ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য পরিদর্শন করলেন নড়াইলের এডিসি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৯৪৪ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সবুজে ঘেরা,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিবেদিত প্রাণ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিভৃত পল্লীর ডাঃ শমশের আলীর স্মৃতিবিজড়িত শমশের নগরে সদ্য জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সম্বলিত শতফুট উচ্চতার “The statue of speech and freedom” টাওয়ার ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের জন্য সংগৃহীত বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য পরিদর্শন করেন নড়াইল জেলার এডিসি জেনারেল জনাব মোঃ ইয়ারুল ইসলাম।

শনিবার (২২শে ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সম্বলিত শতফুট উচ্চতার “The statue of speech and freedom” টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের অস্থায়ী কমপ্লেক্সে অবস্থিত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন আলোকচিত্রসহ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস সম্বলিত জাদুঘরে অবস্থিত লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্য লেখেন এবং স্বাক্ষর করেন।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডাঃ মোঃ রাশেদ শমশের,কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।নির্মাণাধীন “The statue of speech and freedom” টাওয়ার ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের জন্য সংগৃহীত ভাস্কর্য এর প্রতিষ্ঠা ও সংগ্রহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের না জানা ইতিহাস সম্বলিত এই জাদুঘর থেকে অনেক কিছু জানার আছে। এই জাদুঘর পরিদর্শন করা সকলের প্রয়োজন।

এডিসি জেনারেল জনাব মোঃ ইয়ারুল ইসলাম পরিদর্শন বইতে আরোও লেখেন,“নদীর তীরবর্তী অবস্থিত এই কলেজের মনোরম পরিবেশসহ কলেজটিতে রয়েছে একঝাঁক তরুন শিক্ষক।কলেজের সভাপতি জনাব ডাঃ মোঃ রাশেদ শমশেরসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের একান্ত চেষ্টায় “The statue of speech and freedom” টাওয়ার নির্মিত হচ্ছে জেনে আমি ও আমার প্রশাসন আনন্দিত।তরুণ প্রজন্ম এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবে”।তিনি আরোও জানান,এই “The statue of speech and freedom” টাওয়ার সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে;এটি হবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি পর্যটন কেন্দ্র।তিনি এটি নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব ডাঃ রাশেদ শমশের এ প্রতিবেদককে বলেন, এ নিয়ে দুটি কথা বলার আগে বলে নিতে চাই যে যিনি জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃত, বিবিসি জরিপে জনপ্রিয় ভোটে যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের স্বাধীনতার জন্য, যাঁর কর্ম ও অবদান সারা বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করেছে, যাঁর অন্তত একটি ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করেছে, যাঁর প্রতি বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রনায়ক ও মনীষী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন, তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে সব আয়োজনে সেই উচ্চতা, মান ও মর্যাদা রক্ষা হওয়া উচিত।

আর তাই এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করে দিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের দলিল হতে পারে। আমাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ এবং অন্যান্য পেশার মানুষগুলোও তাদের কর্মকাণ্ডে ও প্রচার-প্রচারণায় বঙ্গবন্ধুকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি গণ্ডির সীমাবদ্ধ না রেখে অসীমের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের মূল লক্ষ্য।আর সে লক্ষ্যেকে সামনে রেখে মুজিব বর্ষে আমাদের উপহার “The statute of speech and freedom”।যার মধ্যে দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌছে যাবে।“The statute of speech and freedom” টাওয়ার পরিদর্শন করায় তিনি নড়াইলের এডিসি জেনারেল মোঃ ইয়ারুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিভূমি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা-লুণ্ঠন সীমা ছাড়িয়ে গেলে বাঙালি জনগোষ্ঠী, ‘জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য, চিত্ত ভাবনাহীন’ মনে করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।অবশেষে নয় মাসের সংগ্রাম, রক্ত ও সম্ভ্রম বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালির গৌরবময় এ অধ্যায়টি সার্থকভাবে রচনার জন্য জাতিকে প্রত্যয়ী করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বজ্রকণ্ঠ বাঙালি জাতির মননে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ও জাতিগত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জাগ্রত করে।

আর তাই,বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাঙালীর ঐতিহ্য যাতে নতুন প্রজন্মে কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরা যায় এবং জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা যায় সেজন্য বাংলাদেশের মধ্যে আমরাই প্রথম “The statute of speech and freedom” প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি।যেখানে বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য থাকবে,বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ভাস্কর্য ছাড়াও জাতির পিতার নিষ্পাপ শিশুপুত্র শেখ রাসেলের ভাস্কর্য,১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য,৭জন বীর শ্রেষ্ট,ভাষা শহীদ ও বিশ্বে যারা স্বাধীনতার জন্য অমর হয়ে আছেন তাদের ভাস্কর্য।তিনি বলেন,আগামী ১৬ই ডিসেম্বর আমরা এর শুভ উদ্বোধন ও দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করছি এবং সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।“The statute of speech and freedom” টাওয়ার পরিদর্শন করায় তিনি নড়াইলের এডিসি জেনারেল মোঃ ইয়ারুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরাঙ্গ কুমার বিশ্বাস, দর্শন বিভাগের প্রভাষক এম. এ মারুফ,ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোকুল কুমার বিশ্বাস,ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জিয়াউর রহমান,অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিম ও জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুনজুমান আরা বেগমসহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

পোস্ট শেয়ার করুন

ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য পরিদর্শন করলেন নড়াইলের এডিসি

আপডেটের সময় : ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সবুজে ঘেরা,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিবেদিত প্রাণ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিভৃত পল্লীর ডাঃ শমশের আলীর স্মৃতিবিজড়িত শমশের নগরে সদ্য জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সম্বলিত শতফুট উচ্চতার “The statue of speech and freedom” টাওয়ার ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের জন্য সংগৃহীত বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য পরিদর্শন করেন নড়াইল জেলার এডিসি জেনারেল জনাব মোঃ ইয়ারুল ইসলাম।

শনিবার (২২শে ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সম্বলিত শতফুট উচ্চতার “The statue of speech and freedom” টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের অস্থায়ী কমপ্লেক্সে অবস্থিত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন আলোকচিত্রসহ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস সম্বলিত জাদুঘরে অবস্থিত লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্য লেখেন এবং স্বাক্ষর করেন।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডাঃ মোঃ রাশেদ শমশের,কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।নির্মাণাধীন “The statue of speech and freedom” টাওয়ার ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের জন্য সংগৃহীত ভাস্কর্য এর প্রতিষ্ঠা ও সংগ্রহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের না জানা ইতিহাস সম্বলিত এই জাদুঘর থেকে অনেক কিছু জানার আছে। এই জাদুঘর পরিদর্শন করা সকলের প্রয়োজন।

এডিসি জেনারেল জনাব মোঃ ইয়ারুল ইসলাম পরিদর্শন বইতে আরোও লেখেন,“নদীর তীরবর্তী অবস্থিত এই কলেজের মনোরম পরিবেশসহ কলেজটিতে রয়েছে একঝাঁক তরুন শিক্ষক।কলেজের সভাপতি জনাব ডাঃ মোঃ রাশেদ শমশেরসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের একান্ত চেষ্টায় “The statue of speech and freedom” টাওয়ার নির্মিত হচ্ছে জেনে আমি ও আমার প্রশাসন আনন্দিত।তরুণ প্রজন্ম এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবে”।তিনি আরোও জানান,এই “The statue of speech and freedom” টাওয়ার সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে;এটি হবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি পর্যটন কেন্দ্র।তিনি এটি নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব ডাঃ রাশেদ শমশের এ প্রতিবেদককে বলেন, এ নিয়ে দুটি কথা বলার আগে বলে নিতে চাই যে যিনি জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃত, বিবিসি জরিপে জনপ্রিয় ভোটে যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের স্বাধীনতার জন্য, যাঁর কর্ম ও অবদান সারা বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করেছে, যাঁর অন্তত একটি ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করেছে, যাঁর প্রতি বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রনায়ক ও মনীষী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন, তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে সব আয়োজনে সেই উচ্চতা, মান ও মর্যাদা রক্ষা হওয়া উচিত।

আর তাই এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করে দিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের দলিল হতে পারে। আমাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ এবং অন্যান্য পেশার মানুষগুলোও তাদের কর্মকাণ্ডে ও প্রচার-প্রচারণায় বঙ্গবন্ধুকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি গণ্ডির সীমাবদ্ধ না রেখে অসীমের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের মূল লক্ষ্য।আর সে লক্ষ্যেকে সামনে রেখে মুজিব বর্ষে আমাদের উপহার “The statute of speech and freedom”।যার মধ্যে দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌছে যাবে।“The statute of speech and freedom” টাওয়ার পরিদর্শন করায় তিনি নড়াইলের এডিসি জেনারেল মোঃ ইয়ারুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিভূমি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা-লুণ্ঠন সীমা ছাড়িয়ে গেলে বাঙালি জনগোষ্ঠী, ‘জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য, চিত্ত ভাবনাহীন’ মনে করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।অবশেষে নয় মাসের সংগ্রাম, রক্ত ও সম্ভ্রম বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালির গৌরবময় এ অধ্যায়টি সার্থকভাবে রচনার জন্য জাতিকে প্রত্যয়ী করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বজ্রকণ্ঠ বাঙালি জাতির মননে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ও জাতিগত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জাগ্রত করে।

আর তাই,বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাঙালীর ঐতিহ্য যাতে নতুন প্রজন্মে কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরা যায় এবং জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা যায় সেজন্য বাংলাদেশের মধ্যে আমরাই প্রথম “The statute of speech and freedom” প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি।যেখানে বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য থাকবে,বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ভাস্কর্য ছাড়াও জাতির পিতার নিষ্পাপ শিশুপুত্র শেখ রাসেলের ভাস্কর্য,১৫ই আগষ্টে নিহতদের ভাস্কর্য,৭জন বীর শ্রেষ্ট,ভাষা শহীদ ও বিশ্বে যারা স্বাধীনতার জন্য অমর হয়ে আছেন তাদের ভাস্কর্য।তিনি বলেন,আগামী ১৬ই ডিসেম্বর আমরা এর শুভ উদ্বোধন ও দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করছি এবং সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।“The statute of speech and freedom” টাওয়ার পরিদর্শন করায় তিনি নড়াইলের এডিসি জেনারেল মোঃ ইয়ারুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরাঙ্গ কুমার বিশ্বাস, দর্শন বিভাগের প্রভাষক এম. এ মারুফ,ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোকুল কুমার বিশ্বাস,ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জিয়াউর রহমান,অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিম ও জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুনজুমান আরা বেগমসহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।