ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

কিছু অভিজ্ঞতা – শিপার আহমেদ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৪১৮ টাইম ভিউ

সিলেটিরা সব সময়ই অতিথিপরায়ণ। সামাজিক এবং পরোপকারী।
ব্যাতিক্রম শুধুই সিলেটি উচ্চপদস্হ সরকারী কর্মকর্তারা। এরা অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক। শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবেন। সিলেটীদের জন্য কিছুই করেন না। আমার জানামতে এই কুলাউড়াতেই কয়েকজন কর্মকর্তা আছেন যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কুলাউড়া বা কুলাউড়ার মানুষের জন্য কিছুই করেন নি। ইদানীং তাঁদেরকে দেখা যায় কুলাউড়ার বিভিন্ন পাবলিক অনুষ্ঠানে। অথচ তাঁরা যখন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে ছিলেন তখন কুলাউড়ার মানুষ তাদের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। দু একটা ছেলেকে পিয়নের চাকুরী দিয়েছেন এমন ইতিহাসও নেই। নন-সিলেটীরা কিন্তু এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে,তারা তাদের নিজ এলাকার মানুষের জন্য খুবই আন্তরিক।
অাত্মীয়তার সুত্রে নন-সিলেটীদের সাথে আমার চলাফেরার সুযোগ হয়েছে। আমি দেখেছি তাদের এলাকার কেউ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলে, তাঁর আত্মীয় স্বজন এমনকি নিজ এলাকার লোকদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবস্হানের সুযোগ করে দেন, যা সিলেটিদের মাঝে নেই। সিলেটীরা সবসময়ই একটা আত্মঅহমিকা আর দম্ভ নিয়ে বিচরণ করেন।
আমার সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আছেন তাদের মাঝেও আমি এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি।
আমি কাউকে অাঘাত করছি না। শুধু এটুকুই বলতে চাই, চাকুরী শেষে যখন পাবলিকের মাঝেই ফিরে আসবেন, জানাজায় যখন নিজের এলাকার পাবলিককেই আশা করেন,,বেঁচে থাকতে সেই এলাকার মানুষের কিছু উপকার করেন না কেন?

কুলাউড়ার সন্তান আজম জাহাঙ্গীর চৌধুরীর প্রতি আমার যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা। যদিও উনার ধারে কাছে যাবার প্রয়োজন পড়েনি। তবু্ও দেখেছি কুলাউড়া তথা সিলেটীদের প্রতি উনার যথেষ্ট দরদ আছে। উনার প্রাইম ব্যাংকে কুলাউড়ার অনেক ছেলে মেয়েকে চাকুরীর সুযোগ করে দিয়েছেন, যা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। একটা ছেলের চাকুরী মানে একটা ফ্যামিলিকে বাঁচিয়ে রাখা।
কুলাউড়া বা সিলেটের যে সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখনও সরকারের বড় বড় পদে কর্মরত আছেন…. এলাকার মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করে তাদেরকে সহযেগিতা করুন।
আপনি মরে গেলে মানুষ এগুলোই মনে রাখবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কিছু অভিজ্ঞতা – শিপার আহমেদ

আপডেটের সময় : ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

সিলেটিরা সব সময়ই অতিথিপরায়ণ। সামাজিক এবং পরোপকারী।
ব্যাতিক্রম শুধুই সিলেটি উচ্চপদস্হ সরকারী কর্মকর্তারা। এরা অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক। শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবেন। সিলেটীদের জন্য কিছুই করেন না। আমার জানামতে এই কুলাউড়াতেই কয়েকজন কর্মকর্তা আছেন যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কুলাউড়া বা কুলাউড়ার মানুষের জন্য কিছুই করেন নি। ইদানীং তাঁদেরকে দেখা যায় কুলাউড়ার বিভিন্ন পাবলিক অনুষ্ঠানে। অথচ তাঁরা যখন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে ছিলেন তখন কুলাউড়ার মানুষ তাদের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। দু একটা ছেলেকে পিয়নের চাকুরী দিয়েছেন এমন ইতিহাসও নেই। নন-সিলেটীরা কিন্তু এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে,তারা তাদের নিজ এলাকার মানুষের জন্য খুবই আন্তরিক।
অাত্মীয়তার সুত্রে নন-সিলেটীদের সাথে আমার চলাফেরার সুযোগ হয়েছে। আমি দেখেছি তাদের এলাকার কেউ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলে, তাঁর আত্মীয় স্বজন এমনকি নিজ এলাকার লোকদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবস্হানের সুযোগ করে দেন, যা সিলেটিদের মাঝে নেই। সিলেটীরা সবসময়ই একটা আত্মঅহমিকা আর দম্ভ নিয়ে বিচরণ করেন।
আমার সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আছেন তাদের মাঝেও আমি এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি।
আমি কাউকে অাঘাত করছি না। শুধু এটুকুই বলতে চাই, চাকুরী শেষে যখন পাবলিকের মাঝেই ফিরে আসবেন, জানাজায় যখন নিজের এলাকার পাবলিককেই আশা করেন,,বেঁচে থাকতে সেই এলাকার মানুষের কিছু উপকার করেন না কেন?

কুলাউড়ার সন্তান আজম জাহাঙ্গীর চৌধুরীর প্রতি আমার যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা। যদিও উনার ধারে কাছে যাবার প্রয়োজন পড়েনি। তবু্ও দেখেছি কুলাউড়া তথা সিলেটীদের প্রতি উনার যথেষ্ট দরদ আছে। উনার প্রাইম ব্যাংকে কুলাউড়ার অনেক ছেলে মেয়েকে চাকুরীর সুযোগ করে দিয়েছেন, যা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। একটা ছেলের চাকুরী মানে একটা ফ্যামিলিকে বাঁচিয়ে রাখা।
কুলাউড়া বা সিলেটের যে সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখনও সরকারের বড় বড় পদে কর্মরত আছেন…. এলাকার মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করে তাদেরকে সহযেগিতা করুন।
আপনি মরে গেলে মানুষ এগুলোই মনে রাখবে।