্থা। সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে আওয়ামী লীগ যেন নতুন করে জেগেছে।

সর্বত্রই সাজ সাজ রব। আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে কারা আসছেন নতুন নেতৃত্বে। অনেকেই মনে করছেন দলকে যারা সুসংগঠিত করে কাজ করেছেন তাদের কে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেয়া হক। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আছে আবার প্রার্থী নেই এমন খেলা চলছে সর্বত্র। নেতাদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, দলের কাউন্সিলররা এবং জেলা ও কেন্দ্র যে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্ব পালন করবো।

এমন প্রত্যয়দিপ্ত কথা এর আগে বললে দল আরও সুসংগঠিত হতো বলে তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষনার পরপরই ডজন খানেক পদ প্রত্যাশীরা শীর্ষনেতাদের আশীর্বাদ পেতে জোর লবিং করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তৃণমূল ও কাউন্সিলরদের সমর্থন আদায়ের প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পদ প্রত্যাশী ও তাঁদের সমর্থকরা প্রচারে বেশ সরব। পছন্দের প্রার্থীর ছবি দিয়ে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই বলে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

পদ পেতে বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক ফজলু,

সাবেক কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সিএম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ রয়েছের আলোচনায়।

দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, এক সময় আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটি ছিলো কুলাউড়া। ২১০৫ সালের পৌর নির্বাচন থেকে প্রায় ৪ বছর ধরে কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ হয়ে ওঠে। সেখান থেকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। এরপর থেকেই প্রকাশ্য হয়ে ওঠে দলের বিভক্তি। সেই থেকে একাংশের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু।

অপরাংশের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমান। তবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে দি¦ধা-বিভক্ত উপজেলা কমিটিতে আবারো ঐক্যতান ফিরে আসবে বলে তৃণমূল কর্মীদের আশা।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, দলের সম্মেলন যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্ধিত কর্মীসভা হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও এর সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যাতে ঐক্যবদ্ধ থেকে সম্মেলনকে সফল করে সেজন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

দীর্ঘ ১৫ বছর পর কুলাউড়া আ’লীগের সম্মেলন ১০ নভেম্বর

আপডেটের সময় : ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯

এস আলম সুমন: দীর্ঘ ১৫ বছর পর আগামী ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা জুড়ে সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন।

ইতোমধ্যে পদ প্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে তৃণমূল থেকে জেলা ও কেন্দ্রতে। এবারের কমিটিতে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে এমন আশা করছেন দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারা। তাই একাধিক নতুন মুখ আসতে পারে এই কমিটিতে।
অন্যদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য অনেকটা বেড়ে গেছে।

ইতোমধ্যেই নিজের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে উপজেলা জুড়ে বিলবোর্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। শহরে ও তৃণমূলের হাটবাজারে সম্মেলনের আসা সম্ভাব্য অতিথিদের পোষ্টার ব্যাপকভাবে সাঁটানো হচ্ছে। অতিথিদের সম্মানে বেশ কয়েকটি তোরণ ও গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে প্রচারনার কাজ চলছে তোড়জোড়ে। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন মিছিল মিটিং হচ্ছে শহরে ও বিভিন্ন ইউনিয়নে।

কারা আসছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে-এ প্রশ্নের জবাব মিলবে সম্মেলনে। সমঝোতা না ভোটে নেতা নির্বাচিত করা হবে এ নিয়েও রয়েছে আলোচনা। অনেকে আলোচনার মাধ্যমে কমিটির পক্ষে মত দিলেও কেউ কেউ কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে কমিটি হওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন। আবার অনেকে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্বে আসার জন্যও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্মেলনকে সামনে রেখে কুলাউড়া আ’লীগের নেতাকর্মীরা পদ পদবী পেতে লবিং, দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। গত ২৪ অক্টোবর পৌরসভা হলরুমে বর্ধিত সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠছে আওয়ামী রাজনীতি।এর আগে সর্বশেষ ২০০৪ সালে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর কমিটির অনেক দায়িত্বশীল পদের লোকজন মারা গেছেন। আবার অনেকে বউ বাচ্চা নিয়ে প্রবাসে গেড়েছেন স্থায়ী নিবাস। ফলে বিগত কমিটির সিংহভাগ নেতাদের কোন অস্থিত্ব নেই। এর মধ্যে দলের বয়ে গেছে অনেক ঝঁড়ঝাঁপটা। একটা সময় দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্থ ছিলো দলের অবস্থা। সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে আওয়ামী লীগ যেন নতুন করে জেগেছে।

সর্বত্রই সাজ সাজ রব। আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে কারা আসছেন নতুন নেতৃত্বে। অনেকেই মনে করছেন দলকে যারা সুসংগঠিত করে কাজ করেছেন তাদের কে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেয়া হক। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আছে আবার প্রার্থী নেই এমন খেলা চলছে সর্বত্র। নেতাদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, দলের কাউন্সিলররা এবং জেলা ও কেন্দ্র যে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্ব পালন করবো।

এমন প্রত্যয়দিপ্ত কথা এর আগে বললে দল আরও সুসংগঠিত হতো বলে তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষনার পরপরই ডজন খানেক পদ প্রত্যাশীরা শীর্ষনেতাদের আশীর্বাদ পেতে জোর লবিং করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তৃণমূল ও কাউন্সিলরদের সমর্থন আদায়ের প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পদ প্রত্যাশী ও তাঁদের সমর্থকরা প্রচারে বেশ সরব। পছন্দের প্রার্থীর ছবি দিয়ে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই বলে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

পদ পেতে বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক ফজলু,

সাবেক কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সিএম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ রয়েছের আলোচনায়।

দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, এক সময় আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটি ছিলো কুলাউড়া। ২১০৫ সালের পৌর নির্বাচন থেকে প্রায় ৪ বছর ধরে কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ হয়ে ওঠে। সেখান থেকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। এরপর থেকেই প্রকাশ্য হয়ে ওঠে দলের বিভক্তি। সেই থেকে একাংশের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু।

অপরাংশের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমান। তবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে দি¦ধা-বিভক্ত উপজেলা কমিটিতে আবারো ঐক্যতান ফিরে আসবে বলে তৃণমূল কর্মীদের আশা।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, দলের সম্মেলন যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্ধিত কর্মীসভা হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও এর সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যাতে ঐক্যবদ্ধ থেকে সম্মেলনকে সফল করে সেজন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।