ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

ক্ষমতায় থেকেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই : শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • / ১২০৫ টাইম ভিউ

২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগের নেয়া কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের আরো এক টার্ম ক্ষমতায় আসা দরকার। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আওয়ামী লীগ সরকার উদযাপন করবে, এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে পালন করবে, আমি এটা চাই।
শনিবার ৮জুলাই বিকেল ৫টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বলে উন্নয়নের সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছি। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। কাজেই দেশের মানুষকেই চিন্তা করতে হবে, তারা কী করবেন?
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। বিএনপি দেশ শাসন করতে নয়; ভোগ করতে, লুটপাট করতে ক্ষমতায় আসে এটাও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন করে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে; এটা প্রমাণিত।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন এলে তারা বিভিন্ন রকম টালবাহানা শুরু করে। এসবও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। এই স্লোগানও কিন্তু আমরাই প্রণয়ন করেছি। এছাড়া ভোট জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে বলে আমরা মনে করি।’
আমাদের সরকার হাওয়া ভবন খুলে খাওয়া ভবন তৈরি করেনি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইশতেহার হাতে নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করি। এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০১৯ সালে আরো বড় আকারে বাজেট দেয়া হবে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনী আইনে আছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া যায়। এই আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আছে।’
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনো জেলা নেই, যেখানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য অত্যাচার-নির্যাতন করেনি বিএনপি। তাদের অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এসব অত্যাচার-নির্যাতন ভুলে গেলে চলবে না। জনগণের কাছে এসব বার বার তুলে ধরতে হবে। তারা যে পরিমাণ অত্যাচার করেছে আমরা ক্ষমতায় এসে তার কিছুই তো করলাম না।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছে সেটা আর্কাইভে রাখা দরকার। সবার জানা দরকার। তারা কারাগারে ঢুকেও আমাদের নেতাকর্মী মেরেছে। আমরা অতীত ভুলে যাই, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখি।’
স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করল, মানুষ মারল, গণহত্যা করল, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তারাই ক্ষমতায় এলো। বেঈমান খন্দকার মোশতাককে ক্ষমতায় বসাল। কিন্তু বেশি দিন রাখল না। তাকেও সরিয়ে দিল যারা বেঈমানি করিয়েছে তারাই। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলেন। তার ক্ষমতাগ্রহণের মধ্য দিয়ে অপশক্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে। দেশ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে। দুর্নীতি-লুটতরাজ শুরু হয়। অন্য স্বৈরশাসকদের মতো তিনিও এলিট শ্রেণি তৈরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেন। আইয়ুব খানও এমনই করেছিলেন। এভাবে ২১ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল ‘
তিনি বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন শুরু করি। জনগণের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। সে কাজের সুফল মানুষ এখন পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এখন খাদ্যের অভাবে হাহাকার নেই। একসময় মঙ্গাপীড়িত এলাকায় মঙ্গা নেই, দুর্ভিক্ষ নেই। মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। বেকারত্বের হার কমে গেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মাগুরা নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের বিএনপির একক নির্বাচন জনগণ দেখেছে। ষড়যন্ত্র করে ২০০১ এর নির্বাচনেও আমাদের হারিয়ে দেয়া হয়। তারপর আবার দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়। আমরা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে এ দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে যেসব কাজ হাতে নিয়েছি সেসব বাস্তবায়ন করেছি। যেসব মেগা প্রকল্প হাতে রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে আরো এক টার্ম ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করে সেটা প্রমাণিত। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
সভায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বন্যার্তদের পাশে নেতাকর্মীদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

পোস্ট শেয়ার করুন

ক্ষমতায় থেকেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই : শেখ হাসিনা

আপডেটের সময় : ০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগের নেয়া কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের আরো এক টার্ম ক্ষমতায় আসা দরকার। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আওয়ামী লীগ সরকার উদযাপন করবে, এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে পালন করবে, আমি এটা চাই।
শনিবার ৮জুলাই বিকেল ৫টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বলে উন্নয়নের সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছি। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। কাজেই দেশের মানুষকেই চিন্তা করতে হবে, তারা কী করবেন?
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। বিএনপি দেশ শাসন করতে নয়; ভোগ করতে, লুটপাট করতে ক্ষমতায় আসে এটাও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন করে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে; এটা প্রমাণিত।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন এলে তারা বিভিন্ন রকম টালবাহানা শুরু করে। এসবও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। এই স্লোগানও কিন্তু আমরাই প্রণয়ন করেছি। এছাড়া ভোট জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে বলে আমরা মনে করি।’
আমাদের সরকার হাওয়া ভবন খুলে খাওয়া ভবন তৈরি করেনি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইশতেহার হাতে নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করি। এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০১৯ সালে আরো বড় আকারে বাজেট দেয়া হবে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনী আইনে আছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া যায়। এই আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আছে।’
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনো জেলা নেই, যেখানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য অত্যাচার-নির্যাতন করেনি বিএনপি। তাদের অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এসব অত্যাচার-নির্যাতন ভুলে গেলে চলবে না। জনগণের কাছে এসব বার বার তুলে ধরতে হবে। তারা যে পরিমাণ অত্যাচার করেছে আমরা ক্ষমতায় এসে তার কিছুই তো করলাম না।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছে সেটা আর্কাইভে রাখা দরকার। সবার জানা দরকার। তারা কারাগারে ঢুকেও আমাদের নেতাকর্মী মেরেছে। আমরা অতীত ভুলে যাই, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখি।’
স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করল, মানুষ মারল, গণহত্যা করল, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তারাই ক্ষমতায় এলো। বেঈমান খন্দকার মোশতাককে ক্ষমতায় বসাল। কিন্তু বেশি দিন রাখল না। তাকেও সরিয়ে দিল যারা বেঈমানি করিয়েছে তারাই। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলেন। তার ক্ষমতাগ্রহণের মধ্য দিয়ে অপশক্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে। দেশ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে। দুর্নীতি-লুটতরাজ শুরু হয়। অন্য স্বৈরশাসকদের মতো তিনিও এলিট শ্রেণি তৈরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেন। আইয়ুব খানও এমনই করেছিলেন। এভাবে ২১ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল ‘
তিনি বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন শুরু করি। জনগণের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। সে কাজের সুফল মানুষ এখন পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এখন খাদ্যের অভাবে হাহাকার নেই। একসময় মঙ্গাপীড়িত এলাকায় মঙ্গা নেই, দুর্ভিক্ষ নেই। মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। বেকারত্বের হার কমে গেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মাগুরা নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের বিএনপির একক নির্বাচন জনগণ দেখেছে। ষড়যন্ত্র করে ২০০১ এর নির্বাচনেও আমাদের হারিয়ে দেয়া হয়। তারপর আবার দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়। আমরা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে এ দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে যেসব কাজ হাতে নিয়েছি সেসব বাস্তবায়ন করেছি। যেসব মেগা প্রকল্প হাতে রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে আরো এক টার্ম ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করে সেটা প্রমাণিত। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
সভায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বন্যার্তদের পাশে নেতাকর্মীদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।