ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

তিল ধারনের ঠাঁই নেই ট্রেনে, প্রচণ্ড ভোগান্তিতে ঘরমুখী মুসল্লিরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৬৩ টাইম ভিউ

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয় মুসল্লিরা টঙ্গীর দিকে গণন্তব্যে ফিরছেন লাখো মানুষ। তবে টঙ্গীতে ‘টাউন সার্ভিস’নেই কোন বাস। পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা।

মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এবার বাড়ি ফেরার পালা। তবে ঘরমুখী লাখো মানুষের ফেরার জন্য নেই কোন সহজ পথ। ট্রেনে টঙ্গী ও জয়দেবপুর এবং এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মানুষের প্রচণ্ড ভীড়। পুরো টঙ্গীর কোথাও বাস নেই। রিকশা সহ ছোট যানবাহনগুলো যাত্রী পরিবহন করছে কয়েক গুন ভাড়ায়। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা গন্তব্যে ফিরছেন।

যানজট এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোর থেকেই বিশ্বরোডে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ। ফলে টঙ্গীর দিকে যেতে পারেনি কোন ‘টাউন সার্ভিস’ বাস। তাই পায়ে হেটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা।

এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা। তুরাগ পাড় থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত হেঁটে আসায় অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

এদিকে পরিবহন ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লিরা। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাওয়ার পরিবহনও তারা পাননি। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বরিশাল থেকে এসেছেন মো. মুনতাজ আলী। তিনি বলেন, ইজতেমার সব ব্যবস্থাই মোটামুটি ভালো। তবে গাড়ি নাই, এতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

টাউন সার্ভিস না থাকলেও কোনো কোনো জায়গায় লেগুনা দেখা গেছে। আর এই গাড়িতে উঠতে ইজতেমা ফেরত লোকজনের মধ্যে যেন লড়াই শুরু হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. রমিজ মোল্লা বলেন, রাস্তায় তো কোনো গাড়িই নেই। যেটা পেয়েছি উঠতে পারিনি। তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছি।

টঙ্গী রেলস্টেশনেও উপচেপড়া ভিড়। ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রামের মুসল্লিরাও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এতো মুসল্লি যে ট্রেনেও জায়গা হবে না।

টঙ্গী রেলস্টেশনে এক মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড কষ্টে ইজতেমার সব আনন্দ ফেরার পথেই ম্লান হয়ে যায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

তিল ধারনের ঠাঁই নেই ট্রেনে, প্রচণ্ড ভোগান্তিতে ঘরমুখী মুসল্লিরা

আপডেটের সময় : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয় মুসল্লিরা টঙ্গীর দিকে গণন্তব্যে ফিরছেন লাখো মানুষ। তবে টঙ্গীতে ‘টাউন সার্ভিস’নেই কোন বাস। পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা।

মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এবার বাড়ি ফেরার পালা। তবে ঘরমুখী লাখো মানুষের ফেরার জন্য নেই কোন সহজ পথ। ট্রেনে টঙ্গী ও জয়দেবপুর এবং এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মানুষের প্রচণ্ড ভীড়। পুরো টঙ্গীর কোথাও বাস নেই। রিকশা সহ ছোট যানবাহনগুলো যাত্রী পরিবহন করছে কয়েক গুন ভাড়ায়। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা গন্তব্যে ফিরছেন।

যানজট এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোর থেকেই বিশ্বরোডে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ। ফলে টঙ্গীর দিকে যেতে পারেনি কোন ‘টাউন সার্ভিস’ বাস। তাই পায়ে হেটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা।

এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা। তুরাগ পাড় থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত হেঁটে আসায় অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

এদিকে পরিবহন ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লিরা। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাওয়ার পরিবহনও তারা পাননি। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বরিশাল থেকে এসেছেন মো. মুনতাজ আলী। তিনি বলেন, ইজতেমার সব ব্যবস্থাই মোটামুটি ভালো। তবে গাড়ি নাই, এতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

টাউন সার্ভিস না থাকলেও কোনো কোনো জায়গায় লেগুনা দেখা গেছে। আর এই গাড়িতে উঠতে ইজতেমা ফেরত লোকজনের মধ্যে যেন লড়াই শুরু হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. রমিজ মোল্লা বলেন, রাস্তায় তো কোনো গাড়িই নেই। যেটা পেয়েছি উঠতে পারিনি। তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছি।

টঙ্গী রেলস্টেশনেও উপচেপড়া ভিড়। ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রামের মুসল্লিরাও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এতো মুসল্লি যে ট্রেনেও জায়গা হবে না।

টঙ্গী রেলস্টেশনে এক মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড কষ্টে ইজতেমার সব আনন্দ ফেরার পথেই ম্লান হয়ে যায়।