ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের বটবৃক্ষ ফয়েজ চৌধুরীর মত সংগঠক হাজার বছরে একজন জন্মায়

আহসানুজ্জামান রাসেল
  • আপডেটের সময় : ০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০২৫ টাইম ভিউ

কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের বটবৃক্ষ ফয়েজ চৌধুরীর মত সংগঠক হাজার বছরে একজন জন্মায়

আহসানুজ্জামান রাসেল

ফুটবল নব্বই মিনিটের খেলা এবং এই নব্বই মিনিটের পারফরম্যান্স দিয়ে সাধারণত আমরা একটা দল এবং খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করি। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি একটা দল কিংবা খেলোয়াড় তৈরির পিছনের কারিগর কারা? দিনের পর দিন পরিশ্রম করে, মেধা খাটিয়ে, সময় দিয়ে, অর্থ দিয়ে কারা এসব দল কিংবা প্লেয়ারদের খেলার উপযুক্ত করে তুলছেন? একজন ফুটবলার তখনই নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পাবে যখন ম্যাচ কিংবা টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে। আর এই সুযোগ কুলাউড়াতে সবচেয়ে বেশী যিনি সৃষ্টি করে দিয়েছেন তার নাম মরহুম ফয়েজ চৌধুরী, আমাদের সবার প্রিয় ফয়েজ চাচা। কুলাউড়াতে অগণিত প্লেয়ার তৈরির কারিগর, সংগঠক তৈরির কারিগর, রেফারী তৈরির কারিগর, যেকোন টুর্নামেন্টে সফলভাবে সম্পন্ন করার কারিগর ছিলেন একজন ফয়েজ চৌধুরী। কুলাউড়ার মানুষের চরম আগ্রহের প্রেক্ষিতে আমি আজ চেষ্টা করবো ফয়েজ চাচা সম্পর্কে বিস্তারিত সবার সামনে তোলে ধরতে।
(তথ্য সংগ্রহে আমাকে সাহায্য করেছেন বড় ভাই মোরাদ ।

এ এম ফয়েজ উদ্দিন চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ১৫ই এপ্রিল ভারতের করিমগঞ্জের টেউডিক গ্রামে। বাবা মৃত আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী। নিলাম বাজার স্কুল থেকে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীর ৪ ছেলে এবং ৩ মেয়ের মধ্যে ফয়েজ চাচার অবস্থান পঞ্চম। ১৯৬৯ সালে তিনি কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের নর্তন গ্রামে মামা হাসিব চৌধুরীর বাড়ীতে চলে আসেন। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাদেকপুর গ্রামের খন্দকার বংশের মেয়ে হোসনেআরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন ১৯৭২ সালে। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে লন্ডন প্রবাসী এ এম রুকনউদ্দিন চৌধুরী এবং তিন মেয়ের মধ্যে রেহা এবং রেফা লন্ডন প্রবাসী আর শেফা ঢাকায় থাকেন।

কুলাউড়ায় কোন টুর্নামেন্টের আয়োজন হবে, আয়োজকরা সবার আগে যার দারস্থ হোন তিনি হলেন ফয়েজ চৌধুরী। কারণ দুইটা প্রথমত আর্থিক সহায়তা আর দ্বিতীয়ত খেলার নিয়মকানুন অথবা টাই সীট নির্মাণ। যেকোন ক্লাব সংগঠন কিংবা টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা পরিষদ করা হবে, সেখানে অবধারিতভাবে প্রধান উপদেষ্টা নাম ফয়েজ চৌধুরী। তিনি কতগুলো প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ছিলেন তার সঠিক তথ্য বের করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এছাড়াও বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা, অপারেশন ও ল্যান্স সংযোজন, রক্তদান কর্মসূচিতে আর্থিক ও শারীরিক অংশগ্রহণ ছিলো নৈমিত্তিক ব্যাপার। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য উনাকে শেড অব নেচার কর্তৃক ” মরণোত্তর স্মারক ২০০৭” প্রদান করা হয়।

১৯৯২ সালে কুলাউড়ার ফুটবলে একটা নতুন ধারার সূচনা হয় খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি গঠনের মধ্য দিয়ে। শতাধিক ফুটবলার নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছিলো তা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় ৯২ সালের ৭ অক্টোবর ডাকবাংলার পাবলিক লাইব্রেরিতে। সব বিতর্কের উর্দ্ধে থাকা প্রবাদ পুরুষ ফয়েজ চৌধুরীর নেতৃত্বে রাধেশ্যাম রায় চন্দন, এনামুল ইসলাম, আব্দুল মুকিত মিকি এবং জয়পাশার দোলন ভাই ৪১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন যার সভাপতি কাবুল পাল এবং সাধারণ সম্পাদক কমরু ভাই। আর ফয়েজ চৌধুরী হোন উপদেষ্টা। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ছিলেন।

কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের এই অকৃত্রিম বন্ধু, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অভিভাবকহীন করে ২০০৭ সালের ২৩শে মে ৬৫ বছর বয়সে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে চলে যান। সাথে সাথে কুলাউড়ার মানুষ হারায় একজন অসম্ভব ক্রীড়া পাগল মানুষকে যার অভাব হাজার বছরেও পূর্ণ হবে কিনা সন্দেহ আছে।

এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা মারা গেলেও নিজের কর্মের জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকেন। ফয়েজ চৌধুরী এমনই মানুষ যিনি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আহমেদাবাদ আবাসিক এলাকার প্রতিষ্ঠাতা এবং এই এলাকাকে সুন্দর করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন ছিলো সব কিছুই করেছেন। আহমেদাবাদে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা, আহমেদাবাদ মাদ্রাসা নির্মাণের প্রধান উদ্দোক্তা, কুলাউড়া পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণের অন্যতম উদ্দোক্তা এবং উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় কুলাউড়া দলিল লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। এই সমিতিকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি প্রচুর শ্রম দিয়েছেন। নব্বই দশকের প্রথম দিকে তিনি যখন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ছিলেন পাশাপাশি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং কমিটির সদস্য ছিলেন তখন সবার অনুরোধে ডিগ্রি কলেজের গেইট নির্মাণ করে দেন যা এই প্রজন্মের অনেকেরই অজানা। এই গেইট এখন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং যতদিন কুলাউড়া কলেজ বেঁচে থাকবে ততদিন ফয়েজ চৌধুরী বেঁচে থাকবেন এই গেইটের মাধ্যমে। আমরা এই মহান ব্যক্তির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের বটবৃক্ষ ফয়েজ চৌধুরীর মত সংগঠক হাজার বছরে একজন জন্মায়

আপডেটের সময় : ০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের বটবৃক্ষ ফয়েজ চৌধুরীর মত সংগঠক হাজার বছরে একজন জন্মায়

আহসানুজ্জামান রাসেল

ফুটবল নব্বই মিনিটের খেলা এবং এই নব্বই মিনিটের পারফরম্যান্স দিয়ে সাধারণত আমরা একটা দল এবং খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করি। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি একটা দল কিংবা খেলোয়াড় তৈরির পিছনের কারিগর কারা? দিনের পর দিন পরিশ্রম করে, মেধা খাটিয়ে, সময় দিয়ে, অর্থ দিয়ে কারা এসব দল কিংবা প্লেয়ারদের খেলার উপযুক্ত করে তুলছেন? একজন ফুটবলার তখনই নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পাবে যখন ম্যাচ কিংবা টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে। আর এই সুযোগ কুলাউড়াতে সবচেয়ে বেশী যিনি সৃষ্টি করে দিয়েছেন তার নাম মরহুম ফয়েজ চৌধুরী, আমাদের সবার প্রিয় ফয়েজ চাচা। কুলাউড়াতে অগণিত প্লেয়ার তৈরির কারিগর, সংগঠক তৈরির কারিগর, রেফারী তৈরির কারিগর, যেকোন টুর্নামেন্টে সফলভাবে সম্পন্ন করার কারিগর ছিলেন একজন ফয়েজ চৌধুরী। কুলাউড়ার মানুষের চরম আগ্রহের প্রেক্ষিতে আমি আজ চেষ্টা করবো ফয়েজ চাচা সম্পর্কে বিস্তারিত সবার সামনে তোলে ধরতে।
(তথ্য সংগ্রহে আমাকে সাহায্য করেছেন বড় ভাই মোরাদ ।

এ এম ফয়েজ উদ্দিন চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ১৫ই এপ্রিল ভারতের করিমগঞ্জের টেউডিক গ্রামে। বাবা মৃত আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী। নিলাম বাজার স্কুল থেকে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীর ৪ ছেলে এবং ৩ মেয়ের মধ্যে ফয়েজ চাচার অবস্থান পঞ্চম। ১৯৬৯ সালে তিনি কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের নর্তন গ্রামে মামা হাসিব চৌধুরীর বাড়ীতে চলে আসেন। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাদেকপুর গ্রামের খন্দকার বংশের মেয়ে হোসনেআরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন ১৯৭২ সালে। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে লন্ডন প্রবাসী এ এম রুকনউদ্দিন চৌধুরী এবং তিন মেয়ের মধ্যে রেহা এবং রেফা লন্ডন প্রবাসী আর শেফা ঢাকায় থাকেন।

কুলাউড়ায় কোন টুর্নামেন্টের আয়োজন হবে, আয়োজকরা সবার আগে যার দারস্থ হোন তিনি হলেন ফয়েজ চৌধুরী। কারণ দুইটা প্রথমত আর্থিক সহায়তা আর দ্বিতীয়ত খেলার নিয়মকানুন অথবা টাই সীট নির্মাণ। যেকোন ক্লাব সংগঠন কিংবা টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা পরিষদ করা হবে, সেখানে অবধারিতভাবে প্রধান উপদেষ্টা নাম ফয়েজ চৌধুরী। তিনি কতগুলো প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ছিলেন তার সঠিক তথ্য বের করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এছাড়াও বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা, অপারেশন ও ল্যান্স সংযোজন, রক্তদান কর্মসূচিতে আর্থিক ও শারীরিক অংশগ্রহণ ছিলো নৈমিত্তিক ব্যাপার। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য উনাকে শেড অব নেচার কর্তৃক ” মরণোত্তর স্মারক ২০০৭” প্রদান করা হয়।

১৯৯২ সালে কুলাউড়ার ফুটবলে একটা নতুন ধারার সূচনা হয় খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি গঠনের মধ্য দিয়ে। শতাধিক ফুটবলার নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছিলো তা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় ৯২ সালের ৭ অক্টোবর ডাকবাংলার পাবলিক লাইব্রেরিতে। সব বিতর্কের উর্দ্ধে থাকা প্রবাদ পুরুষ ফয়েজ চৌধুরীর নেতৃত্বে রাধেশ্যাম রায় চন্দন, এনামুল ইসলাম, আব্দুল মুকিত মিকি এবং জয়পাশার দোলন ভাই ৪১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন যার সভাপতি কাবুল পাল এবং সাধারণ সম্পাদক কমরু ভাই। আর ফয়েজ চৌধুরী হোন উপদেষ্টা। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ছিলেন।

কুলাউড়ার ক্রীড়াঙ্গনের এই অকৃত্রিম বন্ধু, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অভিভাবকহীন করে ২০০৭ সালের ২৩শে মে ৬৫ বছর বয়সে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে চলে যান। সাথে সাথে কুলাউড়ার মানুষ হারায় একজন অসম্ভব ক্রীড়া পাগল মানুষকে যার অভাব হাজার বছরেও পূর্ণ হবে কিনা সন্দেহ আছে।

এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা মারা গেলেও নিজের কর্মের জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকেন। ফয়েজ চৌধুরী এমনই মানুষ যিনি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আহমেদাবাদ আবাসিক এলাকার প্রতিষ্ঠাতা এবং এই এলাকাকে সুন্দর করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন ছিলো সব কিছুই করেছেন। আহমেদাবাদে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা, আহমেদাবাদ মাদ্রাসা নির্মাণের প্রধান উদ্দোক্তা, কুলাউড়া পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণের অন্যতম উদ্দোক্তা এবং উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় কুলাউড়া দলিল লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। এই সমিতিকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি প্রচুর শ্রম দিয়েছেন। নব্বই দশকের প্রথম দিকে তিনি যখন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ছিলেন পাশাপাশি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং কমিটির সদস্য ছিলেন তখন সবার অনুরোধে ডিগ্রি কলেজের গেইট নির্মাণ করে দেন যা এই প্রজন্মের অনেকেরই অজানা। এই গেইট এখন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং যতদিন কুলাউড়া কলেজ বেঁচে থাকবে ততদিন ফয়েজ চৌধুরী বেঁচে থাকবেন এই গেইটের মাধ্যমে। আমরা এই মহান ব্যক্তির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।