ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

জেনে নিন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পদ্ধতি, যোগ্যতা, পরীক্ষা ও সুবিধাদিসহ বিস্তারিত

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯
  • / ১৩৩৩ টাইম ভিউ

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পুরুষ ও নারীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।

পুলিশের আটটি বিভাগীয় রেঞ্জে শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তত্ত্ব ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এই দুটি পরীক্ষায় যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলেও সবশেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুলিশ বাহিনীতে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এক বছর সফল প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা। প্রশিক্ষণকালে থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ১০০০ (এক হাজার) টাকা হারে প্রত্যেককে মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে। ট্রেনিং শেষে যোগদান করার পর একজন এসআই ২০১৫ সনের জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ গ্রেড অনুযায়ী মূল বেতন পাবেন ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা সহ প্রচলিত ভাতাদি এবং অন্যান্য সুবিধাদি (যেমন স্বল্প মূল্যে রেশন, বিনামূল্যে পোশাক ও চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি)

প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীর সবাইকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। সাধারণ ও অন্যান্য কোটায় প্রার্থীয় বয়স মাধ্যমিক বা সমমানের সনদ অনুযায়ী ১ এপ্রিল ১০১৯ তারিখে বয়স হতে হবে ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ১৯ হতে ৩২ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স ১৯ হতে ২৭ বছরই মধ্যে হতে হবে।

শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রির অধিকারী ও কম্পিউটারে অভিজ্ঞ হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। পুরুষ-নারী সবার ক্ষেত্রে উচ্চতা ও বয়সের সঙ্গে ওজন অনুমোদিত পরিমাপক হতে হবে। উল্লেখ্য সকল আবেদনকারীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে (তালাকপ্রাপ্ত গ্রহনযোগ্য নয়)পরীক্ষার সময়ঃ সাতটি রেঞ্জে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সকাল নয়টায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলোঃ

ঢাকা বিভাগ: এপিবিএন পুলিশ লাইনস্ মিলব্যারাক, ঢাকা।

চট্টগ্রাম বিভাগ: সিএমপি পুলিশ লাইনস্, চট্টগ্রাম।

রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনস্, রাজশাহী।

রংপুর বিভাগ: রংপুর জেলা পুলিশ লাইনস্, রংপুর।

খুলনা বিভাগ: পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার (পিটিসি), খুলনা।

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনস্, বরিশাল।

সিলেট বিভাগ: সিলেট জেলা পুলিশ লাইনস্, সিলেট।

এ সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূলকপি, নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, সত্যায়িত রঙিন পাসপোর্ট সাইজের চার  কপি ছবি আনতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতীয় কোটায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ওই পরীক্ষার দিনই সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ৩০০ টাকার পরীক্ষার ফি যেকোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ডিআইজির কার্যালয়ে ৭ মে ২০১৯ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেখান থেকে পরীক্ষায় স্থান জানিয়ে প্রার্থীদের কাছে লিখিত প্রবেশপত্র সময়মতো পাঠানো হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না। লিখিত পরীক্ষার বিষয় ২২৫ নম্বরের তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৬ জুন সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১৭ জুন সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার সাধারণ জ্ঞান ও পাটিগণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবং ১৮ জুন সকাল ১০টায় আধঘণ্টার মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সময়মতো মৌখিক পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় একইভাবে প্রার্থীদের জানানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

জেনে নিন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পদ্ধতি, যোগ্যতা, পরীক্ষা ও সুবিধাদিসহ বিস্তারিত

আপডেটের সময় : ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পুরুষ ও নারীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।

পুলিশের আটটি বিভাগীয় রেঞ্জে শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মনস্তত্ত্ব ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এই দুটি পরীক্ষায় যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলেও সবশেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পুলিশ বাহিনীতে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এক বছর সফল প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা। প্রশিক্ষণকালে থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ১০০০ (এক হাজার) টাকা হারে প্রত্যেককে মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে। ট্রেনিং শেষে যোগদান করার পর একজন এসআই ২০১৫ সনের জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ গ্রেড অনুযায়ী মূল বেতন পাবেন ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা সহ প্রচলিত ভাতাদি এবং অন্যান্য সুবিধাদি (যেমন স্বল্প মূল্যে রেশন, বিনামূল্যে পোশাক ও চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি)

প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীর সবাইকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। সাধারণ ও অন্যান্য কোটায় প্রার্থীয় বয়স মাধ্যমিক বা সমমানের সনদ অনুযায়ী ১ এপ্রিল ১০১৯ তারিখে বয়স হতে হবে ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ১৯ হতে ৩২ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স ১৯ হতে ২৭ বছরই মধ্যে হতে হবে।

শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রির অধিকারী ও কম্পিউটারে অভিজ্ঞ হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। পুরুষ-নারী সবার ক্ষেত্রে উচ্চতা ও বয়সের সঙ্গে ওজন অনুমোদিত পরিমাপক হতে হবে। উল্লেখ্য সকল আবেদনকারীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে (তালাকপ্রাপ্ত গ্রহনযোগ্য নয়)পরীক্ষার সময়ঃ সাতটি রেঞ্জে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সকাল নয়টায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলোঃ

ঢাকা বিভাগ: এপিবিএন পুলিশ লাইনস্ মিলব্যারাক, ঢাকা।

চট্টগ্রাম বিভাগ: সিএমপি পুলিশ লাইনস্, চট্টগ্রাম।

রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনস্, রাজশাহী।

রংপুর বিভাগ: রংপুর জেলা পুলিশ লাইনস্, রংপুর।

খুলনা বিভাগ: পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার (পিটিসি), খুলনা।

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনস্, বরিশাল।

সিলেট বিভাগ: সিলেট জেলা পুলিশ লাইনস্, সিলেট।

এ সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূলকপি, নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, সত্যায়িত রঙিন পাসপোর্ট সাইজের চার  কপি ছবি আনতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতীয় কোটায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ওই পরীক্ষার দিনই সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ৩০০ টাকার পরীক্ষার ফি যেকোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ডিআইজির কার্যালয়ে ৭ মে ২০১৯ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেখান থেকে পরীক্ষায় স্থান জানিয়ে প্রার্থীদের কাছে লিখিত প্রবেশপত্র সময়মতো পাঠানো হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না। লিখিত পরীক্ষার বিষয় ২২৫ নম্বরের তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৬ জুন সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার ইংরেজি, বাংলা রচনা ও কম্পোজিশনের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১৭ জুন সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার সাধারণ জ্ঞান ও পাটিগণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবং ১৮ জুন সকাল ১০টায় আধঘণ্টার মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সময়মতো মৌখিক পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় একইভাবে প্রার্থীদের জানানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে।