কুলাউড়ায় বন্ধুদের মিলনমেলা ও চড়ুইভাতি
- আপডেটের সময় : ০৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
- / ২৩৪ টাইম ভিউ
কুলাউড়ায় বন্ধুদের মিলনমেলা ও চড়ুইভাতি
‘আমরা দৃঢ় হতে চাই ঐক্যের বন্ধনে ‘ এই স্লোগান হৃদয়ে ধারণ করে এসএসসি ‘৯৪ কুলাউড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে বন্ধুদের চড়ুইভাতি ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয় ২০ জানুয়ারি শনিবার। কুলাউড়ার সিরাজনগর চা বাগানে চড়ুইভাতির এই মিলনমেলা তিনটি পর্বে উদযাপিত হয়। ১ম পর্বে ছিলো বন্ধুদের প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট পরিধান ও ফটোসেশন। ২য় পর্বে খাওয়া-দাওয়া এবং শেষ পর্বে বন্ধুদের মধ্যে র্যাফেল ড্র, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। শীতের চড়ুইভাতিতে বন্ধুদের এই আয়োজনে দিনব্যাপী ছিলো বন্ধুত্বের খুনসুটি, স্মৃতি রোমন্থন, স্মৃতিমাখা স্নিগ্ধ অতীতের হরেকরকম গল্প।
মিলনমেলায় নাসির জামান খান জাকি, কাওসার আহমেদ নিপার, শফিকুল ইসলাম জায়েদ ও নুরুল ইসলাম খান বাবলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২য় পর্বের ভোজন সম্পন্ন হয়। খাদ্যতালিকায় ছিলো- বিরইন ভাতের সাথে বোয়াল মাছভাজা, মাসকোভি হাঁসের (চীনা হাঁস) মাংস, ডিম, টকের ঝোল, দই।
মো. ছাদিকুর রহমানের সঞ্চালনায় শেষ পর্বের অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্র ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আহমেদ কবীর রাসেল, নাসির জামান খান জাকি, শাহরিয়ার আফজল মাসুম। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে ১ম পুরস্কার অর্জন করেন ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, ২য় পুরস্কার সঞ্জয় দেবনাথ, ৩য় পুরস্কার শাহীন আহমেদ। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি সিরাজনগর চা বাগানের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ চৌধুরী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এসএসসি ‘৯৪ ব্যাচের আহবায়ক সঞ্জয় দেবনাথ কুলাউড়া ও কুলাউড়ার বাইরে অবস্থানরত বন্ধুদের আন্তরিক সহযোগিতায় এইরকম একটি আয়োজন সফল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চড়ুইভাতির এই মিলনমেলায় সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে ছিলেন বন্ধু সামছুর রহমান সমছু, শাহীন আহমদ, মিশকাত মজিদ রুহিন, তাফহীম আহমদ শিমুল, শাহীন আহমেদ, মঈন উদ্দিন, সামছু খান, শাহরিয়ার আফজল মাসুম, সুধাংশু বৈদ্য, আমিনুল ইসলাম লিটন, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তফা কামাল পাপলু, সফিকুর রহমান, আজিজুর রহমান কাজল, খন্দকার মোন্তাকিম, মোস্তফা মিয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ‘আমরা দৃঢ় হতে চাই ঐক্যের বন্ধনে’ এই শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে এসএসসি ৯৪ ব্যাচ কুলাউড়া উপজেলা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি প্রবাসে অবস্থানকারী বন্ধুরা দেশে এলে তাঁদের সম্মানে আড্ডার আয়োজন করে আসছে অনেকদিন ধরে। যার ফলে বন্ধুদের মাঝে একে অপরের প্রতি যোগাযোগেরও সেতু রচনা করছেন তাঁরা।