ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

গত ৫০ দিনের গত রোববার কম নমুনা পরীক্ষার হলো

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • / ২৯৪ টাইম ভিউ

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে জরুরি কাজ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা কমে আসছে দেশে। দুই দিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নমুনা পরীক্ষা করাতে অনুরোধ জানালেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। গত ৫০ দিনের মধ্যে গতকাল রোববার সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৬২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৩৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ৩০ মে ৯ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর। ৫০ দিন পর গতকাল তা ছিল ১০ হাজার ৬২৫টি। এর মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন ২ জুলাই। ওই দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩৬২টি। এরপর গত ১৭ দিন নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্ত দুটোই কমেছে। তবে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। এই সময়ে শনাক্তের গড় হার ২৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, কার্যত সরকারিভাবে বাসা থেকে নমুনা আনা বন্ধ হয়ে গেছে। রোগীর সুস্থতার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনায় এখন দ্বিতীয় ও ‍তৃতীয় পরীক্ষা হচ্ছে না। বন্যাকবলিত কয়েকটি জেলায় নমুনা সংগ্রহ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া উপসর্গ না থাকলে নমুনা সংগ্রহ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে আগের চেয়ে পরীক্ষা কমেছে। সরকারিভাবে ফি নির্ধারণ করায় অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষাও আর হচ্ছে না।

তবে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহও কমে গেছে। পরীক্ষা করালেও চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তাই মৃদু উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা না করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছেন। মৃত্যুর হার কম হওয়া নিয়েও উদাসীনতা আছে তুলনামূলক কম বয়সীদের মধ্যে। এতে বিপদ বাড়তে পারে।

নমুনা দিতে অনুরোধ

নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। গতকাল নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে তিনি বলেন, ‘শনাক্ত করার বিষয়ে সাহায্য করুন এবং সবাই নমুনা পরীক্ষায় সহায়তা করুন। কোনো রকম আতঙ্কিত না হয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিন এবং শনাক্ত করতে সহায়তা করুন। এই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করুন এবং রোগ প্রতিরোধ, রোগনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করুন।’ উপসর্গ থাকলে দেরি না করে নমুনা পরীক্ষা করাতে এর আগের দিনও তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

গত ২০ মে প্রথম ১০ হাজার ছাড়ায় নমুনা পরীক্ষা। এরপর ৩১ মে থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন ১১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ১৮ জুলাই ১০ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গতকাল তা আরও কমে ১০ হাজার ৬২৫টি হয়েছে।

একসময় পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন ছিল, এখন নতুন করে পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এরপরও নমুনা পরীক্ষা বাড়ছে না কেন, জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আতঙ্ক এখন আর নেই। অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে। আর যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা ঠিকই আসছেন।

শনাক্তের উচ্চহার

নমুনা পরীক্ষা কমলেও রোগী শনাক্তের হার বেড়েই চলেছে। গত ২৫ মে প্রথম শনাক্তের হার ২০ শতাংশ অতিক্রম করে। এরপর মাত্র ৪ দিন বাদে প্রতিদিনই ২০ শতাংশের বেশি ছিল শনাক্তের হার। এক সপ্তাহ ধরে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ জুলাই শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দেশে শনাক্তের গড় হার প্রায় ২০ শতাংশ। প্রতিবেশী ভারতে এটি ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানে ১৫ শতাংশ। ভারতে গতকাল পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৭ ও পাকিস্তানে ২২ হাজার ৫৫৯টি নমুনা। পাকিস্তানে গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৭ শতাংশ।

পরীক্ষাগার বাড়লেও পরীক্ষা বাড়ছে না

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষাগার বাড়ানো হচ্ছে। পরীক্ষাগার বাড়লেও পরীক্ষার সংখ্যা কমছে। দেশে এখন ৮০টি পরীক্ষাগার। এর মধ্যে প্রতিদিনই কিছু না কিছু বন্ধ থাকে। গতকাল ৬টিতে কোনো পরীক্ষা হয়নি। তবে দেশে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষার সময় পরীক্ষাগার ছিল ৬৬টি। ওই দিন ৬১টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওই দিন পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪৯৮টি নমুনা।

পরীক্ষা নিয়ে এমন উদাসীনতাকে সংক্রমণ বিস্তারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শক মুশতাক হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার ফি নিয়ে জটিলতা, বিনা পয়সায় পরীক্ষার অস্পষ্টতা, চিকিৎসার অনিশ্চয়তা, সামাজিক হয়রানির ভয়ের কারণে মানুষের পরীক্ষা করাতে আগ্রহ কমতে পারে। তবে পরীক্ষা কম হওয়া কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। পরীক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা সরকারের দায়িত্ব।

পোস্ট শেয়ার করুন

গত ৫০ দিনের গত রোববার কম নমুনা পরীক্ষার হলো

আপডেটের সময় : ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে জরুরি কাজ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা কমে আসছে দেশে। দুই দিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নমুনা পরীক্ষা করাতে অনুরোধ জানালেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। গত ৫০ দিনের মধ্যে গতকাল রোববার সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৬২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৩৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ৩০ মে ৯ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর। ৫০ দিন পর গতকাল তা ছিল ১০ হাজার ৬২৫টি। এর মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন ২ জুলাই। ওই দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩৬২টি। এরপর গত ১৭ দিন নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্ত দুটোই কমেছে। তবে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। এই সময়ে শনাক্তের গড় হার ২৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, কার্যত সরকারিভাবে বাসা থেকে নমুনা আনা বন্ধ হয়ে গেছে। রোগীর সুস্থতার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনায় এখন দ্বিতীয় ও ‍তৃতীয় পরীক্ষা হচ্ছে না। বন্যাকবলিত কয়েকটি জেলায় নমুনা সংগ্রহ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া উপসর্গ না থাকলে নমুনা সংগ্রহ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে আগের চেয়ে পরীক্ষা কমেছে। সরকারিভাবে ফি নির্ধারণ করায় অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষাও আর হচ্ছে না।

তবে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহও কমে গেছে। পরীক্ষা করালেও চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তাই মৃদু উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা না করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছেন। মৃত্যুর হার কম হওয়া নিয়েও উদাসীনতা আছে তুলনামূলক কম বয়সীদের মধ্যে। এতে বিপদ বাড়তে পারে।

নমুনা দিতে অনুরোধ

নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। গতকাল নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে তিনি বলেন, ‘শনাক্ত করার বিষয়ে সাহায্য করুন এবং সবাই নমুনা পরীক্ষায় সহায়তা করুন। কোনো রকম আতঙ্কিত না হয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিন এবং শনাক্ত করতে সহায়তা করুন। এই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করুন এবং রোগ প্রতিরোধ, রোগনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করুন।’ উপসর্গ থাকলে দেরি না করে নমুনা পরীক্ষা করাতে এর আগের দিনও তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

গত ২০ মে প্রথম ১০ হাজার ছাড়ায় নমুনা পরীক্ষা। এরপর ৩১ মে থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন ১১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ১৮ জুলাই ১০ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গতকাল তা আরও কমে ১০ হাজার ৬২৫টি হয়েছে।

একসময় পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন ছিল, এখন নতুন করে পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এরপরও নমুনা পরীক্ষা বাড়ছে না কেন, জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আতঙ্ক এখন আর নেই। অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে। আর যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা ঠিকই আসছেন।

শনাক্তের উচ্চহার

নমুনা পরীক্ষা কমলেও রোগী শনাক্তের হার বেড়েই চলেছে। গত ২৫ মে প্রথম শনাক্তের হার ২০ শতাংশ অতিক্রম করে। এরপর মাত্র ৪ দিন বাদে প্রতিদিনই ২০ শতাংশের বেশি ছিল শনাক্তের হার। এক সপ্তাহ ধরে ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ জুলাই শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দেশে শনাক্তের গড় হার প্রায় ২০ শতাংশ। প্রতিবেশী ভারতে এটি ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানে ১৫ শতাংশ। ভারতে গতকাল পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৭ ও পাকিস্তানে ২২ হাজার ৫৫৯টি নমুনা। পাকিস্তানে গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৭ শতাংশ।

পরীক্ষাগার বাড়লেও পরীক্ষা বাড়ছে না

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষাগার বাড়ানো হচ্ছে। পরীক্ষাগার বাড়লেও পরীক্ষার সংখ্যা কমছে। দেশে এখন ৮০টি পরীক্ষাগার। এর মধ্যে প্রতিদিনই কিছু না কিছু বন্ধ থাকে। গতকাল ৬টিতে কোনো পরীক্ষা হয়নি। তবে দেশে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষার সময় পরীক্ষাগার ছিল ৬৬টি। ওই দিন ৬১টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওই দিন পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪৯৮টি নমুনা।

পরীক্ষা নিয়ে এমন উদাসীনতাকে সংক্রমণ বিস্তারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শক মুশতাক হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার ফি নিয়ে জটিলতা, বিনা পয়সায় পরীক্ষার অস্পষ্টতা, চিকিৎসার অনিশ্চয়তা, সামাজিক হয়রানির ভয়ের কারণে মানুষের পরীক্ষা করাতে আগ্রহ কমতে পারে। তবে পরীক্ষা কম হওয়া কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। পরীক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা সরকারের দায়িত্ব।