এমপিরা যেখানে লাপাত্তা- প্রবাসীরা সেখানে ত্রানদাতা
- আপডেটের সময় : ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
- / ৭৬৩ টাইম ভিউ
এমদাদুর রহমান : করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকটে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অনেকে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা সরকার, দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মাঠ পর্যায়ে থেকে সংকট মোকাবেলায় যেমন সচেষ্ট রয়েছেন।
এর বিপরীত চিত্রও কম নয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত অনেক সংসদ সদস্যকে তাঁদের নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণ এই সংকটের সময় পাশে পাচ্ছে না।
অনেক সংসদ সদস্য আবার লোক-দেখানো দায়সারা কিছু তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ করার ঘটনাও ঘটছে।
করোনাভাইরাসের এই মহা দুর্যোগের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকার বিষয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই সংকট মোকাবেলায় অনেক সংসদ সদস্য নিজ নিজ এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে আছেন। খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া, মানুষকে সচেতন করা, ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করা, সাধারণ মানুষের মনোবল চাঙ্গা রাখতে তাঁরা বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে অনেক সংসদ সদস্য এলাকায় না গেলেও তাঁদের প্রতিনিধিরা তৎপর গলাবাজিতে ।
করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা নিজ উদ্দ্যোগে ব্লিচিং পাউডার সহ ত্রান বিতরণ করলেও নেই সাংসদরা ।
এই সামগ্রীগুলো বিতরণের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষদের করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন করেন।
সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় এক হাজার ১০০ হতদরিদ্র ব্যক্তিকে ত্রাণ দিয়েছেন সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি বহু ভিক্ষুকের বাড়িতে গিয়ে নিজে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।
এ দুর্যোগের সময় অনেক সংসদ সদস্যকে পাশে পাচ্ছে না দুর্ভোগে থাকা নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ। ফলে অনেক আসনের সংসদ সদস্যদের ওপর চরম ক্ষুব্ধ সেখানকার মানুষ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সঙ্গে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ত্রাণ প্রত্যাশী এক ব্যক্তির কথোপকথন এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই দুর্যোগের সময় ত্রাণ প্রত্যাশী ওই ব্যক্তি সহায়তা চেয়ে সংসদ সদস্যের ধমক খেয়েছেন। সেই রেস কাঠতে না কাটতেই সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গত কয়েকদিন আগেও কুলাউড়া এক টিভি প্রতিনিধির সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছেন আবার তাও সোস্যাল মিডিয়াতে সরব ।
চারটি সংসদীয় আসন নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার একজনও এলাকার পাশে নেই ।
,
মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) সংসদীয় আসনের ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক চিফ হুইপ ড. আব্দুস শহীদ করোনার এই দুর্যোগে এলাকার জনগণের পাশে নেই। মাসখানেক আগেও তিনি প্রতিনিয়ত কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। স্থানীয় এমপি জনগণের পাশে না থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিগত সময়ে বন্যাসহ নানা দুর্যোগে এলাকায় এলেও বর্তমানে এলাকায় নেই তিনি।
অবশ্য তিনি ও তার পরিবারের দূনির্তীর দ্বায়ে তিনি আওয়ামীলীগের কোনো কমিটিতেই তার স্হান করে নিতে পারেন নি ।
মৌলভীবাজার সদরের সাংসদের থেমন কোনো সাড়া নেই , বড়লেখার সাংসদ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে উল্টা পাল্টা বলেই ক্লান্ত ।
মৌলভীবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশী সহযোগিতার হাত বাড়ি দিয়েছেন প্রবাসীরা । শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তুহিন চৌধুরীর ত্রান বিতরন জেলায় আলোচনার ঝড় তুলেছে, ঠিক থেমনি পাঁচটি উপজেলায় প্রবাসীরা সমানতালেই ত্রান বিতরন করে যাচ্ছেন কেউ কেউ ব্যাক্তিগতভাবে আবার তাঁরাই বিভিন্ন সংগঠনেও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সমানভাবে কুলাউড়ার নিউইয়র্ক প্রবাসী হেশাম চোধুরীর সহযোগিতায় মেজর নুরুল মান্নান চৌধুরীর উদ্দ্যেগে হাজীপুর সোসাইটির পক্ষ থেকে চার শত পরিবার কে ত্রান বিতরন করেন,
কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ঐতিয্যবাহী হোসেনপুর গ্রামে হোসেনপুর ফ্রেন্ডস ক্লাব এর উদ্যোগে গ্রামের দেশী এবং প্রবাসিদের সম্মিলিত অর্থায়নে অত্র গ্রামের ১৬০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় খাদ্য উপহার সামগ্রী।
ভিপি সোহেল এর সহযোগিতায় কৌলায়, কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের প্রবাসী আহমেদুর রহমান নোমানের সহযোগিতায় মাহতাবপুরে -শাহেদ নুর সহযোগিতা কাউকাপনে ও শেখ নিজামুর রহমান টিপু’র সহযোগিতায় মাদানগরে ত্রান বিতরন করা হয়েছে ও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেওয়া হবে ।
এবং ইউ কে প্রবাসী এস এম রায়হান জানান করোনার যে মহামারী সৃষ্টি হয়ে তা দির্ঘ কয়েকমাস অতিবাহিত হবে, তাই
ধারাবাহিকতা নিয়ে বিশ্লেষন করে দেখেছেন মধ্যে রমজান দূর্যোগ আরো অনেকগুল বেড়ে যাবে সেই চিন্তা করেই উনি ৩/৪ শ মানুষের ঘরে ঘরো খাদ্য উপহার সামগ্রী পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং সেই উদ্দ্যেগ উনি গ্রহন করেছেন ।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপলুর পক্ষে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের ত্রাণ তৎপরতা নেই। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পাপলুর সমর্থক নেতাকর্মীরাও জানে না তিনি কোথায় অবস্থান করছেন।
তবে উনার সহোদর কুয়েত রাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক কাজী মন্জুরুল আলম উনার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে লক্ষ্মীপুরে ৬ শত পরিবারকে ত্রান দিয়েছেন ।
লক্ষ্মীপুর জেলার অন্য তিনটি আসনের সংসদ সদস্যরাও এই দুর্যোগের সময় এলাকার মানুষের পাশে সেভাবে দাঁড়াননি।
সিলেট জেলার বেশির ভাগ সংসদ সদস্যকে পাশে পাচ্ছে না সেখানকার জনসাধারণ।