ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুশিয়ারায় চুক্তি ভঙ্গ করে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
  • / ৩৮৬ টাইম ভিউ

মৌলভীবাজার থেকে : ভারত থেকে আসা কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় লিজের নামে অবৈধ পথে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দেশের সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে এ নদীটি। নদী পাড়ের ঘর-বাড়ি ভাঙ্গন ও জেলে সম্প্রদায়ের মৎস্য আহরণে বাঁধা সৃষ্টি করায় সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে রাজনগর উপরজেলার ফতেপুর ইউপির জাহিদপুর গ্রামে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। নদীতে পাতানো জাল ছিড়ে ফেলায় কয়েক দফা ট্রলার ভর্তি বালুসহ ট্রলার শ্রমকিদের আটকে রাখেন জেলেরা। এতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ এসে সরজমিন তদন্ত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারীকে ১৭ জুন ২০১৭ ইং তারিখে কুশিয়ারা নদীর জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন মোতাবেক নদীর এলাইনমেন্টসহ নদীপাড়ের যাতে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি না হয় তা অনুসরনপূর্বক খনন কাজ করতে চুক্তি করে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। চুক্তিতে বলা হয়, খননকৃত বালু শুধুমাত্র মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোনের ভূমি উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক চুক্তিটিকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে কুশিয়ারার জাহিদপুর থেকে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ বালু তুলে উজানে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ৮/১০টি করে ট্রলার বোঝাই বালু উঠিয়ে উজানে বিক্রি করেন চড়া দামে। বালু ক্রেতারা জানিয়েছেন, এক ট্রলার বালু ৬০ হাজার টাকা হলে ১০ ট্রলারের দাম পড়ে ৬ লাখ টাকা। এভাবে অবৈধ পথে প্রতি মাসে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।

ওই ঠিকাদারী প্রদিষ্ঠানের মালিক আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া কোথাও বালু বিক্রি করছেন না। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী জানান, কুশিয়ারায় অবৈধ পথে বালু বিক্রির অভিযোগ এখনো পাইনি। শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া অন্য কোথাও বালু বিক্রি করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুশিয়ারায় চুক্তি ভঙ্গ করে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছে

আপডেটের সময় : ১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজার থেকে : ভারত থেকে আসা কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় লিজের নামে অবৈধ পথে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দেশের সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে এ নদীটি। নদী পাড়ের ঘর-বাড়ি ভাঙ্গন ও জেলে সম্প্রদায়ের মৎস্য আহরণে বাঁধা সৃষ্টি করায় সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে রাজনগর উপরজেলার ফতেপুর ইউপির জাহিদপুর গ্রামে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। নদীতে পাতানো জাল ছিড়ে ফেলায় কয়েক দফা ট্রলার ভর্তি বালুসহ ট্রলার শ্রমকিদের আটকে রাখেন জেলেরা। এতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ এসে সরজমিন তদন্ত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারীকে ১৭ জুন ২০১৭ ইং তারিখে কুশিয়ারা নদীর জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন মোতাবেক নদীর এলাইনমেন্টসহ নদীপাড়ের যাতে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি না হয় তা অনুসরনপূর্বক খনন কাজ করতে চুক্তি করে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। চুক্তিতে বলা হয়, খননকৃত বালু শুধুমাত্র মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোনের ভূমি উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক চুক্তিটিকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে কুশিয়ারার জাহিদপুর থেকে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ বালু তুলে উজানে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ৮/১০টি করে ট্রলার বোঝাই বালু উঠিয়ে উজানে বিক্রি করেন চড়া দামে। বালু ক্রেতারা জানিয়েছেন, এক ট্রলার বালু ৬০ হাজার টাকা হলে ১০ ট্রলারের দাম পড়ে ৬ লাখ টাকা। এভাবে অবৈধ পথে প্রতি মাসে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।

ওই ঠিকাদারী প্রদিষ্ঠানের মালিক আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া কোথাও বালু বিক্রি করছেন না। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী জানান, কুশিয়ারায় অবৈধ পথে বালু বিক্রির অভিযোগ এখনো পাইনি। শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া অন্য কোথাও বালু বিক্রি করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।