কিছু অভিজ্ঞতা – শিপার আহমেদ
- আপডেটের সময় : ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ৩৯৭ টাইম ভিউ
সিলেটিরা সব সময়ই অতিথিপরায়ণ। সামাজিক এবং পরোপকারী।
ব্যাতিক্রম শুধুই সিলেটি উচ্চপদস্হ সরকারী কর্মকর্তারা। এরা অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক। শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবেন। সিলেটীদের জন্য কিছুই করেন না। আমার জানামতে এই কুলাউড়াতেই কয়েকজন কর্মকর্তা আছেন যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কুলাউড়া বা কুলাউড়ার মানুষের জন্য কিছুই করেন নি। ইদানীং তাঁদেরকে দেখা যায় কুলাউড়ার বিভিন্ন পাবলিক অনুষ্ঠানে। অথচ তাঁরা যখন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে ছিলেন তখন কুলাউড়ার মানুষ তাদের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। দু একটা ছেলেকে পিয়নের চাকুরী দিয়েছেন এমন ইতিহাসও নেই। নন-সিলেটীরা কিন্তু এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে,তারা তাদের নিজ এলাকার মানুষের জন্য খুবই আন্তরিক।
অাত্মীয়তার সুত্রে নন-সিলেটীদের সাথে আমার চলাফেরার সুযোগ হয়েছে। আমি দেখেছি তাদের এলাকার কেউ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলে, তাঁর আত্মীয় স্বজন এমনকি নিজ এলাকার লোকদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবস্হানের সুযোগ করে দেন, যা সিলেটিদের মাঝে নেই। সিলেটীরা সবসময়ই একটা আত্মঅহমিকা আর দম্ভ নিয়ে বিচরণ করেন।
আমার সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আছেন তাদের মাঝেও আমি এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি।
আমি কাউকে অাঘাত করছি না। শুধু এটুকুই বলতে চাই, চাকুরী শেষে যখন পাবলিকের মাঝেই ফিরে আসবেন, জানাজায় যখন নিজের এলাকার পাবলিককেই আশা করেন,,বেঁচে থাকতে সেই এলাকার মানুষের কিছু উপকার করেন না কেন?
কুলাউড়ার সন্তান আজম জাহাঙ্গীর চৌধুরীর প্রতি আমার যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা। যদিও উনার ধারে কাছে যাবার প্রয়োজন পড়েনি। তবু্ও দেখেছি কুলাউড়া তথা সিলেটীদের প্রতি উনার যথেষ্ট দরদ আছে। উনার প্রাইম ব্যাংকে কুলাউড়ার অনেক ছেলে মেয়েকে চাকুরীর সুযোগ করে দিয়েছেন, যা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। একটা ছেলের চাকুরী মানে একটা ফ্যামিলিকে বাঁচিয়ে রাখা।
কুলাউড়া বা সিলেটের যে সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখনও সরকারের বড় বড় পদে কর্মরত আছেন…. এলাকার মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করে তাদেরকে সহযেগিতা করুন।
আপনি মরে গেলে মানুষ এগুলোই মনে রাখবে।