ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৬৫৮ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ দেশের গ্রাম পুলিশকে সরকারি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদমর্যাদা দিতে এবং সে অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করে তা প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে, ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি জানান, এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলায় আংশিক এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী সাংবাদিকদের বলেন, আদালত এই রিট মামলায় আগামী মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) আরো কিছু পর্যবেক্ষণ দেবেন।
আদালতের রায়ের পর, গ্রাম পুলিশ বাহিনী রিট বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. উজ্জ্বল খান, সম্পাদক সায়েদুল দেওয়ান সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে উপস্থিত গ্রাম পুলিশরা আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা তখন একে অপরের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদেন। এই রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হাইকোর্টের প্রতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তারা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারিদের স্কেলের সমপরিমাণ বেতন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৩৫৫ জন গ্রাম পুলিশ এ রিট দায়ের করেন। বর্তমানে প্রায় ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশের একজন দফাদার বেতন পান ৩ হাজার ৪শ এবং মহালদার পান ৩ হাজার টাকা। পরে আইনজীবী হুমায়ুন কবির বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে।
সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ

আপডেটের সময় : ০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ দেশের গ্রাম পুলিশকে সরকারি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদমর্যাদা দিতে এবং সে অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করে তা প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে, ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি জানান, এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলায় আংশিক এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী সাংবাদিকদের বলেন, আদালত এই রিট মামলায় আগামী মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) আরো কিছু পর্যবেক্ষণ দেবেন।
আদালতের রায়ের পর, গ্রাম পুলিশ বাহিনী রিট বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. উজ্জ্বল খান, সম্পাদক সায়েদুল দেওয়ান সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে উপস্থিত গ্রাম পুলিশরা আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা তখন একে অপরের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদেন। এই রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হাইকোর্টের প্রতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তারা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারিদের স্কেলের সমপরিমাণ বেতন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৩৫৫ জন গ্রাম পুলিশ এ রিট দায়ের করেন। বর্তমানে প্রায় ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশের একজন দফাদার বেতন পান ৩ হাজার ৪শ এবং মহালদার পান ৩ হাজার টাকা। পরে আইনজীবী হুমায়ুন কবির বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে।
সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।