ঢাকা , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯
  • / ১৫৭৩ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিনিধি:  ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় । দূতালয় প্রধান কাউন্সিলর(পোল)মো:আনিসুজামান এইচ.ও.সি এর সাবলিল উপস্হাপনায় ফরিদ উদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় । বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় ৬:০৫ ঘটিকার সময় ৬:১০ মিনিটের সময় বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্ধ । ৬:৩০ মিনিটের সময় দিবসের উপর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবন্দ এবং ৭ ঘটিকার সময় মান্যবর রাষ্টদৃ একে এম আবুলকালাম উনার বক্তব্য বলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমিয়েছিলে রমনার রেসকোর্স ময়দান, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কবি নির্মলেন্দু গুণ মানুষের সেই সমাবেশ চিত্রিত করেছেন এভাবে, ‘কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল/ কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে/ এসেছিল ঝাঁক বেঁধে কৃষক, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে/ এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক, হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে/ এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ…।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ইতিহাসের অনন্য ভাষণটি দেন। মাত্র উনিশ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি গোটা বাঙালির প্রাণের সমস্ত আকুতি ঢেলে দিলেন। তা ছিল, অধিকার-বঞ্চিত বাঙালির শত হাজার বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের উচ্চারণে সমৃদ্ধ।

তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ এক অত্যুজ্জ্বল মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদিন তাঁর সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এটা ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন। যার কারণে ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসভার জন্য সমগ্র পাকিস্তানের সব মানুষ উৎকণ্ঠিত চিত্তে অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। রাস্ট্রদূত কুয়েতে অবস্হানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলেন স্হানীয় আইন মেনে চলাফেরা সহ কাজকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবেন ।

পোস্ট শেয়ার করুন

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভা

আপডেটের সময় : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি:  ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় । দূতালয় প্রধান কাউন্সিলর(পোল)মো:আনিসুজামান এইচ.ও.সি এর সাবলিল উপস্হাপনায় ফরিদ উদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় । বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় ৬:০৫ ঘটিকার সময় ৬:১০ মিনিটের সময় বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্ধ । ৬:৩০ মিনিটের সময় দিবসের উপর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবন্দ এবং ৭ ঘটিকার সময় মান্যবর রাষ্টদৃ একে এম আবুলকালাম উনার বক্তব্য বলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমিয়েছিলে রমনার রেসকোর্স ময়দান, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কবি নির্মলেন্দু গুণ মানুষের সেই সমাবেশ চিত্রিত করেছেন এভাবে, ‘কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল/ কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে/ এসেছিল ঝাঁক বেঁধে কৃষক, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে/ এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক, হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে/ এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ…।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ইতিহাসের অনন্য ভাষণটি দেন। মাত্র উনিশ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি গোটা বাঙালির প্রাণের সমস্ত আকুতি ঢেলে দিলেন। তা ছিল, অধিকার-বঞ্চিত বাঙালির শত হাজার বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের উচ্চারণে সমৃদ্ধ।

তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ এক অত্যুজ্জ্বল মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদিন তাঁর সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন এটা ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন। যার কারণে ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসভার জন্য সমগ্র পাকিস্তানের সব মানুষ উৎকণ্ঠিত চিত্তে অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। রাস্ট্রদূত কুয়েতে অবস্হানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলেন স্হানীয় আইন মেনে চলাফেরা সহ কাজকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবেন ।