ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

এমপিও নিয়ে সংসদে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৮৩৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিগগিরই এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। গত ১০ বছর ধরে এমপিওভুক্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত সংসদেও এমপিভুক্তির বিষয়ে বারবার জানতে চেয়েছেন সংসদ সদস্যরা। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

শিগগিরই এমপিওর বিষয়ে কোনো সুখবর পাওয়া যাবে কিনা এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকেই এই প্রশ্ন করছেন। গত সংসদে আমি নিজেও এই প্রশ্ন করেছিলাম। আপনারা জানেন যে প্রত্যেক জেলার নন এমপিও স্কুল থেকে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়েছে। তারা অনলাইনে আবেদন জমা দিয়েছেন। তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। খুব শিগগিরই সে কার্যক্রম শেষ করে যতগুলো প্রতিষ্ঠান সম্ভব আমরা এমপিও করবো।

এ সময় ময়মনসিংহ-৯ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর করার প্রস্তাব দেন। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি তার সঙ্গে একমত। যেসব প্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই একটি করে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কেন্দ্র করার প্রস্তাব যৌক্তিক। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হতে পারে।

এদিকে সরকার নানামুখী পদক্ষেপের পরও, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। বিদ্যালয় শুমারি অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এই হার ছিলো ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। রোববার রোববার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

বিদ্যালয় শুমারি ২০১৮ অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় শ্রেণি ভিত্তিক ঝরে পড়ার তালিকা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম শ্রেণিতে ২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, তৃতীয় শ্রেণিতে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, চতুর্থ শ্রেণিতে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫ম শ্রেণিতে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিক ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন পিতামাতার অসচেতনতা, দারিদ্রতা, শিশুশ্রম।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে প্রতিটি বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিত করা, নিয়মিত মা সমাবেশ, উঠান বৈঠক এবং হোমভিজিট কার্যক্রম। বছরের প্রথম দিন শতভাগ শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা, স্কুল ফিডিং, রূপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, শতভাগ বিদ্যালয়ে মি ডে মিল চালু করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দলীয় অপর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৯৩টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ জন। তারমধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৮৬০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৮ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ২১৮ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ জন।

পোস্ট শেয়ার করুন

এমপিও নিয়ে সংসদে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিগগিরই এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। গত ১০ বছর ধরে এমপিওভুক্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত সংসদেও এমপিভুক্তির বিষয়ে বারবার জানতে চেয়েছেন সংসদ সদস্যরা। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

শিগগিরই এমপিওর বিষয়ে কোনো সুখবর পাওয়া যাবে কিনা এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকেই এই প্রশ্ন করছেন। গত সংসদে আমি নিজেও এই প্রশ্ন করেছিলাম। আপনারা জানেন যে প্রত্যেক জেলার নন এমপিও স্কুল থেকে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়েছে। তারা অনলাইনে আবেদন জমা দিয়েছেন। তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। খুব শিগগিরই সে কার্যক্রম শেষ করে যতগুলো প্রতিষ্ঠান সম্ভব আমরা এমপিও করবো।

এ সময় ময়মনসিংহ-৯ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর করার প্রস্তাব দেন। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি তার সঙ্গে একমত। যেসব প্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই একটি করে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কেন্দ্র করার প্রস্তাব যৌক্তিক। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হতে পারে।

এদিকে সরকার নানামুখী পদক্ষেপের পরও, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। বিদ্যালয় শুমারি অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এই হার ছিলো ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। রোববার রোববার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

বিদ্যালয় শুমারি ২০১৮ অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় শ্রেণি ভিত্তিক ঝরে পড়ার তালিকা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম শ্রেণিতে ২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, তৃতীয় শ্রেণিতে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, চতুর্থ শ্রেণিতে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫ম শ্রেণিতে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিক ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন পিতামাতার অসচেতনতা, দারিদ্রতা, শিশুশ্রম।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে প্রতিটি বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিত করা, নিয়মিত মা সমাবেশ, উঠান বৈঠক এবং হোমভিজিট কার্যক্রম। বছরের প্রথম দিন শতভাগ শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা, স্কুল ফিডিং, রূপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, শতভাগ বিদ্যালয়ে মি ডে মিল চালু করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দলীয় অপর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৯৩টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ জন। তারমধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৮৬০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৮ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ২১৮ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ জন।