ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে এলো বিশাল পরিমাণ রেমিট্যান্স

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২২০ টাইম ভিউ

বছরের শুরুতেই প্রবাসীদরর প্রেরিত রেমিট্যান্সের প্রবাহ ইতিবাচকভাবে দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে দেশে এসেচছে ৯২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো এই অর্থ দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসেছে।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই সময়ে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭৭ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ লাখ মার্কিন ডলার।

তবে সাত ব্যাংক কোনো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। এগুলো হলো- বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কর্মাশিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খা‌তের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

সরকার রেমিট্যান্স বাড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন- বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা।

বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

পোস্ট শেয়ার করুন

জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে এলো বিশাল পরিমাণ রেমিট্যান্স

আপডেটের সময় : ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

বছরের শুরুতেই প্রবাসীদরর প্রেরিত রেমিট্যান্সের প্রবাহ ইতিবাচকভাবে দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে দেশে এসেচছে ৯২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো এই অর্থ দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসেছে।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই সময়ে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭৭ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ লাখ মার্কিন ডলার।

তবে সাত ব্যাংক কোনো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। এগুলো হলো- বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কর্মাশিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খা‌তের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

সরকার রেমিট্যান্স বাড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন- বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা।

বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।