ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

কুলাউড়ায় পুলিশ লাঞ্চিতের ঘটনায় ৭৭ জনকে আসামী করে মামলা, সুলতান মনসুরের পিএসসহ গ্রেপ্তার ১০

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ১৫৮০ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়ায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও তাঁর সমর্থকদের হাতে পুলিশের ৩ এসআই আহত হওয়ার ঘটনায় ৭৭ জনের নামোল্লেখ ও অজানা আরো ২০-২৫ জনকে আসামী করে এ্যাসল্ট মামলা করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পিএস শাহেদুর রহমান শাহেদসহ ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের লালপুর এলাকায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ গণসংযোগ কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। এ সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সাইকেল-গাড়িবহর নিয়ে তার সঙ্গে ছিলেন। পুলিশ শোডাউনে বাঁধা দিলে সুলতান মনসুরের সমর্থকরা ৭টি মোটরসাইকেল ভাঙ্চুর করে। সুলতান মনসুরের ধানের শীষের মোটরসাইকেল শোডাউনে পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সুলতান মনসুর গাড়ী থেকে নেমে এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করলে পুলিশের সঙ্গে সুলতান মনসুর ও সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে সুলতান মনসুরের ব্যক্তিগত সহকারী সাহেদ এবং ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার আহত হন এবং কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদার, রিয়াদুল ইসলাম ও নিরঞ্জন তালুকদার আহত হন। এলাকায় তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলেও বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায়। আহত পুলিশ সদস্যরা কুলাউড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে রাত ৮টায় স্থানীয় চৌধুরীবাজারে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর পথসভা করেন। একপর্যায়ে নৌকার সমর্থকরা পাল্টা মিছিল নিয়ে বের হলে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুলতান মনসুরের পিএস শাহেদুর রহমান শাহেদ, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ চেরাগ মিয়া, আলমগীর হোসেন আলম, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী শাহিনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পুরো রাউৎগাঁও ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. আবেদ রাজা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে পুলিশ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে ঐক্যজোট হয়ে আমাদের প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমাদের নেতাকর্মীরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করছি এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সরকার গায়ের জোর কাটিয়ে তাদের পক্ষে রায় নিতে চাচ্ছে। তবে কুলাউড়ার মানুষ ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিৎ জবাব দিবে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম মূসা বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর গাড়িবহরে যেন অস্থিতিশীল কিছু না ঘটে সেজন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সুলতান মনসুর ও বিএনপি নেতকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় পুলিশ লাঞ্চিতের ঘটনায় ৭৭ জনকে আসামী করে মামলা, সুলতান মনসুরের পিএসসহ গ্রেপ্তার ১০

আপডেটের সময় : ০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়ায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও তাঁর সমর্থকদের হাতে পুলিশের ৩ এসআই আহত হওয়ার ঘটনায় ৭৭ জনের নামোল্লেখ ও অজানা আরো ২০-২৫ জনকে আসামী করে এ্যাসল্ট মামলা করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পিএস শাহেদুর রহমান শাহেদসহ ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের লালপুর এলাকায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ গণসংযোগ কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। এ সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সাইকেল-গাড়িবহর নিয়ে তার সঙ্গে ছিলেন। পুলিশ শোডাউনে বাঁধা দিলে সুলতান মনসুরের সমর্থকরা ৭টি মোটরসাইকেল ভাঙ্চুর করে। সুলতান মনসুরের ধানের শীষের মোটরসাইকেল শোডাউনে পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সুলতান মনসুর গাড়ী থেকে নেমে এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করলে পুলিশের সঙ্গে সুলতান মনসুর ও সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে সুলতান মনসুরের ব্যক্তিগত সহকারী সাহেদ এবং ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার আহত হন এবং কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদার, রিয়াদুল ইসলাম ও নিরঞ্জন তালুকদার আহত হন। এলাকায় তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলেও বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিজিবি ঘটনাস্থলে যায়। আহত পুলিশ সদস্যরা কুলাউড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে রাত ৮টায় স্থানীয় চৌধুরীবাজারে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর পথসভা করেন। একপর্যায়ে নৌকার সমর্থকরা পাল্টা মিছিল নিয়ে বের হলে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুলতান মনসুরের পিএস শাহেদুর রহমান শাহেদ, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ চেরাগ মিয়া, আলমগীর হোসেন আলম, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী শাহিনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পুরো রাউৎগাঁও ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. আবেদ রাজা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে পুলিশ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে ঐক্যজোট হয়ে আমাদের প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমাদের নেতাকর্মীরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করছি এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সরকার গায়ের জোর কাটিয়ে তাদের পক্ষে রায় নিতে চাচ্ছে। তবে কুলাউড়ার মানুষ ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিৎ জবাব দিবে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম মূসা বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর গাড়িবহরে যেন অস্থিতিশীল কিছু না ঘটে সেজন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সুলতান মনসুর ও বিএনপি নেতকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে।