ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়ায় যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর জখম, থানায় মামলা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১২৭৮ টাইম ভিউ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া প্র‌তি‌নি‌ধি::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাজিম খান (২০) নামে এক যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তর একরামনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত নাজিম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী কামাল খানের পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রায়শই সাহেল ও সুমেল এ বিরোধের জেরে কামাল খানের পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করতো। ঘটনার দিন বুধবার রাতে কামাল খানের বড় ছেলে বাজার নিয়ে নাজিম খান বাড়ি ফেরার পথে উত্তর একরামনগরে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা সুমেল ও সাহেলসহ একাধিক লোক লাঠি এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সাহেল ও তার সহযোগিরা একত্রে নাজিমকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাঁর সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা লুটপাট করে। এতে নাজিমের মাথা ফেটে যায় ও হাত ভেঙে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নাজিমের অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরদিন তাঁকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ দিকে থানায় দেওয়া অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য নাজিম খানেনের মা-ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করছেন। বর্তমানে চরম আতঙ্কে রয়েছেন নাজিম খানের পরিবারের লোকজন।
নাজিম কানের মা রোসনা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। সাহেল ও সুমেলরা আমাদের বাড়িতে এসে প্রায় সময় টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ও মারধর করা হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে বাজার নিয়ে বাড়িতে আসার পথে আমার ছেলে নাজিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্য হামলা চালায়। এতে আমার ছেলের মাথা ও হাত ফেটে যায়।
এ ব্যাপারে সাহেল খান তাঁর দোষ স্বীকার করে বলেন, প্রথমে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পরে আমি নাজিমকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বি

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর জখম, থানায় মামলা

আপডেটের সময় : ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া প্র‌তি‌নি‌ধি::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাজিম খান (২০) নামে এক যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তর একরামনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত নাজিম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী কামাল খানের পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রায়শই সাহেল ও সুমেল এ বিরোধের জেরে কামাল খানের পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করতো। ঘটনার দিন বুধবার রাতে কামাল খানের বড় ছেলে বাজার নিয়ে নাজিম খান বাড়ি ফেরার পথে উত্তর একরামনগরে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা সুমেল ও সাহেলসহ একাধিক লোক লাঠি এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সাহেল ও তার সহযোগিরা একত্রে নাজিমকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাঁর সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা লুটপাট করে। এতে নাজিমের মাথা ফেটে যায় ও হাত ভেঙে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নাজিমের অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরদিন তাঁকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ দিকে থানায় দেওয়া অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য নাজিম খানেনের মা-ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করছেন। বর্তমানে চরম আতঙ্কে রয়েছেন নাজিম খানের পরিবারের লোকজন।
নাজিম কানের মা রোসনা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। সাহেল ও সুমেলরা আমাদের বাড়িতে এসে প্রায় সময় টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ও মারধর করা হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে বাজার নিয়ে বাড়িতে আসার পথে আমার ছেলে নাজিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্য হামলা চালায়। এতে আমার ছেলের মাথা ও হাত ফেটে যায়।
এ ব্যাপারে সাহেল খান তাঁর দোষ স্বীকার করে বলেন, প্রথমে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পরে আমি নাজিমকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বি