ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

কমছেই না পেঁয়াজের ঝাঁজ, সবজির দামও চড়া

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৫৩০ টাইম ভিউ

রাজধানীর বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজ এলেও এখনো কমেনি ঝাঁজ। এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে চাল ও আদার। আলু, ডিম, আটা, ময়দা, এলাচ এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। একমাত্র পেঁপে ছাড়া বাকি সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ টাকা ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপের কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে আসলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই খুচরা বাজারেও চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, কলমিলতা, কচুখেত বাজার, শান্তিনগর সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চিকন চালের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের নাজির ও মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। মোটা স্বর্ণ চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আটা প্রতি কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ময়দাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। সয়াবিন তৈল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। এছাড়া ৪৩০ টাকার ৫ লিটারের সয়াবিন তৈল ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মুসরের ডাল কেজি প্রতি ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নেপালি ডাল ১২৫ টাকা দরে। মুগডাল ১৩০ টাকায়। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি রসুন ১৭০ টাকা কেজি। হলুদ গুড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। শুকনা মরিচ কেজিতে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাক সবজি

শীতের সবজি সাদা ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি শিমেরও দাম। প্রকারভেদে শিমের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কালচে ও সাদা বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৬০, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একই দামে শশাও বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি আলু কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের কাঁচা মরিচের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাল শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংস

রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতলা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পুঁটি মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, টেংড়া মাছ কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে কোথাও কোথাও ১২৫ টাকা দরেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

কমছেই না পেঁয়াজের ঝাঁজ, সবজির দামও চড়া

আপডেটের সময় : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

রাজধানীর বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজ এলেও এখনো কমেনি ঝাঁজ। এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে চাল ও আদার। আলু, ডিম, আটা, ময়দা, এলাচ এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। একমাত্র পেঁপে ছাড়া বাকি সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ টাকা ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপের কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে আসলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই খুচরা বাজারেও চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, কলমিলতা, কচুখেত বাজার, শান্তিনগর সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চিকন চালের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের নাজির ও মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। মোটা স্বর্ণ চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আটা প্রতি কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ময়দাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। সয়াবিন তৈল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। এছাড়া ৪৩০ টাকার ৫ লিটারের সয়াবিন তৈল ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মুসরের ডাল কেজি প্রতি ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নেপালি ডাল ১২৫ টাকা দরে। মুগডাল ১৩০ টাকায়। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি রসুন ১৭০ টাকা কেজি। হলুদ গুড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। শুকনা মরিচ কেজিতে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাক সবজি

শীতের সবজি সাদা ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি শিমেরও দাম। প্রকারভেদে শিমের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কালচে ও সাদা বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৬০, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একই দামে শশাও বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি আলু কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের কাঁচা মরিচের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাল শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংস

রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতলা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পুঁটি মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, টেংড়া মাছ কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে কোথাও কোথাও ১২৫ টাকা দরেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।