কথাসাহিত্যিক রাহাত খান আর নেই
- আপডেটের সময় : ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০
- / ৯৪৫ টাইম ভিউ
খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন সাংবাদিক এবং আবিষ্কার প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হাসান।
তিনি জানান, জাতীয় প্রেস ক্লাবে সকাল ১১টায় রাহাত খানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। রাতে তার মরদেহ বারডেমের হিমাগারে রাখা হবে।
গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন বাসায় খাট থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করা হলে পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। এর পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়াটা জটিল হয়ে পড়ায় সার্জারি করা যাচ্ছিল না বলে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন।
রাহাত খান ১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমাদৃত হলেও কর্মসূত্রে রাহাত খান আপাদমস্তক সাংবাদিক।
১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অনিশ্চিত লোকালয় প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল, ইত্যাদি।
তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। #