গোলাপগঞ্জে দুই নারী শিশু অপহরণকারী আটক, শিশু উদ্দার
- আপডেটের সময় : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / ৪০৬ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত ডেস্কঃ গোলাপগঞ্জে দুই নারী অপহরণকারী কবল থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে অপহরণকারী দুই নারী। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্ভর) উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ থেকে তাদের উদ্ধারের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। জানা যায়, মৌলভীবারের জুড়ি উপজেলার পশ্চিম জুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ভবানিপুর গ্রামের পাশ থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আশরাফুল হাসান রাশেদ। বাড়ীর পাশে অবস্থিত জুড়ি তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারী কলেজ মাঠে শিল্প ও পণ্য মেলা দেখতে গিয়ে সে নিখোজ হয় গত শনিবার। নিখোজের পর তার পরিবারের লোকজন সম্ভ্রাব্য সকল স্থানে যোগাযোগ করে তার কোন সন্ধান পাচ্ছিলেননা। এরপর নিখোজ আমরাফুল হাসান রাশেদের পিতা আজিদ মিয়া জুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডি নং ১০৮০। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে হন্যে খুঁজতে থাকেন শিশু রাশেদকে উদ্ধারে। অবশেষে সোমবার উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বাজারের তাঁত শিল্প মেলা থেকে রাশেদকে উদ্ধারের পর দুই মেয়ে আটক করা হয়। অপহরণকারীরা হলো মাহমুদা আক্তার ইমা ও ফাহমিদা বেগম লিমা। এ দুইজন উপজেলার হেতেমগঞ্জের কোনাচর গ্রামের জিয়া উদ্দীনের মেয়ে বলে জানা গেছে। আটকের পর ওই দুই অপহরণকারী প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউনিয়দ পরিষদে জানায়, অপহরণের পর শিশু গুলোকে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করানো হয়। আর অপকর্মের হোতা তাদের বাবা বলে তারা জানায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অপহরণকারী মেয়ে দু’টি কয়েকদিন আগে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ থেকে দুটি মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর বড়লেখা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তারা এসব করবে না বলে সেখান থেকে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পায়। অপহ্নত রাশেদের পিতা আজিদ মিয়া জানান, শনিবার বিকালে শিশু পুত্র রাশেদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিচিত সবখানে খোঁজ নিলে কোন সন্ধান না পেয়ে আমরা সিলেটের বিভিন্ স্থানে খোঁজ-খবর করি। এরপর ঢাকাদক্ষিণ বাজারে আসলে সেখানে তাত শিল্প মেলায় হঠাৎ চোখে পড়ে আমার ছেলেকে। তখন তার সাথে থাকা দুইটি মেয়েকে দেখতে পাই। এ ব্যপারে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অপহরনকারী দুই মেয়েসহ উদ্ধারকৃত শিশুকে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।