ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

এগিয়ে চলছে ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাট নির্মাণ কাজ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯
  • / ৬৯২ টাইম ভিউ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নির্মিতব্য ‘ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাট’ চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাট নির্মাণে সার্বিক কাজের ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হলেই বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মানুষের সেতুবন্ধন তৈরির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে সীমান্ত হাট নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

ভারত সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিতব্য এ হাট প্রতি সপ্তাহের সোমবার এবং বৃহস্পতিবার বসবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কেনাকাটা করা যাবে। সীমান্তের ১২৪৮/১২ এস এবং ১১ এস পিলারের কাছে দুই দেশের সমপরিমাণ এক একর পঞ্চাশ শতক জায়গায় সীমান্ত হাট নির্মাণ করা হচ্ছে।

হাটে দুই দেশের ২৫টি করে ৫০টি দোকান বসবে। হাটের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুটি ফটক থাকবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য থাকবে ওয়েটিং রুম। দুটি টয়লেট নির্মাণ করা হবে। হাটের পাশেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগও থাকবে সেখানে।

২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সীমান্তে হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর সীমান্ত হাটের স্থান নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ-ভারত প্রতিনিধি দলের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল সীমান্ত হাট নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে গেছে ভারত ও বাংলাদেশের দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের বরাত দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে হাটটি উদ্বোধন করা হতে পারে। হাটের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। হাটের পাশেই একটি বিজিবি ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছে। হাট থেকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য এলজিইডিকে বলা হয়েছে। দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিতে সীমান্ত হাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পোস্ট শেয়ার করুন

এগিয়ে চলছে ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাট নির্মাণ কাজ

আপডেটের সময় : ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নির্মিতব্য ‘ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাট’ চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাট নির্মাণে সার্বিক কাজের ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হলেই বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মানুষের সেতুবন্ধন তৈরির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে সীমান্ত হাট নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

ভারত সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিতব্য এ হাট প্রতি সপ্তাহের সোমবার এবং বৃহস্পতিবার বসবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কেনাকাটা করা যাবে। সীমান্তের ১২৪৮/১২ এস এবং ১১ এস পিলারের কাছে দুই দেশের সমপরিমাণ এক একর পঞ্চাশ শতক জায়গায় সীমান্ত হাট নির্মাণ করা হচ্ছে।

হাটে দুই দেশের ২৫টি করে ৫০টি দোকান বসবে। হাটের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুটি ফটক থাকবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য থাকবে ওয়েটিং রুম। দুটি টয়লেট নির্মাণ করা হবে। হাটের পাশেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগও থাকবে সেখানে।

২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সীমান্তে হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর সীমান্ত হাটের স্থান নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ-ভারত প্রতিনিধি দলের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল সীমান্ত হাট নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে গেছে ভারত ও বাংলাদেশের দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের বরাত দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে হাটটি উদ্বোধন করা হতে পারে। হাটের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। হাটের পাশেই একটি বিজিবি ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছে। হাট থেকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য এলজিইডিকে বলা হয়েছে। দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিতে সীমান্ত হাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।