ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

খনন হচ্ছেনা মনু নদী, আবারো বন্যার আশঙ্কা

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • / ১০৬৬ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ পর্যটন জেলা, চায়ের রাজধানীখ্যাত ও দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি,কুশিয়ারা ও মনু নদ অধ্যুষিত,মৌলভীবাজার জেলা। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে নদী পথে যাতায়াতসহ ব্যবসা-বানিজ্য ছিল এ জেলার বহু মানুষের।

নদীর সাথে ঘেষে থাকা এ জেলায় ব্যবসায়িক কারণে সেই যুগে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাথে নৌ পথে যোগাযোগ হতো বেশি। আজো আছে সেই কুশিয়ারা, মনু নদসহ আরো অনেক নদী। কিন্তু ভরাট হয়ে যাওয়াতে মনু নদ দিয়ে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে নৌ চলাচল।

সম্প্রতি মনু নদ খনন করতে প্রায় ২৩ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিলেও বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে খনন কার্যক্রম সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা জানিয়েছেন নদের যেসব চড় কেটে খনন করার কথা সেগুলো বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়াতে খনন সম্ভব হচ্ছেনা। আগামী শুষ্ক মৌসুমে খনন কাজ শুরু হবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবতী জানান, মনু নদ খননে টেন্ডার হয়েছে। ৩টি প্যাকেজে ঢাকার ঠিকাদারও নিয়োগ হয়েছে। এখন শুধু চুক্তি ফর্মালিটি চলছে। তবে নদে পানি বেড়ে যাওয়াতে চড় কাটতে সমস্যা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে খনন কাজ হবে। তিনি আরো জানান, ২০২০ সালের নবেম্বর পর্যন্ত থাকা এ মেয়াদের কাজগুলি ঢাকার ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান করছে। দুটি প্যাকেজের মধ্যে সদর উপজেলার “শাখা ভরাট” এর ৮ কিলোমিটার যায়গার মধ্যে ৬ কিলোমিটার খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জুড়ী উপজেলায় প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে “মরা জুড়ী” খনন কাজ চলমান আছে। সবচেয়ে বড় প্যাকেজটি প্রক্রিয়াধিন।

এদিকে আগাম বন্যায় মনু নদ’র কেমন হাল হবে তা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন মৌলভীবাজার শহরের মনুর গ্রাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষেরা। তারা বলেছেন, সিংহভাগ যায়গা ভরাট হয়ে যাওয়াতে নদের প্রবল শ্রোতের শিকার হয় জেলা শহরের পশ্চিমবাজার,বড়হাটসহ আরো অনেক গ্রাম। নদটি খনন করা না হলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

এছাড়াও শহরের মানুষ বহু আতঙ্কে কেটেছেন গেল বছরটি। গেল বছর উজানের ঢলে মনূ নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গভীর রাতে মৌলভীবাজার শহরের মনু নদ বাঁধের বাড়ইকোনা ভেঙ্গে এক আতঙ্ক নিয়ে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে। এছাড়াও বড়হাট,ধরকাপন ও মনুমুখ সহ কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর, শরীফপুর, টিলাগাও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষের গবাদি পশুসহ মূল্যবান মালামাল খুয়ে যায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

খনন হচ্ছেনা মনু নদী, আবারো বন্যার আশঙ্কা

আপডেটের সময় : ১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ পর্যটন জেলা, চায়ের রাজধানীখ্যাত ও দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি,কুশিয়ারা ও মনু নদ অধ্যুষিত,মৌলভীবাজার জেলা। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে নদী পথে যাতায়াতসহ ব্যবসা-বানিজ্য ছিল এ জেলার বহু মানুষের।

নদীর সাথে ঘেষে থাকা এ জেলায় ব্যবসায়িক কারণে সেই যুগে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাথে নৌ পথে যোগাযোগ হতো বেশি। আজো আছে সেই কুশিয়ারা, মনু নদসহ আরো অনেক নদী। কিন্তু ভরাট হয়ে যাওয়াতে মনু নদ দিয়ে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে নৌ চলাচল।

সম্প্রতি মনু নদ খনন করতে প্রায় ২৩ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিলেও বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে খনন কার্যক্রম সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা জানিয়েছেন নদের যেসব চড় কেটে খনন করার কথা সেগুলো বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়াতে খনন সম্ভব হচ্ছেনা। আগামী শুষ্ক মৌসুমে খনন কাজ শুরু হবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবতী জানান, মনু নদ খননে টেন্ডার হয়েছে। ৩টি প্যাকেজে ঢাকার ঠিকাদারও নিয়োগ হয়েছে। এখন শুধু চুক্তি ফর্মালিটি চলছে। তবে নদে পানি বেড়ে যাওয়াতে চড় কাটতে সমস্যা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে খনন কাজ হবে। তিনি আরো জানান, ২০২০ সালের নবেম্বর পর্যন্ত থাকা এ মেয়াদের কাজগুলি ঢাকার ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান করছে। দুটি প্যাকেজের মধ্যে সদর উপজেলার “শাখা ভরাট” এর ৮ কিলোমিটার যায়গার মধ্যে ৬ কিলোমিটার খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জুড়ী উপজেলায় প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে “মরা জুড়ী” খনন কাজ চলমান আছে। সবচেয়ে বড় প্যাকেজটি প্রক্রিয়াধিন।

এদিকে আগাম বন্যায় মনু নদ’র কেমন হাল হবে তা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন মৌলভীবাজার শহরের মনুর গ্রাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষেরা। তারা বলেছেন, সিংহভাগ যায়গা ভরাট হয়ে যাওয়াতে নদের প্রবল শ্রোতের শিকার হয় জেলা শহরের পশ্চিমবাজার,বড়হাটসহ আরো অনেক গ্রাম। নদটি খনন করা না হলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

এছাড়াও শহরের মানুষ বহু আতঙ্কে কেটেছেন গেল বছরটি। গেল বছর উজানের ঢলে মনূ নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গভীর রাতে মৌলভীবাজার শহরের মনু নদ বাঁধের বাড়ইকোনা ভেঙ্গে এক আতঙ্ক নিয়ে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে। এছাড়াও বড়হাট,ধরকাপন ও মনুমুখ সহ কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর, শরীফপুর, টিলাগাও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষের গবাদি পশুসহ মূল্যবান মালামাল খুয়ে যায়।