ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

চীনকে চেক দিতে বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • / ৩২৮ টাইম ভিউ

বাংলাদেশকে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়া চেক দিতে কৌশল নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে পারে। ‘টু চেক বাংলাদেশজ চায়না ড্রিফট, ইউএস মে ডিপোর্ট মুজিব কিলিং সাসপেক্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে আরো বলা হয়, পরিবর্তিত বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া একজন বাংলাদেশির (রাশেদ চৌধুরী) আশ্রয় বাতিল করতে পারে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের সঙ্গে জড়িত। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, ১৯৭৫ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারী রাশেদ চৌধুরী। ২০০৬ সালে তাকে আশ্রয় মঞ্জুর করে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশনা ‘পলিটিকো’র মতে, জুনেই রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কিত সব ডকুমেন্ট তলব করেছেন মার্কিন এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীদের উদ্ধৃত করে পলিটিকো বলেছে, রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় অনুমোদন বাতিল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে লেগে আছে শেখ হাসিনার সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব কর্মকর্তা ঢাকা সফরে এসেছেন তাদের প্রতি জনের কাছে এ ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। এরই মধ্যে রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশে অভিযুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেককে অভিযুক্ত করে তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছে শেখ হাসিনার সরকার। এক্ষেত্রে রাশেদ চৌধুরী হবেন একজন হাই-প্রোফাইল অভিযুক্ত।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে উদহারণ হলো, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ঊর্ধ্বমুখী হিসেবে দেখা হয়।
এর অনেক কারণের মধ্যে অবশ্যই অন্যতম একটি কারণ হলো- ঢাকাকে চীনাদের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, চীনারা বাংলাদেশের ভিতরে মাথা ঢুকানোর জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা নিয়েছে। সম্ভবত এ জন্যই এক হয়ে কাজ করছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে রাশেদ চৌধুরীকে চূড়ান্ত দফায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে দেখা যেতে পারে। আর তাতে ইতিহাসের বেদনাময় একটি অধ্যায়ের ইতি ঘটতে পারে।

পোস্ট শেয়ার করুন

চীনকে চেক দিতে বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটের সময় : ০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশকে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়া চেক দিতে কৌশল নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে পারে। ‘টু চেক বাংলাদেশজ চায়না ড্রিফট, ইউএস মে ডিপোর্ট মুজিব কিলিং সাসপেক্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে আরো বলা হয়, পরিবর্তিত বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া একজন বাংলাদেশির (রাশেদ চৌধুরী) আশ্রয় বাতিল করতে পারে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের সঙ্গে জড়িত। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, ১৯৭৫ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারী রাশেদ চৌধুরী। ২০০৬ সালে তাকে আশ্রয় মঞ্জুর করে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশনা ‘পলিটিকো’র মতে, জুনেই রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কিত সব ডকুমেন্ট তলব করেছেন মার্কিন এটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীদের উদ্ধৃত করে পলিটিকো বলেছে, রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় অনুমোদন বাতিল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে লেগে আছে শেখ হাসিনার সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব কর্মকর্তা ঢাকা সফরে এসেছেন তাদের প্রতি জনের কাছে এ ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। এরই মধ্যে রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশে অভিযুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেককে অভিযুক্ত করে তাদের ফাঁসি কার্যকর করেছে শেখ হাসিনার সরকার। এক্ষেত্রে রাশেদ চৌধুরী হবেন একজন হাই-প্রোফাইল অভিযুক্ত।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে উদহারণ হলো, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ঊর্ধ্বমুখী হিসেবে দেখা হয়।
এর অনেক কারণের মধ্যে অবশ্যই অন্যতম একটি কারণ হলো- ঢাকাকে চীনাদের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, চীনারা বাংলাদেশের ভিতরে মাথা ঢুকানোর জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা নিয়েছে। সম্ভবত এ জন্যই এক হয়ে কাজ করছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে রাশেদ চৌধুরীকে চূড়ান্ত দফায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে দেখা যেতে পারে। আর তাতে ইতিহাসের বেদনাময় একটি অধ্যায়ের ইতি ঘটতে পারে।