ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

তালিকা থেকে ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দেওয়া হয়েছে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ১২৩১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে জানিয়েছেন, ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন সারাদেশের এক লাখ ৮২ হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। যাদের নামে কোন আপত্তি নেই, এমন মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে দেশের মানুষ অওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমস্ত তালিকার বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এছাড়াও নার্স, শিল্পী-কলাকুশলী যাদের ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই তাঁদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আমরা মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করব।

মন্ত্রী বলেন, যাদের নামে আপত্তি এসেছে, তাঁদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। তবে কিছু সংখ্যেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সন্মানজনক আইডি কার্ড এখন পায়নি। তবে আগামী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সরকারী দলের সেলিম আলতাফ জর্জের পক্ষে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানান, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘৃণা প্রকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের জায়গায় নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার আবেদীন খানের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জাতীয় পতাকার মতো রঙ দিয়ে সাজানোর প্রস্তাব খুবই প্রশংসনীয়। বিষয়টি আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। যাতে দূর থেকে দেখেই মানুষ যেন বুঝতে পারে এটি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি।

আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার প্রশাসন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের দৃশ্যমান স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা বড় ফলকে লিখে তা টানানোর নির্দেশ দেওয়া আছে।

সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের আওতায়  দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

তালিকা থেকে ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দেওয়া হয়েছে

আপডেটের সময় : ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে জানিয়েছেন, ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন সারাদেশের এক লাখ ৮২ হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। যাদের নামে কোন আপত্তি নেই, এমন মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে দেশের মানুষ অওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমস্ত তালিকার বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এছাড়াও নার্স, শিল্পী-কলাকুশলী যাদের ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই তাঁদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আমরা মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করব।

মন্ত্রী বলেন, যাদের নামে আপত্তি এসেছে, তাঁদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। তবে কিছু সংখ্যেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সন্মানজনক আইডি কার্ড এখন পায়নি। তবে আগামী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সরকারী দলের সেলিম আলতাফ জর্জের পক্ষে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানান, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘৃণা প্রকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের জায়গায় নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার আবেদীন খানের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জাতীয় পতাকার মতো রঙ দিয়ে সাজানোর প্রস্তাব খুবই প্রশংসনীয়। বিষয়টি আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। যাতে দূর থেকে দেখেই মানুষ যেন বুঝতে পারে এটি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি।

আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার প্রশাসন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের দৃশ্যমান স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা বড় ফলকে লিখে তা টানানোর নির্দেশ দেওয়া আছে।

সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের আওতায়  দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হবে।