ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কমলগঞ্জে শেষ হলো মণিপুরী মহারাসলীলা : ছিলো হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড়

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪৯৫ টাইম ভিউ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বুধবার ঊষালগ্নে সাঙ্গ হলো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা। কার্তিকের পূর্ণিমা তিথিতে এ কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরে মণিপুরী সম্প্রদায়ের এ রাসোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার ঊষা লগ্নে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। অতঃপর যার যার নিজ নিজ গন্থব্যস্থলে চলে যান। মণিপুরী সম্প্রদায়ের এ বৃহত্তম উৎসব উপলক্ষে উভয় স্থানে বসেছিল রকমারি আয়োজনে বিশাল মেলা। রাসোৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়েছিল কমলগঞ্জের মণিপুরী অঞ্চলগুলো। ভিড় সামলাতে পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়।

দামোদর মাস খ্যাত কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মণিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় মহোৎসব শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের উদ্যোগে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৭ তম মহারাসলীলানুসরন উৎসব উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা, রাসোৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সভাপতি প্রকৌশলী যোগেশ্বর সিংহের ও সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিকা দে, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী াফিসার অসীম চন্দ্র বণিক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আশরাফুজ্জামান, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট এর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার দে, রাজশাহী আর্ট কলেজের প্রভাষক চিত্রশিল্পী নারগিস পারভীন সোমা, মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র সিংহ, রাসপূর্ণিমা-২০১৯ সংকলনের সম্পাদক নির্মল এস পলাশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মণিপুরী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিসরুপ হরিমোহন সিংহ, ডা: স্বপন কুমার সিংহ, প্রভাক কুমার সিংহ, মৃদঙ্গ বাদক রাজেন্দ্র কুমার সিংহ ও ধনেশ সিংহকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত চলে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরণ।

অপরদিকে রাসোৎসব ২০১৯ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আদমপুর মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মীতৈ মণিপুরী সম্প্রদায়ের ৩৪ তম রাস উৎসব ও আদমপুর তেতইগাঁও মধুমঙ্গল শর্ম্মা মন্ডপ প্রাঙ্গনে মণিপুরী সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে (মীতৈ মণিপুরী সম্প্রদায়ের) ৪র্থ বারের মতো রাস উৎসব নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এখানে রাত সাড়ে রাত ১১টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চলে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা উৎসব। ভোরের সূর্যোদয়ের পর অনুষ্টানের পরিসমাপ্তি ঘটে এই মহামিলন অনুষ্টানের।

ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, ১৭৭৯ সালে মনিপুরের মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র স্বপ্ন দৃষ্ট হয়ে যে নৃত্যগীতের প্রর্বতন করেছিলেন তাহাই রাসোৎসব। ভাগ্যচন্দ্রের পরবর্তী রাজাগনের বেশরিভাগই ছিলেন নৃত্যগীতে পারদর্শী এবং তারা নিজেরাও রাসনৃত্যে অংশগ্রহন করতেন। এর ফলে মণিপুরী সম্প্রদায়ের মধ্যে এ কৃষ্টির ধারাবাহিকতায় কোন ছেদ পড়েনি। অতীতের সেই ধারাবাহিকতার সূত্র ধরেই কোন রুপ বিকৃতি ছাড়াই কমলগঞ্জে উদযাপিত হয়ে আসছে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলা। তুমুল হৈ-চৈ, আনন্দ-উৎসাহ, ঢাক, ঢোল, মৃদঙ্গ, করতাল এবং শঙ্খ ধ্বনির মধ্যদিয়ে রাধা-কৃষ্ণের লীলাকে ঘিরেই এ দিনটি বছরের অন্য সব দিন থেকে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীর জীবনে। রাসলীলায় মনিপুরী নৃত্য শুধু কমলগঞ্জের নয় গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের তথা সমগ্র বিশ্বের নৃত্য কলার মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে।

১৯২৬ সালের সিলেটের মাছিমপুরে মনিপুরী মেয়েদের পরিবেষ্টিত রাস নৃত্য উপভোগ করে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরে কবিগুরু কমলগঞ্জের নৃত্য শিক্ষক নীলেশ্বর মুখার্জীকে শান্তি নিকেতনে নিয়ে প্রবর্তন করেছিলেন মণিপুরী নৃত্য শিক্ষা। কমলগঞ্জে প্রায় এক মাস আগ থেকেই চলছিল রাসোৎসবের প্রস্তুতি।

পোস্ট শেয়ার করুন

কমলগঞ্জে শেষ হলো মণিপুরী মহারাসলীলা : ছিলো হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড়

আপডেটের সময় : ১০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বুধবার ঊষালগ্নে সাঙ্গ হলো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা। কার্তিকের পূর্ণিমা তিথিতে এ কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরে মণিপুরী সম্প্রদায়ের এ রাসোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার ঊষা লগ্নে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। অতঃপর যার যার নিজ নিজ গন্থব্যস্থলে চলে যান। মণিপুরী সম্প্রদায়ের এ বৃহত্তম উৎসব উপলক্ষে উভয় স্থানে বসেছিল রকমারি আয়োজনে বিশাল মেলা। রাসোৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়েছিল কমলগঞ্জের মণিপুরী অঞ্চলগুলো। ভিড় সামলাতে পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়।

দামোদর মাস খ্যাত কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মণিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় মহোৎসব শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের উদ্যোগে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৭ তম মহারাসলীলানুসরন উৎসব উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা, রাসোৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সভাপতি প্রকৌশলী যোগেশ্বর সিংহের ও সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিকা দে, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী াফিসার অসীম চন্দ্র বণিক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আশরাফুজ্জামান, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট এর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার দে, রাজশাহী আর্ট কলেজের প্রভাষক চিত্রশিল্পী নারগিস পারভীন সোমা, মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র সিংহ, রাসপূর্ণিমা-২০১৯ সংকলনের সম্পাদক নির্মল এস পলাশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মণিপুরী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিসরুপ হরিমোহন সিংহ, ডা: স্বপন কুমার সিংহ, প্রভাক কুমার সিংহ, মৃদঙ্গ বাদক রাজেন্দ্র কুমার সিংহ ও ধনেশ সিংহকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত চলে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরণ।

অপরদিকে রাসোৎসব ২০১৯ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আদমপুর মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মীতৈ মণিপুরী সম্প্রদায়ের ৩৪ তম রাস উৎসব ও আদমপুর তেতইগাঁও মধুমঙ্গল শর্ম্মা মন্ডপ প্রাঙ্গনে মণিপুরী সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে (মীতৈ মণিপুরী সম্প্রদায়ের) ৪র্থ বারের মতো রাস উৎসব নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এখানে রাত সাড়ে রাত ১১টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চলে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা উৎসব। ভোরের সূর্যোদয়ের পর অনুষ্টানের পরিসমাপ্তি ঘটে এই মহামিলন অনুষ্টানের।

ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, ১৭৭৯ সালে মনিপুরের মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র স্বপ্ন দৃষ্ট হয়ে যে নৃত্যগীতের প্রর্বতন করেছিলেন তাহাই রাসোৎসব। ভাগ্যচন্দ্রের পরবর্তী রাজাগনের বেশরিভাগই ছিলেন নৃত্যগীতে পারদর্শী এবং তারা নিজেরাও রাসনৃত্যে অংশগ্রহন করতেন। এর ফলে মণিপুরী সম্প্রদায়ের মধ্যে এ কৃষ্টির ধারাবাহিকতায় কোন ছেদ পড়েনি। অতীতের সেই ধারাবাহিকতার সূত্র ধরেই কোন রুপ বিকৃতি ছাড়াই কমলগঞ্জে উদযাপিত হয়ে আসছে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলা। তুমুল হৈ-চৈ, আনন্দ-উৎসাহ, ঢাক, ঢোল, মৃদঙ্গ, করতাল এবং শঙ্খ ধ্বনির মধ্যদিয়ে রাধা-কৃষ্ণের লীলাকে ঘিরেই এ দিনটি বছরের অন্য সব দিন থেকে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীর জীবনে। রাসলীলায় মনিপুরী নৃত্য শুধু কমলগঞ্জের নয় গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের তথা সমগ্র বিশ্বের নৃত্য কলার মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে।

১৯২৬ সালের সিলেটের মাছিমপুরে মনিপুরী মেয়েদের পরিবেষ্টিত রাস নৃত্য উপভোগ করে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরে কবিগুরু কমলগঞ্জের নৃত্য শিক্ষক নীলেশ্বর মুখার্জীকে শান্তি নিকেতনে নিয়ে প্রবর্তন করেছিলেন মণিপুরী নৃত্য শিক্ষা। কমলগঞ্জে প্রায় এক মাস আগ থেকেই চলছিল রাসোৎসবের প্রস্তুতি।