কোন দুর্ঘটনাই আমাদের কাম্য নয়, রেলের তো নয়ই- রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন
- আপডেটের সময় : ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯
- / ৯৬৮ টাইম ভিউ
রেদওয়ান হোসাইন: রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ২৬ জুন বুধবার কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে সংঘটিত ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। পরিদর্শন শেষে তাৎক্ষণিক এক পথসভায় বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সরাসরি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ ক্ষতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের এক লক্ষ টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও সাহায্য দেয়া হবে।
কোন দূর্ঘটনাই আমাদের কাম্য নয়। রেলের তো নয়ই। এমনকি কোন অস্বাভাবিক মৃত্যুও কামনা করি না। যার পরিবারের লোক মারা যায় কেবল তারাই অনুভব করে, কি হারিয়েছে।
এখানে এসে এবং আপনাদের দেখে বুঝলাম রেলের প্রতি আপনাদের কতটা আগ্রহ। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের এই আগ্রহ অনুভব করতে পেরেই দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি রেলের উন্নয়ন করেছেন। আলাদা মন্ত্রণালয় করেছেন। ২০১৪ সালের পর রেলের এই দুর্ঘটনাটাই ভয়াবহ।
এই রেলকে নিয়ে অনেক গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই রেলকে কোম্পানীতে পরিণত করা হয়েছে। বিগত সরকারগুলো রেলের কোন উন্নয়ন করেনি। সে সময় রাস্তার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ৮৬ সালের পর রেলের কোন নিয়োগ হয়নি। ৯১ সালে লোকবল ছাটাই করা হয়েছে।
রেলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিলেট আখাউড়া রেললাইন মিটার গেজের পাশাপাশি ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। এই লাইনে সবক’টি রেল ব্রিজ ও ১৬টি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, বৃটিশ আমলের এই রেলপথ সংস্কারও আধুনিকায়নের দাবি জানান। রেলের দুর্ঘটনায় কারণ উদঘাটন করা হবে। এছাড়া সিলেট আখাউড়া রেল সেকশনের লাউয়াছড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক বন্যপ্রাণী মারা যায়। সেসব বন্য প্রাণী রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমানের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম. এম. শাহীন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফি আহমদ সলমান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু এবং সাবেক কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
পথসভা শেষে মন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত কুলাউড়া পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল বারির স্ত্রী মনোয়ারা পারভীনের বাসায় যান। এসময় নিহত মনোয়ারা পারভীনের দুই মেয়ের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। এসময় মন্ত্রীদ্বয় শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান।