ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

জুড়ীতে ইউএনকে অপদস্থ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯
  • / ৫৫৫ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অপদস্থ করেছেন একই উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক। এমনকি ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এ উপজেলা চেয়ারম্যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুড়ী উপজেলায় বৈঠক করছেন। জানা যায়, গত ১৮ জুন মঙ্গলবার রাত ৮টায় উপজেলা শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারে বাস চাপায় ইব্রাহিম আলী (৬০) নামে ফুটপাতের এক ফল বিক্রেতার মৃত্যু হয়। পরদিন পরিবহন শ্রমিকরা ফুটপাতের কিছু দোকান ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনে এক জরুরী সভায় ফুটপাতের সকল দোকান স্থানান্তর ও অবৈধ গাড়ী পার্কিং সরানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের ব্যক্তি মালিকানাধীন জুড়ী নিউ মার্কেটের সামনে সিএন্ডবির জায়গায় বেশ কিছু অবৈধ দোকান পাট ও ফুটপাত রয়েছে, যা থেকে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এইসব অবৈধ স্থাপনা, দোকান-পাট ও ফুটপাত উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন ইউএনও। আর তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান। তাছাড়া উপজেলা উন্নয়ন তহবিল (এডিপি ও রাজস্ব) ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের অর্থ দ্বারা ৩৮ লক্ষ টাকার ষোলটি কাজ উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর পছন্দের ১৯জন ঠিকাদারদের মধ্যে বন্টন করতে চেয়েছিলেন। তারা সিডিউল বিক্রি করতে বাঁধা প্রদান করেন। ইউএনও অবৈধ পন্থায় না গিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডার আহŸান করেন। এই দুই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিকের উপর ক্ষিপ্ত হন। জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আইন প্রণয়ন কমিটির প্রণেতা। তিনিই যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় আমার সরকারি বাসভবনের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন ‘আপনি কেন আমার ফোন ধরলেন না। আপনি আমার ফোন ধরতে বাধ্য। পরে আমাকে দেখে নেবো, সরিয়ে দেবো বলে হুমকি প্রদান করে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি সাথে সাথে আমার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর থানায় জিডি করবো। এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের সাথে কথা বলতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন ইন্টারন্যাল বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি।

পোস্ট শেয়ার করুন

জুড়ীতে ইউএনকে অপদস্থ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

আপডেটের সময় : ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অপদস্থ করেছেন একই উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক। এমনকি ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এ উপজেলা চেয়ারম্যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুড়ী উপজেলায় বৈঠক করছেন। জানা যায়, গত ১৮ জুন মঙ্গলবার রাত ৮টায় উপজেলা শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারে বাস চাপায় ইব্রাহিম আলী (৬০) নামে ফুটপাতের এক ফল বিক্রেতার মৃত্যু হয়। পরদিন পরিবহন শ্রমিকরা ফুটপাতের কিছু দোকান ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনে এক জরুরী সভায় ফুটপাতের সকল দোকান স্থানান্তর ও অবৈধ গাড়ী পার্কিং সরানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের ব্যক্তি মালিকানাধীন জুড়ী নিউ মার্কেটের সামনে সিএন্ডবির জায়গায় বেশ কিছু অবৈধ দোকান পাট ও ফুটপাত রয়েছে, যা থেকে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এইসব অবৈধ স্থাপনা, দোকান-পাট ও ফুটপাত উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন ইউএনও। আর তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান। তাছাড়া উপজেলা উন্নয়ন তহবিল (এডিপি ও রাজস্ব) ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের অর্থ দ্বারা ৩৮ লক্ষ টাকার ষোলটি কাজ উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর পছন্দের ১৯জন ঠিকাদারদের মধ্যে বন্টন করতে চেয়েছিলেন। তারা সিডিউল বিক্রি করতে বাঁধা প্রদান করেন। ইউএনও অবৈধ পন্থায় না গিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডার আহŸান করেন। এই দুই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিকের উপর ক্ষিপ্ত হন। জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আইন প্রণয়ন কমিটির প্রণেতা। তিনিই যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় আমার সরকারি বাসভবনের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন ‘আপনি কেন আমার ফোন ধরলেন না। আপনি আমার ফোন ধরতে বাধ্য। পরে আমাকে দেখে নেবো, সরিয়ে দেবো বলে হুমকি প্রদান করে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি সাথে সাথে আমার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর থানায় জিডি করবো। এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের সাথে কথা বলতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন ইন্টারন্যাল বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি।