ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

এম এম শাহীন নিঃস্বজনের স্বার্থের ফেরিওয়ালা – অ্যাডভোকেট মোস্তফা মহসিন

অ্যাডভোকেট মোস্তফা মহসিন
  • আপডেটের সময় : ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
  • / ৬৭৮ টাইম ভিউ

তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জনগণের মাঝে বিপুলভাবে সমাদৃত এক পুরুষ। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে লড়াইয়ের সম্মুখভাগে ছিলেন তাঁর অগ্রজ ভাইয়েরা। মুক্তিযুদ্ধের পরেও নতুন দেশগড়ার সমাজবাদী আকাঙ্ক্ষার সাথে মিশেছিলেন তিনি এবং তাঁর ভাইয়েরা। তাঁর এক বড়ভাই সাঈদুর রব ‘মিস্টার বাংলাদেশ ‘উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে যার রেকর্ড আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিরভাস্বর। অন্য ভাইয়েরাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
আশির দশকে শূন্য হাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেই দেশটাকেই যেন জয় করেছিলেন। সেখানে তৈরি করলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাঙালিদের জন্য আলাদা কমিউনিটি। পরবর্তীতে সেই কমিউনিটির মুখপত্র হিসাবে ‘ঠিকানা ‘ আত্মপ্রকাশ করলো, যা বহির্বিশ্বে এখন সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা পত্রিকা। তাঁর উদ্যোগে স্থাপিত হলো নিউইয়র্ক শহরে প্রথম বাংলাদেশের ‘শহীদ মিনার।’ সেই শহীদ মিনার দেখে, অবাক বিষ্ময়ে সারাবিশ্বের লোকেরা বাংলাভাষা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠলো।
জীবনসংগ্রামে নানামুখী প্রতিকূলতা জয় করা এই মানুষটির পরবর্তী লক্ষ্য ছিলো, তাঁর নিজ এলাকা ‘কুলাউড়া’ র উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করা। আমেরিকার চমৎকার সাজানো জীবন তুচ্ছ করে তিনি মিশে যান তাঁর নির্বাচনী এলাকার মাটি এবং মানুষের সাথে। নিজের সঞ্চিত সমস্ত অর্থ তিনি অকাতরে ভুখা-নাঙ্গা মানুষের জন্য খরচ করলেন। তাঁদের সুখে-দুঃখে সাথী হতে- বিয়ে, বৌভাত, গায়ে হলুদ থেকে মৃত্যু পরবর্তী জানাজা সর্বত্রই তাঁর সরব অংশগ্রহণ ছিলো। যেকোনো দুর্যোগে রাত বারোটায়ও তাঁকে পাওয়া যেত। তাঁর বাসায় সাহায্যের জন্য গিয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরেন নি। ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সচল করেছিলেন, সমস্ত রকমের বন্ধ থাকা কালচারাল এ্যাকিটিভিটিস। সংসদ সদস্য থাকাকালীন আর্থিক সততা ছিলো প্রশ্নাতীত। সরকারি ফান্ডের টাকার বাইরে নিজের জমানো অর্থের খরচও করেছেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা না করেই।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি ব্যতিক্রম এই কারনে যে, তিনি কোনও দলের ‘দলদাস’ হতে রাজি ছিলেন না। দলের ঊর্ধ্বে ওঠে কিভাবে নিজেকে ব্রান্ডিং করতে হয়, কিভাবে রাজনীতির ময়দানে নিজেকে যোগ্য আর অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে হয় ; তা এম.এম শাহীন বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে এসে প্রমাণ করেছেন। প্রচল ধারার রাজনীতি’র খোল-নলচে পাল্টে রাজনীতির গুণগত মান বিকাশে তিনি সচেষ্ট ছিলেন।
আজ যখন চারিদিকে ‘দল-অন্ধ,’ দলদাস’ ‘পা চাটা ‘দের জয়ধ্বনী। তখন একজন এম.এম শাহীনের কথা স্মরণ করেন কুলাউড়াবাসী। যার কাছে আগে জনগণ, তারপরে দেশ এবং সর্বশেষে নির্বাচন করার জন্য একটি প্রতীক বা একটি রাজনৈতিক দল।
‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাকিয়াভেলি বলেছিলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা বলতে কিছু থাকার প্রয়োজন নেই। বরং তাদের প্রধান কাজ হবে তাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ঠিক রাখা এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করা। ‘এই কল্যাণ সাধনে একজন রাজনীতিবিদের যদি কোনো অনৈতিক পন্থাও অবলম্বন করতে হয়, তা-ও তিনি করবেন তার জনগণের ভালোর জন্য। কেননা, ম্যাকিয়াভেলির নিকট পন্থার চেয়ে ফলাফল ছিলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই কারনেই হয়তো স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ভীষণ ক্লান্ত এম.এম শাহীনকে একটি প্রতীকের জন্য দ্বারে দ্বারে দৌঁড়াতে হয়েছে।ধর্না দিতে হয়েছে। এর সাথে কি_ নির্বাচনী এলাকার জনগণের স্বার্থও বিজড়িত ছিলো না?
সাংসদ থাকার সময়টাতে আমরা আরোও দেখেছি, ‘কুলাউড়া ‘র তারুণ্যকে সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতিতে সৃজনশীলতার দাবানলে মুখর করে রাখতে, এম.এম শাহীনের বহুমাত্রিক ভূমিকা। রিলিফ এবং ত্রাণ বিতরণে চমৎকার সমন্বয় আর নিজস্ব উদ্যোগে সুনিবিড় মনিটরিং ব্যবস্থা। যা এই করোনাকালে এখনকার লোকজনের কাছে হয়তো গল্পের মতো মনে হবে! আজ যখন রিলিফ আত্মসাৎ বিষয়টি মিডিয়ায় চাউর হচ্ছে সারাদেশে। তখন উদ্যমী এম.এম শাহীনকে প্রান্তিক মানুষেরা মনে রাখেন ‘নিঃস্বজনের স্বার্থের ফেরিওয়ালা ‘হিসাবে। নেতৃত্বে স্মার্টনেস, ত্যাগ,সততা, আর এর সাথে তড়িৎ-গতির গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উপায় খুঁজে বের করাটাই ছিলো এম.এম শাহীনের রাজনৈতিক দর্শন। যা বিগত বছরগুলোতে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় নি।
শুভ জন্মদিন, গণমানুষের নেতা এম.এম শাহীন।

পোস্ট শেয়ার করুন

এম এম শাহীন নিঃস্বজনের স্বার্থের ফেরিওয়ালা – অ্যাডভোকেট মোস্তফা মহসিন

আপডেটের সময় : ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০

তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জনগণের মাঝে বিপুলভাবে সমাদৃত এক পুরুষ। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে লড়াইয়ের সম্মুখভাগে ছিলেন তাঁর অগ্রজ ভাইয়েরা। মুক্তিযুদ্ধের পরেও নতুন দেশগড়ার সমাজবাদী আকাঙ্ক্ষার সাথে মিশেছিলেন তিনি এবং তাঁর ভাইয়েরা। তাঁর এক বড়ভাই সাঈদুর রব ‘মিস্টার বাংলাদেশ ‘উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে যার রেকর্ড আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিরভাস্বর। অন্য ভাইয়েরাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
আশির দশকে শূন্য হাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেই দেশটাকেই যেন জয় করেছিলেন। সেখানে তৈরি করলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাঙালিদের জন্য আলাদা কমিউনিটি। পরবর্তীতে সেই কমিউনিটির মুখপত্র হিসাবে ‘ঠিকানা ‘ আত্মপ্রকাশ করলো, যা বহির্বিশ্বে এখন সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা পত্রিকা। তাঁর উদ্যোগে স্থাপিত হলো নিউইয়র্ক শহরে প্রথম বাংলাদেশের ‘শহীদ মিনার।’ সেই শহীদ মিনার দেখে, অবাক বিষ্ময়ে সারাবিশ্বের লোকেরা বাংলাভাষা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠলো।
জীবনসংগ্রামে নানামুখী প্রতিকূলতা জয় করা এই মানুষটির পরবর্তী লক্ষ্য ছিলো, তাঁর নিজ এলাকা ‘কুলাউড়া’ র উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করা। আমেরিকার চমৎকার সাজানো জীবন তুচ্ছ করে তিনি মিশে যান তাঁর নির্বাচনী এলাকার মাটি এবং মানুষের সাথে। নিজের সঞ্চিত সমস্ত অর্থ তিনি অকাতরে ভুখা-নাঙ্গা মানুষের জন্য খরচ করলেন। তাঁদের সুখে-দুঃখে সাথী হতে- বিয়ে, বৌভাত, গায়ে হলুদ থেকে মৃত্যু পরবর্তী জানাজা সর্বত্রই তাঁর সরব অংশগ্রহণ ছিলো। যেকোনো দুর্যোগে রাত বারোটায়ও তাঁকে পাওয়া যেত। তাঁর বাসায় সাহায্যের জন্য গিয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরেন নি। ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সচল করেছিলেন, সমস্ত রকমের বন্ধ থাকা কালচারাল এ্যাকিটিভিটিস। সংসদ সদস্য থাকাকালীন আর্থিক সততা ছিলো প্রশ্নাতীত। সরকারি ফান্ডের টাকার বাইরে নিজের জমানো অর্থের খরচও করেছেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা না করেই।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি ব্যতিক্রম এই কারনে যে, তিনি কোনও দলের ‘দলদাস’ হতে রাজি ছিলেন না। দলের ঊর্ধ্বে ওঠে কিভাবে নিজেকে ব্রান্ডিং করতে হয়, কিভাবে রাজনীতির ময়দানে নিজেকে যোগ্য আর অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে হয় ; তা এম.এম শাহীন বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে এসে প্রমাণ করেছেন। প্রচল ধারার রাজনীতি’র খোল-নলচে পাল্টে রাজনীতির গুণগত মান বিকাশে তিনি সচেষ্ট ছিলেন।
আজ যখন চারিদিকে ‘দল-অন্ধ,’ দলদাস’ ‘পা চাটা ‘দের জয়ধ্বনী। তখন একজন এম.এম শাহীনের কথা স্মরণ করেন কুলাউড়াবাসী। যার কাছে আগে জনগণ, তারপরে দেশ এবং সর্বশেষে নির্বাচন করার জন্য একটি প্রতীক বা একটি রাজনৈতিক দল।
‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাকিয়াভেলি বলেছিলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা বলতে কিছু থাকার প্রয়োজন নেই। বরং তাদের প্রধান কাজ হবে তাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ঠিক রাখা এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করা। ‘এই কল্যাণ সাধনে একজন রাজনীতিবিদের যদি কোনো অনৈতিক পন্থাও অবলম্বন করতে হয়, তা-ও তিনি করবেন তার জনগণের ভালোর জন্য। কেননা, ম্যাকিয়াভেলির নিকট পন্থার চেয়ে ফলাফল ছিলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই কারনেই হয়তো স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ভীষণ ক্লান্ত এম.এম শাহীনকে একটি প্রতীকের জন্য দ্বারে দ্বারে দৌঁড়াতে হয়েছে।ধর্না দিতে হয়েছে। এর সাথে কি_ নির্বাচনী এলাকার জনগণের স্বার্থও বিজড়িত ছিলো না?
সাংসদ থাকার সময়টাতে আমরা আরোও দেখেছি, ‘কুলাউড়া ‘র তারুণ্যকে সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতিতে সৃজনশীলতার দাবানলে মুখর করে রাখতে, এম.এম শাহীনের বহুমাত্রিক ভূমিকা। রিলিফ এবং ত্রাণ বিতরণে চমৎকার সমন্বয় আর নিজস্ব উদ্যোগে সুনিবিড় মনিটরিং ব্যবস্থা। যা এই করোনাকালে এখনকার লোকজনের কাছে হয়তো গল্পের মতো মনে হবে! আজ যখন রিলিফ আত্মসাৎ বিষয়টি মিডিয়ায় চাউর হচ্ছে সারাদেশে। তখন উদ্যমী এম.এম শাহীনকে প্রান্তিক মানুষেরা মনে রাখেন ‘নিঃস্বজনের স্বার্থের ফেরিওয়ালা ‘হিসাবে। নেতৃত্বে স্মার্টনেস, ত্যাগ,সততা, আর এর সাথে তড়িৎ-গতির গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উপায় খুঁজে বের করাটাই ছিলো এম.এম শাহীনের রাজনৈতিক দর্শন। যা বিগত বছরগুলোতে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় নি।
শুভ জন্মদিন, গণমানুষের নেতা এম.এম শাহীন।