টাইফয়েডে ভুগলেও শিশু হাসপাতালে জায়গা পেল না আড়াই বছরের ফরহাদ
- আপডেটের সময় : ১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯
- / ৪১০ টাইম ভিউ
২১ দিন ধরে টাইফয়েডে আক্রান্ত দুই বছর চার মাস বয়সী শিশু মো. ফরহাদ। জ্বরে হাত-পায়ে পানি এসেছে। এ রকম মুমূর্ষু অবস্থায় নোয়াখালী থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আনা হয় তাকে। কিন্তু শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফরহাদকে ভর্তি করেনি। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু হাসপাতালের ভেতরে একটি ছোট গাছের নিচে অসুস্থ ফরহাদকে নিয়ে বাবা জয়নাল আবেদিন আর মা পারভীন আক্তার অসহায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের ভালো চেনা নেই রাজধানীর পথঘাট, কোথায় কোন হাসপাতাল। পারভীন আক্তার জাগো নিউজকে জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অশোদিয়া গ্রাম থেকে ভোর ৫টায় রওনা দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় শিশু হাসপাতালে পৌঁছায়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসককে দেখালে তারা অন্য সরকারি হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেন। শিশু হাসপাতালে জায়গা না থাকায় তারা এ পরামর্শ দেন। হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহাঙ্গীর কবীর জানান, শিশু হাসপাতালের সাড়ে ছয়শ শয্যার সবগুলো রোগীতে পূর্ণ। এর মধ্যে ১২৮টি শয্যায় রয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু। শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের প্রচণ্ড ভিড়। এ রকম পরিস্থিতিতে একেবারে মুমূর্ষু রোগী ছাড়া গুরুতর অসুস্থ শিশুদেরও ভর্তি নিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেসব ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা তুলনামূলক ভালো, তাদের বাসা থেকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। একইভাবে অন্য রোগে আক্রান্ত শিশুদেরও জায়গা হচ্ছে না হাসপাতালে। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই ছুটছেন অন্য হাসপাতালে। সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালে কমপক্ষে এক হাজার শয্যা প্রয়োজন