ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাংগঠনিক কুলাউড়ার নাদেল; দলছুট সুলতান মনসুর

মেহেদী হাসান খালিক
  • আপডেটের সময় : ০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৬৮৩ টাইম ভিউ

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পর এবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সন্তান হিসেবে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পদে স্থান পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষিত আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের। ওয়ান ইলেভেনের পর সংস্কারপন্থী তকমা লাগিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় রাজনীতি থেকে ঝড়ে পড়েন সুলতান মনসুর। এরপর থেকে ডিগবাজীর রাজনীতি করেও শেষতক দলে ঠাঁই হয়নি তাঁর। তবে কুলাউড়ার সন্তান হয়ে এবার শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নেওয়ায় কুলাউড়ার রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রা ও উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শফিউল আলম নাদেল ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি একাধারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় শফিউল আলম নাদেল বলেন, জীবনে কখনো ভাবিনি আমার আদর্শের ঠিকানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসবো। আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী, দশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মত তৃণমূলের একজন নগণ্য কর্মীকে যে মূল্যায়ন করেছেন তাতে আমি উচ্ছ্বসিত, উজ্জীবিত। মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নই আমার অঙ্গিকার। নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্তৃত্ব নয় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সংগঠনকে বিকশিত করবো ইনশাআল্লাহ। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”
এদিকে সুলতান মনসুর আশির দশকে ডাকসুর ভিপি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামালীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থীর তকমা গায়ে লাগিয়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন। তিনি বিভিন্ন নাটকিয়তার জন্ম দিয়ে টিভি টকশো, ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠে ধানের শীষের জনসভায় আওয়ামীলীগ ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন বিএনপি-গণফোরামসহ একাধিক দলের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর আবার সুর পাল্টান তিনি। নির্বাচিত হয়েই ফের ডিগবাজি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গুণগানে পঞ্চমুখ হলেও ফেরতে পারেননি দলে। আওয়ামীলীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে দলছুট। গণফোরাম নেতা হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও সংসদে ফেরা নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন সুলতান মনসুর। সাংসদ হলেও তিনি এখন দলীয় রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের কাউন্সিল অধিবেশনে ৯ম বারের মতো শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় শফিউল আলম নাদেলের।

পোস্ট শেয়ার করুন

কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাংগঠনিক কুলাউড়ার নাদেল; দলছুট সুলতান মনসুর

আপডেটের সময় : ০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পর এবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সন্তান হিসেবে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পদে স্থান পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষিত আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের। ওয়ান ইলেভেনের পর সংস্কারপন্থী তকমা লাগিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় রাজনীতি থেকে ঝড়ে পড়েন সুলতান মনসুর। এরপর থেকে ডিগবাজীর রাজনীতি করেও শেষতক দলে ঠাঁই হয়নি তাঁর। তবে কুলাউড়ার সন্তান হয়ে এবার শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নেওয়ায় কুলাউড়ার রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রা ও উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শফিউল আলম নাদেল ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি একাধারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় শফিউল আলম নাদেল বলেন, জীবনে কখনো ভাবিনি আমার আদর্শের ঠিকানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসবো। আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী, দশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মত তৃণমূলের একজন নগণ্য কর্মীকে যে মূল্যায়ন করেছেন তাতে আমি উচ্ছ্বসিত, উজ্জীবিত। মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নই আমার অঙ্গিকার। নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্তৃত্ব নয় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সংগঠনকে বিকশিত করবো ইনশাআল্লাহ। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”
এদিকে সুলতান মনসুর আশির দশকে ডাকসুর ভিপি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামালীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থীর তকমা গায়ে লাগিয়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন। তিনি বিভিন্ন নাটকিয়তার জন্ম দিয়ে টিভি টকশো, ঐক্যফ্রন্টের জনসভা ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠে ধানের শীষের জনসভায় আওয়ামীলীগ ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন বিএনপি-গণফোরামসহ একাধিক দলের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর আবার সুর পাল্টান তিনি। নির্বাচিত হয়েই ফের ডিগবাজি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গুণগানে পঞ্চমুখ হলেও ফেরতে পারেননি দলে। আওয়ামীলীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে দলছুট। গণফোরাম নেতা হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও সংসদে ফেরা নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন সুলতান মনসুর। সাংসদ হলেও তিনি এখন দলীয় রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের কাউন্সিল অধিবেশনে ৯ম বারের মতো শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় শফিউল আলম নাদেলের।