ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

টানা বৃষ্টির প্রভাব সিলেট ও মৌলভীবাজারে সবজির বাজারে দাম চড়া

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
  • / ৪০৪ টাইম ভিউ

সিলেটে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে নষ্ট হয়েছে শত শত হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি। এর প্রভাব পড়েছে জেলার হাট-বাজারের সবজির দোকানগুলোতে। বেড়েছে সবজির দাম।

বিক্রেতাদের দাবী, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

মহামারী করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিন মজুর ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো এখন সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজিতে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা মরিচে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ ধরে।

বাজার করতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লকডাউনের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা কিছুদিন আগেও লুটেপুটে খেলো। আর এখন বৃষ্টি আর বন্যার কথা বলে বাজার গরম করে রেখেছে। আমাদের আয়-রোজগার কম। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল রেখে বাজার ঘাট করতে হয়। এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তরতর করে বেড়ে গেলে বাঁচার উপায় নেই। বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দোকানদাররা নিজের মতো করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিনে নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে অতিবৃষ্টি আর বন্যার প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। হঠাৎ করেই বেড়েছে কাঁচামরিচ, করলা, টমেটো, বরবটি ও শসাসহ বিভিন্ন সবজির দাম। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। সবজিভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। সবজি দাম বৃদ্ধির জন্য বন্যা ও বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন খুচরা বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, বৃষ্টি-বন্যার পানি সবজিবাগান ও খেতে ঢুকে পড়ায় পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে পাইকারি বাজারেই সবজির দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।

বুধবার সিলেট নগরীতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ৩০ টাকার প্রতি কেজি পটল ৫০ টাকা, ৩০ টাকার চিচিঙ্গা (জিংগা) ৪০-৪৫ টাকা, ৩০ টাকার কাকরল ৪৫-৫০ টাকা, ৩০ টাকার করলা ৫০ টাকা, ৩০ টাকার বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ৩০ টাকার ঢেঁড়শ ৫০-৫৫ টাকা, ৪০ টাকার বরবটি ৬০ টাকা, ২০ টাকার শসা ৫০ টাকা, ৪০ টাকার ওল কচুঁ ৫০ টাকা, ৩০ টাকার করলা ৪০-৫০ টাকা ও আকার বেদে মিষ্টি কুমড়ার প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। প্রতিপিছ লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ১৫ টাকার প্রতি আটি কচুর লতি ৩০ টাকা, ৫ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের একেকটি শাকের আটি এখন সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ২০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।

এছাড়াও আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কিছুটা বাড়লেও হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে গেছে। ১৬-১৮ টাকা কেজি মূল্যের আলু এখন একলাফে বেড়ে ৩০ টাকা হয়ে গেছে।

এদিকে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আলতাব মিয়া নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, বাজারে সবজি সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।

লাল দিঘির পারের সবজি বিক্রেতা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে সব ধরণের সবজির দাম একটু বেশি। সরবরাহ বাড়লেই দামও কমে যাবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

টানা বৃষ্টির প্রভাব সিলেট ও মৌলভীবাজারে সবজির বাজারে দাম চড়া

আপডেটের সময় : ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০

সিলেটে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে নষ্ট হয়েছে শত শত হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি। এর প্রভাব পড়েছে জেলার হাট-বাজারের সবজির দোকানগুলোতে। বেড়েছে সবজির দাম।

বিক্রেতাদের দাবী, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

মহামারী করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিন মজুর ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো এখন সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজিতে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা মরিচে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ ধরে।

বাজার করতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লকডাউনের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা কিছুদিন আগেও লুটেপুটে খেলো। আর এখন বৃষ্টি আর বন্যার কথা বলে বাজার গরম করে রেখেছে। আমাদের আয়-রোজগার কম। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল রেখে বাজার ঘাট করতে হয়। এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তরতর করে বেড়ে গেলে বাঁচার উপায় নেই। বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দোকানদাররা নিজের মতো করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিনে নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে অতিবৃষ্টি আর বন্যার প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। হঠাৎ করেই বেড়েছে কাঁচামরিচ, করলা, টমেটো, বরবটি ও শসাসহ বিভিন্ন সবজির দাম। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। সবজিভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। সবজি দাম বৃদ্ধির জন্য বন্যা ও বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন খুচরা বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, বৃষ্টি-বন্যার পানি সবজিবাগান ও খেতে ঢুকে পড়ায় পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে পাইকারি বাজারেই সবজির দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।

বুধবার সিলেট নগরীতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ৩০ টাকার প্রতি কেজি পটল ৫০ টাকা, ৩০ টাকার চিচিঙ্গা (জিংগা) ৪০-৪৫ টাকা, ৩০ টাকার কাকরল ৪৫-৫০ টাকা, ৩০ টাকার করলা ৫০ টাকা, ৩০ টাকার বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ৩০ টাকার ঢেঁড়শ ৫০-৫৫ টাকা, ৪০ টাকার বরবটি ৬০ টাকা, ২০ টাকার শসা ৫০ টাকা, ৪০ টাকার ওল কচুঁ ৫০ টাকা, ৩০ টাকার করলা ৪০-৫০ টাকা ও আকার বেদে মিষ্টি কুমড়ার প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। প্রতিপিছ লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ১৫ টাকার প্রতি আটি কচুর লতি ৩০ টাকা, ৫ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের একেকটি শাকের আটি এখন সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ২০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।

এছাড়াও আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কিছুটা বাড়লেও হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে গেছে। ১৬-১৮ টাকা কেজি মূল্যের আলু এখন একলাফে বেড়ে ৩০ টাকা হয়ে গেছে।

এদিকে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আলতাব মিয়া নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, বাজারে সবজি সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।

লাল দিঘির পারের সবজি বিক্রেতা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে সব ধরণের সবজির দাম একটু বেশি। সরবরাহ বাড়লেই দামও কমে যাবে।