ডাকসুর ভিপি পদে কোটা আন্দোলনের নুর নির্বাচিত
- আপডেটের সময় : ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
- / ১৬১১ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ নানা অনিয়মের অভিযোগ এবং অধিকাংশ প্যানেল প্রার্থীদের ভোট বর্জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নুর।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সামাদ, চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
এজিএস পদে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ১৫ হাজার ৩০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৬ ভোট।
এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাদ বিন কাদের চৌধুরী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আরিফ ইবনে আলী। কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন লিপি আক্তার।
আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শাহরিমা তানজিম অর্নি। সাহিত্য সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মাজহারুল কবির শয়ন। সংস্কৃতি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আসিফ তালুকদার।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শাকিল আহমেদ তানভীর। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শামস-ঈ-নোমান। সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আখতার হোসেন।
ডাকসু নির্বাচনের ২৫টি পদের একটি বাদে অন্যগুলোতে ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। শুধু সমাজসেবা সম্পাদক পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আখতার হোসেন জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৩ জন।
এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।