ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

চাকুরী হারিয়ে কেউ খুঁজছে ছোট ফ্ল্যাট, কেউ ছাড়ছে ঢাকা

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
  • / ২৭৩ টাইম ভিউ

চাকুরী হারানো অনেক মানুষই ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরছেন। তাই রাজধানীর অলিগলিতে এখন বাসায় বাসায় ঝুলছে ‘টু-লেট’। ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না অনেক বাড়ির মালিক। অন্যদিকে নিম্ন–মধ্য আয়ের লোকজন খুঁজছেন ছোট ফ্ল্যাট। কয়েক হাজার টাকা বাঁচাতে অনেকেই এই পথে হাঁটছেন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রাজধানীতে ছোট ফ্ল্যাটের যে চাহিদা বেড়েছে তা জানিয়েছে অনলাইনে বাড়ি ও বাণিজ্যিক জায়গা ভাড়া এবং ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রির সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিপ্রপার্টি ডট কম। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তালিকাভুক্ত প্রপার্টি ও অনুসন্ধানের সংখ্যার ভিত্তিতে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের শেষদিকে লকডাউন জারি করা হয়। সেসময় বাড়ি ভাড়ার চাহিদা কমতে থাকে। লকডাউনের কারণে এপ্রিলে স্থবিরতা ছিল। মে মাস থেকেই চাহিদা বাড়তে থাকে। জুনেও তা অব্যাহত ছিল। বর্তমানে ভাড়া বাড়ি খোঁজা ও বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানের হার চলতি বছরের শুরুর দিকের চেয়েও বেশি। তবে খরচ বাঁচাতে অধিকাংশ মানুষই সাশ্রয়ী ভাড়ার ছোট ফ্ল্যাট খুঁজছেন।

বিপ্রপার্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুযারি-মার্চ) বাড়ি ভাড়া নেওয়া ও প্রপার্টি তালিকাভুক্তির হার গত বছরের শেষ তিন মাসের চেয়ে বেশি ছিল। মার্চের শুরুর দিকে বেশিরভাগ মানুষই ১ হাজার থেকে দেড় হাজার বর্গফুটের মধ্যে ২ বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজছিলেন। যেসব বাড়ির ভাড়া ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেগুলোই বেশি খোঁজ করা হয় বলে জানায় বিপ্রপার্টি।

চলতি বছর রাজধানীর শ্যামপুর, খিলক্ষেত, মানিকনগর, কাফরুল, দক্ষিণ খান, আগারগাঁও, হাজারীবাগে তুলনামূলক কম ভাড়ায় বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে এলাকাগুলোতে বাড়ি ভাড়ার চাহিদা বাড়ছে। তবে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এবং মোহাম্মদপুর পছন্দের শীর্ষে। এই তিন এলাকা চলতি বছর ভাড়া বাড়ির মোট চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশ পূরণ করছে।

ঢাকার বাড্ডার একটি কারখানায় প্রশাসনিক পদে কাজ করতেন এ কে আজাদ। কুড়িলে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। গত মাসে হঠাৎ করে তাঁর চাকরি চলে যায়।
শিগগিরই নতুন করে চাকরি পাওয়ার আশা কম। তাই পরিবার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেকই । তাতে বাসা ভাড়ার খরচ অন্তত বাঁচবে।

অবশ্য এমন নতুন বাস্তবতা যে আসন্ন তা গত দুই মাস ধরে আঁচ করা যাচ্ছিল। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেনী–পেশার ২ হাজার ৩৭১ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্র্যাক গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে দেখা যায়, ৩৬ শতাংশ লোক চাকরি বা কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। ৩ শতাংশ লোক চাকরি থাকলেও বেতন পাননি। আর দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ৬২ ভাগই কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। করোনার কারণে ১০টি জেলার মানুষের আয় কমে গেছে। ঢাকার মানুষের আয় কমেছে ৬০ ভাগ।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠনে কাজ করেন শামীম আখন্দ। রামপুরায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। করোনার কারণে গত তিন মাস ধরে বেতন কম পাচ্ছেন।
অনেক চাকুরী জীবন বলেন বর্তমানে যে বেতন পাচ্ছি তাতে সংসার চালানো মুশকিল। তাই ৮-১০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট বাসা ভাড়া নিব। মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও এ ছাড়া আর উপায় নেই।

পোস্ট শেয়ার করুন

চাকুরী হারিয়ে কেউ খুঁজছে ছোট ফ্ল্যাট, কেউ ছাড়ছে ঢাকা

আপডেটের সময় : ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

চাকুরী হারানো অনেক মানুষই ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরছেন। তাই রাজধানীর অলিগলিতে এখন বাসায় বাসায় ঝুলছে ‘টু-লেট’। ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না অনেক বাড়ির মালিক। অন্যদিকে নিম্ন–মধ্য আয়ের লোকজন খুঁজছেন ছোট ফ্ল্যাট। কয়েক হাজার টাকা বাঁচাতে অনেকেই এই পথে হাঁটছেন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রাজধানীতে ছোট ফ্ল্যাটের যে চাহিদা বেড়েছে তা জানিয়েছে অনলাইনে বাড়ি ও বাণিজ্যিক জায়গা ভাড়া এবং ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রির সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিপ্রপার্টি ডট কম। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তালিকাভুক্ত প্রপার্টি ও অনুসন্ধানের সংখ্যার ভিত্তিতে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের শেষদিকে লকডাউন জারি করা হয়। সেসময় বাড়ি ভাড়ার চাহিদা কমতে থাকে। লকডাউনের কারণে এপ্রিলে স্থবিরতা ছিল। মে মাস থেকেই চাহিদা বাড়তে থাকে। জুনেও তা অব্যাহত ছিল। বর্তমানে ভাড়া বাড়ি খোঁজা ও বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানের হার চলতি বছরের শুরুর দিকের চেয়েও বেশি। তবে খরচ বাঁচাতে অধিকাংশ মানুষই সাশ্রয়ী ভাড়ার ছোট ফ্ল্যাট খুঁজছেন।

বিপ্রপার্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুযারি-মার্চ) বাড়ি ভাড়া নেওয়া ও প্রপার্টি তালিকাভুক্তির হার গত বছরের শেষ তিন মাসের চেয়ে বেশি ছিল। মার্চের শুরুর দিকে বেশিরভাগ মানুষই ১ হাজার থেকে দেড় হাজার বর্গফুটের মধ্যে ২ বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজছিলেন। যেসব বাড়ির ভাড়া ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেগুলোই বেশি খোঁজ করা হয় বলে জানায় বিপ্রপার্টি।

চলতি বছর রাজধানীর শ্যামপুর, খিলক্ষেত, মানিকনগর, কাফরুল, দক্ষিণ খান, আগারগাঁও, হাজারীবাগে তুলনামূলক কম ভাড়ায় বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে এলাকাগুলোতে বাড়ি ভাড়ার চাহিদা বাড়ছে। তবে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এবং মোহাম্মদপুর পছন্দের শীর্ষে। এই তিন এলাকা চলতি বছর ভাড়া বাড়ির মোট চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশ পূরণ করছে।

ঢাকার বাড্ডার একটি কারখানায় প্রশাসনিক পদে কাজ করতেন এ কে আজাদ। কুড়িলে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। গত মাসে হঠাৎ করে তাঁর চাকরি চলে যায়।
শিগগিরই নতুন করে চাকরি পাওয়ার আশা কম। তাই পরিবার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেকই । তাতে বাসা ভাড়ার খরচ অন্তত বাঁচবে।

অবশ্য এমন নতুন বাস্তবতা যে আসন্ন তা গত দুই মাস ধরে আঁচ করা যাচ্ছিল। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেনী–পেশার ২ হাজার ৩৭১ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্র্যাক গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে দেখা যায়, ৩৬ শতাংশ লোক চাকরি বা কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। ৩ শতাংশ লোক চাকরি থাকলেও বেতন পাননি। আর দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ৬২ ভাগই কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। করোনার কারণে ১০টি জেলার মানুষের আয় কমে গেছে। ঢাকার মানুষের আয় কমেছে ৬০ ভাগ।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠনে কাজ করেন শামীম আখন্দ। রামপুরায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। করোনার কারণে গত তিন মাস ধরে বেতন কম পাচ্ছেন।
অনেক চাকুরী জীবন বলেন বর্তমানে যে বেতন পাচ্ছি তাতে সংসার চালানো মুশকিল। তাই ৮-১০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট বাসা ভাড়া নিব। মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও এ ছাড়া আর উপায় নেই।