কুলিয়া ইউনিয়নে কেউ না খেয়ে থাকবে না: চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলাম
- আপডেটের সময় : ১১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০
- / ৮০৬ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত ডেস্ক :: “কুলিয়া ইউনিয়নে কেউ না খেয়ে থাকবে না আমি কুলিয়া ইউনিয়নের দায়িত্ব নিলাম, সবাই ঘরে থাকুন খাবার আপনার ঘরে পৌছে যাবে” কুয়েত থেকেও ফেজবুক লাইভের মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসীর জন্য আবেগভরা মন নিয়ে বলেন দেবহাটা উপজেলার ১নং কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কুয়েতে আছেন ব্যবসার তাগিতে। বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে তথা বাংলাদেশেও করোনা নামক ভাইরাস অতি দ্রত ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। সচেতনা ও নিরাপত্তার জন্য বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে আসা যাওয়া নিষিদ্ধ তবুও মানুষ অভাবের টানে মানতে পারছে না একদিকে যেমন ভাইরাস অপরদিকে ক্ষুধা। কুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাদুল ইসলাম ফেজবুকের মাধ্যমে বলেন এখন সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করা। সবাইকে সবার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজে যারা বিত্তবান/ধনী ব্যক্তি আছেন তাদের উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন আপনারা এগিয়ে আসুন গরীব দুস্থ মানুষের পাশে এখনই সময়, এই দূরদিনের সময় আপনারা পাশে থাকেন আপনাদের সম্পদ কমবে না। এখন কে কোন দল করে সেটা ভাবার সময় নই। সবাই তার সামথ্য মত চেষ্টা করবেন তার স্ব-স্ব স্থান থেকে। একজন মেম্বারের এখন একটি ওয়ার্ড নিয়ে ভাবার সময়, চেয়ারম্যানের উচিৎ ইউনিয়ন নিয়ে, উপজেলার চেয়ারম্যানের উচিৎ উপজেলা নিয়ে, এমপির উচিৎ তার এলাকার মানুষের নিয়ে ভাবা। শুধু মাস্ক ও সাবান দিয়ে পেট চলে না। তিনি কুলিয়া ইউনিয়নের গরীব মানুষের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘোষনা করেন। তিনি বলেন এটা অনুদান না এটা ভালবাসার উপহার। যার যার খাবার তার বাড়িতে পৌছে যাবে এবং সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানান। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনার ঋন কেউ ভুলবে না আপনার জন্য বাংলাদেশ এখনো অন্য অন্য দেশের তুলনায় ভালো আছে। কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই বর্তমানে বিদেশে আছে অনেক চেষ্টা করেও দেশে আসতে পারিনি। বারবার আমার কাছে ফোন দিয়ে বলে আমার ইউনিয়নের মানুষের যেন কোন কষ্ট না হয়। তুমি নিজে গিয়ে খোজ খবর নিবে। আমি চাইনা আমার ইউনিয়নে মানুষ না খেয়ে মরে যাবে। আমি ইতিমধ্যে ৫০০ গরীব-অসহায় মানুষের জন্য চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াজ ইত্যাদি ব্যাগ করেছি আজ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছিয়ে দেবো। এবং চার পাঁচ দিনের মধ্যে আর ১হাজার মানুষের খাবার পৌছে দেবো। তিনি আরোও বলেন, আমরা কিছু চাইনা আমরা চাই আপনাদের ভালবাসা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।