কোমর পানির নিচে চট্টগ্রামের বহু সড়ক, দুর্ভোগ
- আপডেটের সময় : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
- / ১৩০৫ টাইম ভিউ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র পর জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে চট্টগ্রামবাসী। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত।
নগরীর জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, চকবাজার, হালিশহর, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, বাদুরতলাসহ নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা বর্তমানে পানির নিচে। ওই সব এলাকার বাড়িঘর ও দোকানে পানি ঢোকায় বিপাকে পড়েছে জনগণ। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যায়।
সকালে কোমর পর্যন্ত পানি ডিঙিয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়েছে কর্মজীবী মানুষদের। অপরদিকে জলাবদ্ধতার মধ্যে যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিগুণ কষ্টে পড়েছে নগরবাসী। এই দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও রিকশা ও সিএনজি দিয়ে বাধ্য হয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছে কর্মমুখী মানুষ।
চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির ছাত্রী রুখসা তাবাস্সুম আরটিভি অনলাইনকে জানান, আজ আমার টিউটোরিয়াল পরীক্ষা। পানির কারণে সময় মতো রিকশা পাইনি। বাকলিয়া থেকে এক কিলোমিটার হাঁটার পর রিকশা পেয়েছি। বাকলিয়া থেকে চট্টগ্রাম কলেজ যেতে ভাড়া লাগতো ৪০ টাকা। এখন এক কিলোমিটার হাঁটার পরও ৬০ টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ যাচ্ছি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি এসিস্টেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল করিম খান আরটিভি অনলাইনকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ২২৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়া আরো ১-২ দিন থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূল অতিক্রম করার পর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।