ছাড়পত্রের সঙ্গে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ
- আপডেটের সময় : ০৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯
- / ৯৩৮ টাইম ভিউ
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রোগীর ছাড়পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। মেডিকেল সার্টিফিকেট দেরিতে পাওয়ায় বিচার এবং মামলার তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশ দেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি মাহবুব আলী।
শনিবার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী এবং সদর থানার ওসি সাহিদুর রহমান বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীর নজরে আনলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) দেবাশীষ দাশকে ডেকে এনে এমন নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির হাসপাতাল প্রাঙ্গণ দালাল মুক্ত এবং কম্পাউন্ডে অ্যাম্বুলেন্স না রাখার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা প্রশংসনীয়। অবশ্যই হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করতে হবে এবং কম্পাউন্ডে অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে না। হাসপাতালের সামনে দোকানপাটও রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, আমি বিমান মন্ত্রণালয়ে যে দায়িত্ব পালন করছি সেটি অত্যন্ত কঠিন কাজ। সেখানে আমি নিজের হাতে রুম পরিষ্কার করি। কিন্তু হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের নোংরা অবস্থা দেখলে কষ্ট হয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যদি হাসপাতাল পরিষ্কার না রাখেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন ভবনে হাসপাতাল স্থানান্তর না হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, যে দু’টি ফ্লোরে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে, সে দু’টি বাদ দিয়ে বাকি ছয়টি ফ্লোরে শিগগিরই ২৫০ শয্যা হাসপাতাল স্থানান্তর করা হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল, সিভিল সার্জন ডা. সুচীন্ত চৌধুরী, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতীন্দ্র চন্দ্র দেব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. নাসিমা খানম ইভা ও প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী।
এদিকে হবিগঞ্জের খোয়াই এবং সুতাং নদীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করতে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর কাছে দাবি জানানো হয়েছে। দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার নামে দু’টি সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল এ দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাপা সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, তোফাজ্জল সোহেল, নদী জলাশয় ও পুকুর রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব আহসানুল হক সুজা, বাপা সদস্য অ্যাডভোকেট বিজন বিহারী দাস, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।