ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

কুলাউড়া রেল থানার এ এস আইয়ের সহযোগিতায় নিজ ঠিকানায় ফিরে যাবে চুরি হওয়া শিশু দুটি

দেশদিগন্ত নিউজঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯
  • / ৬৫৬ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজঃ কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া পিতৃহারা দুটি শিশু রাহাত ও সুরমাকে রেল থানার এএসআই রশিদুল ইসলামে সহযোগিতা এবং তত্বাবধানে তাদের মায়ের বুকে ফিরে যাবে। ভিক্ষাবৃত্তির জন্য চুরি করে নিয়ে আসা এক মহিলার কাছ থেকে উদ্ধারের পর শিশু দুটিকে তাদের আপন ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার ১৫ মে বিকেলে কুলাউড়া রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে এক মহিলার সাথে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে শিশুকে দেখতে পান রেল থানার এস আই রশিদুল ইসলাম। বিষয়টি সন্দেহ হলে ওই মহিলা ও শিশু দুটিকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন রশিদুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু সুরমা জানায় ওই মহিলা তাদেরকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে চট্টগ্রামের বিরলাপাড়া থেকে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে মারধর করে এবং কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে। ৫দিন আগে তাদেরকে ট্রেনে করে এখানে(কুলাউড়ায়) নিয়ে আসে।এরপর থেকে তার ভাই রাহাতকে আটক করে ভয় দেখিয়ে ওই মহিলা বলে ‘ভিক্ষা করে টাকা এনে দিবি, নয়তো তোর ভাইকে মেরে ফেলবো’।
রেল থানায় উদ্ধার হওয়া আপন ভাই বোন শিশু রাহাত ও সুরমা জানায়, তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বিরলাপাড়ায়। তাদের পিতার নাম অহিদুল ও মায়ের নাম শিল্পী। তাদের আরো দুই ভাই তিন বোন রয়েছে। বাবা রিকশাচালক ছিলেন। বাব মারা যাওয়ার পর মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তারা জানায় ‘ওই মহিলা তাদেরকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে এবং পরে আমাদের মারধর করে এবং ভিক্ষা করতে টাকা এনে দিতে বলে। সুরমা জানায়, ‘কাউকে কিছু বললে এবং টাকা না এনে দিলে আমার ভাইকে মেরে ফেলা হবে এই ভয় দেখায় ওই মহিলা’
রেল থানার এ এস আই রশিদুল ইসলাম বলেন, গত ৪দিন ধরে ওই শিশুদুটিকে অমানবিক নির্যাতন চালায় মহিলা। বুধবার বিকেলে মহিলার কাছে শিশু দুটিকে দেখতে পেয়ে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ওই মহিলা বলে শিশু দুটিকে আমি এখানে খুঁজে পেয়েছি। এসময় শিশু দুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করিয়ে খাওয়া দাওয় ও গোসল করানোর জন্য স্থানীয় পৌর শহরের জয়পাশা গ্রামের এক মহিলার কাছে তাদেরকে দেই। তারা আপন ভাই বোন। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। রাতে জালালাবাদ ট্রেনে রেল পুলিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম রেল থানার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখানকার রেল থানা কর্তৃপক্ষ ওই শিশু দুটিকে তাদের মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তির জন্য এই শিশু দুটিকে চুরি করে নিয়ে আসে এবং তাদেরকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। মানবিকতার জন্য আমাদের উদ্যোগে শিশু দুটিকে তাদের মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা নিয়েছি।
কুলাউড়া রেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক বলেন, যেহেতু শিশু দুটির পরিচয় পাওয়া গেছে তাই তাদেরকে আমাদের তত্বাবধানে শিশু দুটিকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়া রেল থানার এ এস আইয়ের সহযোগিতায় নিজ ঠিকানায় ফিরে যাবে চুরি হওয়া শিশু দুটি

আপডেটের সময় : ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজঃ কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া পিতৃহারা দুটি শিশু রাহাত ও সুরমাকে রেল থানার এএসআই রশিদুল ইসলামে সহযোগিতা এবং তত্বাবধানে তাদের মায়ের বুকে ফিরে যাবে। ভিক্ষাবৃত্তির জন্য চুরি করে নিয়ে আসা এক মহিলার কাছ থেকে উদ্ধারের পর শিশু দুটিকে তাদের আপন ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার ১৫ মে বিকেলে কুলাউড়া রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে এক মহিলার সাথে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে শিশুকে দেখতে পান রেল থানার এস আই রশিদুল ইসলাম। বিষয়টি সন্দেহ হলে ওই মহিলা ও শিশু দুটিকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন রশিদুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু সুরমা জানায় ওই মহিলা তাদেরকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে চট্টগ্রামের বিরলাপাড়া থেকে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে মারধর করে এবং কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে। ৫দিন আগে তাদেরকে ট্রেনে করে এখানে(কুলাউড়ায়) নিয়ে আসে।এরপর থেকে তার ভাই রাহাতকে আটক করে ভয় দেখিয়ে ওই মহিলা বলে ‘ভিক্ষা করে টাকা এনে দিবি, নয়তো তোর ভাইকে মেরে ফেলবো’।
রেল থানায় উদ্ধার হওয়া আপন ভাই বোন শিশু রাহাত ও সুরমা জানায়, তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বিরলাপাড়ায়। তাদের পিতার নাম অহিদুল ও মায়ের নাম শিল্পী। তাদের আরো দুই ভাই তিন বোন রয়েছে। বাবা রিকশাচালক ছিলেন। বাব মারা যাওয়ার পর মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তারা জানায় ‘ওই মহিলা তাদেরকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে এবং পরে আমাদের মারধর করে এবং ভিক্ষা করতে টাকা এনে দিতে বলে। সুরমা জানায়, ‘কাউকে কিছু বললে এবং টাকা না এনে দিলে আমার ভাইকে মেরে ফেলা হবে এই ভয় দেখায় ওই মহিলা’
রেল থানার এ এস আই রশিদুল ইসলাম বলেন, গত ৪দিন ধরে ওই শিশুদুটিকে অমানবিক নির্যাতন চালায় মহিলা। বুধবার বিকেলে মহিলার কাছে শিশু দুটিকে দেখতে পেয়ে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ওই মহিলা বলে শিশু দুটিকে আমি এখানে খুঁজে পেয়েছি। এসময় শিশু দুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করিয়ে খাওয়া দাওয় ও গোসল করানোর জন্য স্থানীয় পৌর শহরের জয়পাশা গ্রামের এক মহিলার কাছে তাদেরকে দেই। তারা আপন ভাই বোন। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। রাতে জালালাবাদ ট্রেনে রেল পুলিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম রেল থানার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখানকার রেল থানা কর্তৃপক্ষ ওই শিশু দুটিকে তাদের মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তির জন্য এই শিশু দুটিকে চুরি করে নিয়ে আসে এবং তাদেরকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। মানবিকতার জন্য আমাদের উদ্যোগে শিশু দুটিকে তাদের মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা নিয়েছি।
কুলাউড়া রেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক বলেন, যেহেতু শিশু দুটির পরিচয় পাওয়া গেছে তাই তাদেরকে আমাদের তত্বাবধানে শিশু দুটিকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।